ডাকসুতে আঞ্চলিক ভোটে নজর by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
দীর্ঘ
২৮ বছর পর কাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
একই সঙ্গে হল সংসদেরও নির্বাচন হচ্ছে। তাই গতকাল ক্যাম্পাসে প্রচার
প্রচারণার ছিল শেষ দিন। প্রচারের শেষ মুহূর্তে এসে বড় বড় প্যানেলগুলোর
প্রার্থীরা টার্গেট করেছেন আঞ্চলিক ভোটের দিকে। তারা দেশের বৃহত্তম
জেলাগুলোর ভোট নিজদের পক্ষে আনার বিভিন্ন কৌশলও নিচ্ছেন বলে ক্যাম্পাস
সূত্রগুলো জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহত্তম খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা,
নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং উত্তর অঞ্চলের শিক্ষার্থী বড়
পরিসরে রয়েছেন।
এর মধ্যে বৃহত্তম খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালীর অঞ্চলের শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি হওয়ায় ভোটও বেশি। তাই ক্ষমতাশীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এসব অঞ্চলের ভোটের প্রতি বেশি নজর দিয়েছে। সংগঠনের নেতারা গ্রুপ করে অঞ্চল ভিক্তিক ভোট টানার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে গতকাল বরিশাল, খুলনা নোয়াখালীসহ দেশের বৃহত্তর কয়েকটি জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কিভাবে ওইসব এলাকার শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি নিজেদের পক্ষে টানা যায়। তারা বৃহত্তর জেলার পটেনশিয়াল শিক্ষার্থী বা ওইসব এলাকার ক্যাম্পাসে সক্রিয় জেলার অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও আলাপ করছেন। এদিকে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে হলগুলো থাকায় তারা নিজেদের পক্ষে ভোট টানার বিভিন্ন ফন্দি তৈরি করছেন। হলের আবাসিক কক্ষগুলোতে গিয়ে তাদের অনুগত ওই কক্ষের একজনকে দায়িত্ব দিচ্ছেন। যেন সংশ্লিষ্ট কক্ষের ভোট তাদের মনোনীত প্রার্থীদের অনুকূলে আসে।
এক্ষেত্রে আবাসিক কক্ষের দায়িত্ব থাকা ছাত্রের ফোন নম্বর তারা সংরক্ষণ করছেন। যেন ভোটের দিন নিশ্চিত করে বলা য়ায়, ওই কক্ষের ওমুক ভোট দিয়েছেন অথবা ভোট দেননি। এভাবে হলের মধ্যে ভোটার চিহ্নিত করার কৌশল চলছে বলে হল সূত্রগুলো বলছে। এক্ষেত্রে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড ভয়ে আছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদলও তাদের চ্যানেলে আঞ্চলিক ভোট টানার দিকে চোখ রাখছেন। অন্যান্য প্যানেলের নেতৃবৃন্দও তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে নিজ এলাকা ভিত্তিক ভোট পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে কয়েজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো হলে প্রচারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। সাধারণ শিক্ষার্থী ও হলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, হল ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সাধারণ ভোটাররা ভয়ে আছেন। তারা সঠিকভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করা নিয়ে। এদিকে শেষদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং সরজমিন ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন হলের ভেতর-বাইরে প্রচারণা চালিয়েছেন। হলগেট ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথে যে কোনো শিক্ষার্থীকে দেখলেই সালাম দিয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কেউ লিফলেট বিলি করেছেন, আবার কেউ প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে গুণগান গাইছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৭৭২ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ১৪৫। হলভিত্তিক পাঁচটি ছাত্রী হলের ভোটার সংখ্যা- রোকেয়া হলে চার হাজার ৫৩০, শামসুন্নাহার হলে তিন হাজার ৭৩৭, কবি সুফিয়া কামাল হলে তিন হাজার ৭১০, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে এক হাজার ৯২০ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে দুই হাজার ২৪৮। ডাকসু’র ২৫টি পদ ও হল সংসদের ১৩টিসহ প্রতি ভোটার ৩৮টি ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন। সরজমিন ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রার্থীর ছোট-বড় পোস্টার, ব্যানার ও দেয়াল লিখনে গোটা ক্যাম্পাস ও হল ছেয়ে গেছে। কোথাও প্যানেলসহ ব্যানার আবার কোথাও প্রার্থীর একক পোস্টার ও ব্যানার চোখে পড়ছে। তবে ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতা বেছে নিতে ভুল করবেন না।
