দোলনচাঁপায় নারীদের স্বাচ্ছন্দ্যের যাত্রা
বাসটি
দেখতে পেলেই কিছুটা পথ দৌড়ে হলেও ওঠার চেষ্টা করেন তানিয়া সুলতানা। পেশায়
চিকিৎসক এই নারী বলেন, ধাক্কাধাক্কি নেই, সিট মেলে। ফ্যানগুলোও চলে। সবচেয়ে
স্বস্তির কথা, হয়রানির শিকার হওয়ার ভয় নেই।
দোলনচাঁপা বাস সার্ভিস নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান এই নারী। বাসের অন্য যাত্রীদের অভিজ্ঞতাও মোটামুটি একই রকম। তবে বয়সভেদে সবাই বাসের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
রাজধানীর নারীদের যাতায়াতে সেবার পরিধি বাড়াতে গত বছরের ২ জুন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দোলনচাঁপা নামে একটি বাস চালু করে র্যাংগস গ্রুপ এবং ভারতীয় ভলভো আইশার ভেহিক্যাল লিমিটেড। নারী যাত্রীদের আগ্রহের কারণে আরও তিনটি বাড়িয়ে এখন দোলনচাঁপা বাসের সংখ্যা চার। দুই রুটে প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বাসগুলো চলে।
দুটি করে দোলনচাঁপা সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে মিরপুর ১২ নম্বর এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে মতিঝিল এবং আজিমপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ জন্য যাত্রীকে দূরত্বভেদে ভাড়া দিতে হয় পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। এর পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারীদের জন্য রাজধানীতে ১৭টি বাস চলে।
গতকাল বিকেলে মিরপুরের ১২ নম্বর থেকে দোলনচাঁপা বাসে উঠে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আসাতে দেখা যায়, যাত্রীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। তবু ৩৭ আসনের বাসে কয়েকটি আসন ফাঁকাই ছিল। আগে বাসটির বিষয়ে নারীরা তেমন জানতেন না। এখন নারীরা জানেন এবং বাসটি পেলে ওঠার চেষ্টা করেন।
মেয়ে নুরজাহান আক্তারকে নিয়ে শাহবাগে যাবেন মিরপুর ১০ নম্বরের বাসিন্দা রেহানা পারভীন। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও গন্তব্যে যেতে পছন্দসই বাস পাচ্ছিলেন না। এমন সময় বেগুনি রঙের দোলনচাঁপা বাস তাঁদের চোখে পড়ে। মা-মেয়ে দ্রুত উঠে পড়েন। রেহানা বলেন, এই বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা ভালো। অন্য বাসে যখন ভিড়ের জন্য ওঠা দায়, তখন এটাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করা যায়।
একটি বাসে ৯ মাস ধরে চালকের সহকারীর হিসেবে আছেন রোজিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘বাসে পুরুষ তোলার নিয়ম নেই বলে অনেক নারী সঙ্গে থাকা পুরুষকে রেখে উঠতে পারেন না। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো নারী অবশ্য সঙ্গে থাকা পুরুষ সদস্যকে রেখে বাসে ওঠেন। তবে কম বয়সী ছেলে হলে তুলে নেই। সকালে এবং সন্ধ্যায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকে।’
স্কুল–ফেরত ছেলেকে নিয়ে বাসে উঠেছেন শায়লা আহমেদ। তিনি নিয়মিত এই বাসে তেজকুনিপাড়ার বাসায় ফেরেন বলে জানান। উদ্যোক্তা এই নারী বলেন, নারীরা এখন নানামুখী কাজে যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু যাতায়াতেও বিভিন্ন রকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ধরনের বাসের সংখ্যা আরও বাড়ালে নারীদের চলাচল সহজ হবে।
যাত্রীরা জানান, গণপরিবহনে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা তিক্ত, কখনো কখনো ভয়ংকর। সিট নেই বলে নারী যাত্রীদের বাসে উঠতে দেওয়া হয় না। চালকের সহকারীরা ওঠা-নামা করার সময় গায়ে হাত দেন। খারাপ ব্যবহার করেন। পুরুষ সহযাত্রীর হাতে হেনস্তা হতে হয়। নারীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বাসের সংখ্যা বাড়ালে ভোগান্তি-হয়রানি কমবে বলে জানান তাঁরা।
দোলনচাঁপা কর্তৃপক্ষ জানায়, সেবার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি দোলনচাঁপা বাসে চারটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং একটি হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রও রাখা আছে।
র্যাংগস মোটরস লিমিটেডের দোলনচাঁপা প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা শামিতা তাবাসসুম প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাসের সেবা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে জানাশোনা এবং সেবা নেওয়ার হার বাড়লে পর্যায়ক্রমে বাসের সংখ্যা ১০ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
