ডাকসু নির্বাচন: ভোটের লাইন এগোয় না কেন? by মোশতাক আহমেদ
সৌম্যক
সাহা নামের এক শিক্ষার্থী সকাল সকাল ভোটের লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেড়
ঘণ্টা ধরে তিনি প্রায় একই জায়গায় আছেন। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে
যাওয়ায় হাঁটু গেঁড়ে বসে ছিলেন লাইনে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়
ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট দিতে লাইনে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন
ভোটাররা। অনেকে লাইনেই হাঁটু গেঁড়ে বসে রয়েছেন।
ভোট দিতে এত দীর্ঘ সময় লাগা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় ভোটারদের। তাঁদের প্রশ্ন, ভোটের লাইন এগোয় না কেন? ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য প্যানেলের প্রার্থীদের সন্দেহ, ভোট দিতে কৃত্রিমভাবে সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাতে অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে ভোটাররা চলে যান।
তবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনরত শিক্ষকেরা জানান, ৩৮টি করে (ডাকসু ও হল সংসদ মিলে) ভোট দিতে হচ্ছে বলে ভোট গ্রহণে দীর্ঘ সময় লাগছে।
সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।
জগন্নাথ হলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্যক সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা ধরে প্রায় একই জায়গায় অপেক্ষা করছি। সামনের দিকে এগোতে পারছি না। সামনে কী হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
তাঁর পাশে থাকা দুই-তিনজন ভোটার বলেন, বেশ কয়েকজন লাইনে অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে চলে গেছেন।
লাইন থেকে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, ভোট কক্ষে যাওয়ার পথে আর্চ ওয়ে দিয়ে খুব ধীর গতিতে দু একজন করে শিক্ষার্থীকে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছিল। এ সময় আশপাশে ছাত্রলীগ সমর্থক প্রার্থীদের ছবিযুক্ত কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বেশ কয়েকজনকে আর্চ ওয়ের আশপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। হল প্রভোস্টের অনুমতি নিয়ে ভোটকক্ষের সামনে গিয়ে দেখা গেল, সেখানেও ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালরত কয়েকজন শিক্ষক জানালেন, একসঙ্গে ৩৮টি ভোট দিতে সময় লেগে যাচ্ছে। তাঁদের মতে, ভোটের সময় আরও বাড়ানো উচিত ছিল।
এর আগে পৌনে ১০ টার দিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে গিয়েও দেখা গেল প্রায় একই চিত্র। বাইরে দীর্ঘ লাইন। ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে গুনে গুনে কয়েকজনকে। দীর্ঘ সময় লাগা নিয়ে লাইনে থাকা ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সুজায়ের উল্লাহ ভুঁইয়া নামে এক ভোটার বলেন, তিনি সকাল আটটা ১০ মিনিটে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখন পৌনে ১০ টা বাজে। এখনো ভোট দিতে পারেননি।
সেখানেও ভোটার লাইনের আশপাশে ছাত্রলীগের সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও অন্য প্যানেলগুলোকে সেভাবে দেখা যায়নি।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে গতিতে ভোট চলছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই সব ভোটার ভোট দিতে পারবেন না।
তবে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে যে, যেসব ভোটার হলে এসে লাইনে দাঁড়াবেন, তাদের সবার ভোট নেওয়া হবে।
বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হলে গিয়েও ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
ছাত্রলীগের বাইরে অন্য প্যানেলের একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, কৃত্রিমভাবে লাইনের গতি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছে করে ভোটে সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাতে অনেক ভোটার ভোট না দিয়ে চলে যান বা যাঁরা এখনো ভোট দিতে আসেননি তাঁরা যেন আগ্রহ হারিয়ে ভোট দিতে না আসেন।
দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর বহুল আলোচিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ২১ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।
ভোট দিতে এত দীর্ঘ সময় লাগা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় ভোটারদের। তাঁদের প্রশ্ন, ভোটের লাইন এগোয় না কেন? ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য প্যানেলের প্রার্থীদের সন্দেহ, ভোট দিতে কৃত্রিমভাবে সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাতে অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে ভোটাররা চলে যান।
তবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনরত শিক্ষকেরা জানান, ৩৮টি করে (ডাকসু ও হল সংসদ মিলে) ভোট দিতে হচ্ছে বলে ভোট গ্রহণে দীর্ঘ সময় লাগছে।
সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।
জগন্নাথ হলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্যক সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা ধরে প্রায় একই জায়গায় অপেক্ষা করছি। সামনের দিকে এগোতে পারছি না। সামনে কী হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
তাঁর পাশে থাকা দুই-তিনজন ভোটার বলেন, বেশ কয়েকজন লাইনে অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে চলে গেছেন।
লাইন থেকে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, ভোট কক্ষে যাওয়ার পথে আর্চ ওয়ে দিয়ে খুব ধীর গতিতে দু একজন করে শিক্ষার্থীকে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছিল। এ সময় আশপাশে ছাত্রলীগ সমর্থক প্রার্থীদের ছবিযুক্ত কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বেশ কয়েকজনকে আর্চ ওয়ের আশপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। হল প্রভোস্টের অনুমতি নিয়ে ভোটকক্ষের সামনে গিয়ে দেখা গেল, সেখানেও ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালরত কয়েকজন শিক্ষক জানালেন, একসঙ্গে ৩৮টি ভোট দিতে সময় লেগে যাচ্ছে। তাঁদের মতে, ভোটের সময় আরও বাড়ানো উচিত ছিল।
এর আগে পৌনে ১০ টার দিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে গিয়েও দেখা গেল প্রায় একই চিত্র। বাইরে দীর্ঘ লাইন। ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে গুনে গুনে কয়েকজনকে। দীর্ঘ সময় লাগা নিয়ে লাইনে থাকা ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সুজায়ের উল্লাহ ভুঁইয়া নামে এক ভোটার বলেন, তিনি সকাল আটটা ১০ মিনিটে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখন পৌনে ১০ টা বাজে। এখনো ভোট দিতে পারেননি।
সেখানেও ভোটার লাইনের আশপাশে ছাত্রলীগের সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও অন্য প্যানেলগুলোকে সেভাবে দেখা যায়নি।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে গতিতে ভোট চলছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই সব ভোটার ভোট দিতে পারবেন না।
তবে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে যে, যেসব ভোটার হলে এসে লাইনে দাঁড়াবেন, তাদের সবার ভোট নেওয়া হবে।
বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হলে গিয়েও ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
ছাত্রলীগের বাইরে অন্য প্যানেলের একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, কৃত্রিমভাবে লাইনের গতি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছে করে ভোটে সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাতে অনেক ভোটার ভোট না দিয়ে চলে যান বা যাঁরা এখনো ভোট দিতে আসেননি তাঁরা যেন আগ্রহ হারিয়ে ভোট দিতে না আসেন।
দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর বহুল আলোচিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ২১ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।
No comments