এর মধ্যে বৃহত্তম খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালীর অঞ্চলের শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি হওয়ায় ভোটও বেশি। তাই ক্ষমতাশীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এসব অঞ্চলের ভোটের প্রতি বেশি নজর দিয়েছে। সংগঠনের নেতারা গ্রুপ করে অঞ্চল ভিক্তিক ভোট টানার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে গতকাল বরিশাল, খুলনা নোয়াখালীসহ দেশের বৃহত্তর কয়েকটি জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কিভাবে ওইসব এলাকার শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি নিজেদের পক্ষে টানা যায়। তারা বৃহত্তর জেলার পটেনশিয়াল শিক্ষার্থী বা ওইসব এলাকার ক্যাম্পাসে সক্রিয় জেলার অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও আলাপ করছেন। এদিকে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে হলগুলো থাকায় তারা নিজেদের পক্ষে ভোট টানার বিভিন্ন ফন্দি তৈরি করছেন। হলের আবাসিক কক্ষগুলোতে গিয়ে তাদের অনুগত ওই কক্ষের একজনকে দায়িত্ব দিচ্ছেন। যেন সংশ্লিষ্ট কক্ষের ভোট তাদের মনোনীত প্রার্থীদের অনুকূলে আসে।
এক্ষেত্রে আবাসিক কক্ষের দায়িত্ব থাকা ছাত্রের ফোন নম্বর তারা সংরক্ষণ করছেন। যেন ভোটের দিন নিশ্চিত করে বলা য়ায়, ওই কক্ষের ওমুক ভোট দিয়েছেন অথবা ভোট দেননি। এভাবে হলের মধ্যে ভোটার চিহ্নিত করার কৌশল চলছে বলে হল সূত্রগুলো বলছে। এক্ষেত্রে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড ভয়ে আছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদলও তাদের চ্যানেলে আঞ্চলিক ভোট টানার দিকে চোখ রাখছেন। অন্যান্য প্যানেলের নেতৃবৃন্দও তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে নিজ এলাকা ভিত্তিক ভোট পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে কয়েজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো হলে প্রচারে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। সাধারণ শিক্ষার্থী ও হলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, হল ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সাধারণ ভোটাররা ভয়ে আছেন। তারা সঠিকভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করা নিয়ে। এদিকে শেষদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং সরজমিন ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন হলের ভেতর-বাইরে প্রচারণা চালিয়েছেন। হলগেট ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথে যে কোনো শিক্ষার্থীকে দেখলেই সালাম দিয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কেউ লিফলেট বিলি করেছেন, আবার কেউ প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে গুণগান গাইছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৭৭২ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ১৪৫। হলভিত্তিক পাঁচটি ছাত্রী হলের ভোটার সংখ্যা- রোকেয়া হলে চার হাজার ৫৩০, শামসুন্নাহার হলে তিন হাজার ৭৩৭, কবি সুফিয়া কামাল হলে তিন হাজার ৭১০, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে এক হাজার ৯২০ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে দুই হাজার ২৪৮। ডাকসু’র ২৫টি পদ ও হল সংসদের ১৩টিসহ প্রতি ভোটার ৩৮টি ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন। সরজমিন ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রার্থীর ছোট-বড় পোস্টার, ব্যানার ও দেয়াল লিখনে গোটা ক্যাম্পাস ও হল ছেয়ে গেছে। কোথাও প্যানেলসহ ব্যানার আবার কোথাও প্রার্থীর একক পোস্টার ও ব্যানার চোখে পড়ছে। তবে ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে শিক্ষার্থীরা যোগ্য নেতা বেছে নিতে ভুল করবেন না।
No comments