দোলনচাঁপা বাস সার্ভিস নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান এই নারী। বাসের অন্য যাত্রীদের অভিজ্ঞতাও মোটামুটি একই রকম। তবে বয়সভেদে সবাই বাসের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
রাজধানীর নারীদের যাতায়াতে সেবার পরিধি বাড়াতে গত বছরের ২ জুন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দোলনচাঁপা নামে একটি বাস চালু করে র্যাংগস গ্রুপ এবং ভারতীয় ভলভো আইশার ভেহিক্যাল লিমিটেড। নারী যাত্রীদের আগ্রহের কারণে আরও তিনটি বাড়িয়ে এখন দোলনচাঁপা বাসের সংখ্যা চার। দুই রুটে প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বাসগুলো চলে।
দুটি করে দোলনচাঁপা সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে মিরপুর ১২ নম্বর এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে মতিঝিল এবং আজিমপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ জন্য যাত্রীকে দূরত্বভেদে ভাড়া দিতে হয় পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। এর পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় নারীদের জন্য রাজধানীতে ১৭টি বাস চলে।
গতকাল বিকেলে মিরপুরের ১২ নম্বর থেকে দোলনচাঁপা বাসে উঠে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আসাতে দেখা যায়, যাত্রীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। তবু ৩৭ আসনের বাসে কয়েকটি আসন ফাঁকাই ছিল। আগে বাসটির বিষয়ে নারীরা তেমন জানতেন না। এখন নারীরা জানেন এবং বাসটি পেলে ওঠার চেষ্টা করেন।
মেয়ে নুরজাহান আক্তারকে নিয়ে শাহবাগে যাবেন মিরপুর ১০ নম্বরের বাসিন্দা রেহানা পারভীন। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও গন্তব্যে যেতে পছন্দসই বাস পাচ্ছিলেন না। এমন সময় বেগুনি রঙের দোলনচাঁপা বাস তাঁদের চোখে পড়ে। মা-মেয়ে দ্রুত উঠে পড়েন। রেহানা বলেন, এই বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা ভালো। অন্য বাসে যখন ভিড়ের জন্য ওঠা দায়, তখন এটাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করা যায়।
একটি বাসে ৯ মাস ধরে চালকের সহকারীর হিসেবে আছেন রোজিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘বাসে পুরুষ তোলার নিয়ম নেই বলে অনেক নারী সঙ্গে থাকা পুরুষকে রেখে উঠতে পারেন না। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো নারী অবশ্য সঙ্গে থাকা পুরুষ সদস্যকে রেখে বাসে ওঠেন। তবে কম বয়সী ছেলে হলে তুলে নেই। সকালে এবং সন্ধ্যায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকে।’
স্কুল–ফেরত ছেলেকে নিয়ে বাসে উঠেছেন শায়লা আহমেদ। তিনি নিয়মিত এই বাসে তেজকুনিপাড়ার বাসায় ফেরেন বলে জানান। উদ্যোক্তা এই নারী বলেন, নারীরা এখন নানামুখী কাজে যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু যাতায়াতেও বিভিন্ন রকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ধরনের বাসের সংখ্যা আরও বাড়ালে নারীদের চলাচল সহজ হবে।
যাত্রীরা জানান, গণপরিবহনে যাতায়াতের অভিজ্ঞতা তিক্ত, কখনো কখনো ভয়ংকর। সিট নেই বলে নারী যাত্রীদের বাসে উঠতে দেওয়া হয় না। চালকের সহকারীরা ওঠা-নামা করার সময় গায়ে হাত দেন। খারাপ ব্যবহার করেন। পুরুষ সহযাত্রীর হাতে হেনস্তা হতে হয়। নারীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বাসের সংখ্যা বাড়ালে ভোগান্তি-হয়রানি কমবে বলে জানান তাঁরা।
দোলনচাঁপা কর্তৃপক্ষ জানায়, সেবার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি দোলনচাঁপা বাসে চারটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং একটি হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রও রাখা আছে।
র্যাংগস মোটরস লিমিটেডের দোলনচাঁপা প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা শামিতা তাবাসসুম প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাসের সেবা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে জানাশোনা এবং সেবা নেওয়ার হার বাড়লে পর্যায়ক্রমে বাসের সংখ্যা ১০ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
No comments