ইসরায়েলের সমালোচনা করে বিপাকে মুসলিম কংগ্রেস সদস্য
সোমালিয়া
থেকে আসা উদ্বাস্তু ইলহান ওমর গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী
নির্বাচনে মিনেসোটা থেকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত হন। চলতি
কংগ্রেসের দুজন মুসলিম নারী সদস্যের মধ্যে তিনি একজন। ইহুদিদের প্রতি
বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তিনি এর আগে সমালোচিত হয়েছেন। এবার ইসরায়েলের
সমালোচনা করে প্রতিনিধি পরিষদে আনুষ্ঠানিক নিন্দা প্রস্তাবের সম্মুখীন
হয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে এক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে ইলহান ওমর বলেন, আমেরিকার কোনো কোনো লোকের মধ্যে ভিন্ন দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের প্রবণতা রয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যের কোথাও ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে কংগ্রেসের ভেতরে ও বাইরে অনেকেই ধরে নেন যে তিনি ইসরায়েলের কথাই বলছেন।
এর আগে ইলহান ওমর ইসরায়েলের পক্ষে লবিং করে—এমন একটি গ্রুপের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সবই হচ্ছে টাকার খেলা।
সে সময় ডেমোক্রেটিক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ওমরকে ডেকে সাবধান করে দিয়েছিলেন, যাতে এ রকম বেফাঁস কথা তিনি না বলেন। পেলোসির সঙ্গে কথা বলার পর ওমর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন।
দ্বৈত আনুগত্যের কথা বলে ওমর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় দলের প্রভাবশালী সদস্যদের কোপানলে পড়েন। তাঁরা ইসরায়েলের প্রবল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। সে কারণে তাঁরা ওমরের কথাকে নিজেদের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে ধরে নেন।
রিপাবলিকান নেতারা ওমরের মন্তব্যকে ইহুদিবিদ্বেষী হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তাঁর ব্যাপারে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের দাবি তোলেন। তাঁদের কেউ কেউ ওমরকে কংগ্রেসের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটি থেকে বহিষ্কারেরও দাবি তোলেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এই বক্তব্য সমর্থন করেন। তিনি ওমরের বক্তব্যকে ইসরায়েলের জন্য একটি অশুভ বিষয় হিসেবে অভিহিত করেন।
তবে ওমরের সমর্থনে এগিয়ে আসেন কংগ্রেসের একাধিক নবনির্বাচিত সদস্য। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়া-করতেজ। তিনি প্রশ্ন করেন, মন্তব্যের কারণে যাঁরা ওমরকে কমিটি থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন, তাঁরা তো হিস্পানিক বা অন্যান্য জাতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্য কখনো ক্ষমা চাননি। এঁরাই একসময় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কেনিয়ায় ফিরে যেতে বলেছিলেন।
ওমরকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার সঙ্গে যুক্ত করে ভার্জিনিয়ার রিপাবলিকান পার্টি একটি পোস্টার প্রকাশ করেছে। এই পোস্টারের নিন্দা করে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রগতিশীল সদস্য প্রমীলা জয়পাল বলেছেন, ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কোনো কংগ্রেস সদস্যকে নিন্দা প্রস্তাবের সম্মুখীন হতে হয়নি।
বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী ফিলিস বেনিস জানান, যে অনুষ্ঠানে ওমর তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এমন কোনো কথাই বলেননি, যা ইহুদিবিদ্বেষী।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ওমরবিরোধী উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ইসরায়েলি লবিং গ্রুপ এইপ্যাক। এ থেকে বোঝা যায়, গ্রুপটি কতটা শক্তিশালী।
ওমরের নাম উল্লেখ না করে বুধবার এক প্রস্তাবে সব ধরনের ইহুদি বিদ্বেষকে নিন্দা করা হবে মর্মে একটি খসড়া বিলি করা হয়েছিল। কিন্তু ডেমোক্রেটিক পার্টির বামঘেঁষা অংশের প্রতিবাদের কারণে প্রস্তাবটি পরিবর্তন করা হয়। এখন প্রস্তাবে ইহুদি বিদ্বেষের পাশাপাশি ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বুধবারের বদলে কাল বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নে ভোট হবে।
ডেমোক্রেটিক হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন বলেছেন, প্রস্তাবটির লক্ষ্য হবে সব ধরনের ঘৃণা ও বিদ্বেষের নিন্দা জানানো।
গত সপ্তাহে এক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে ইলহান ওমর বলেন, আমেরিকার কোনো কোনো লোকের মধ্যে ভিন্ন দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের প্রবণতা রয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যের কোথাও ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে কংগ্রেসের ভেতরে ও বাইরে অনেকেই ধরে নেন যে তিনি ইসরায়েলের কথাই বলছেন।
এর আগে ইলহান ওমর ইসরায়েলের পক্ষে লবিং করে—এমন একটি গ্রুপের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সবই হচ্ছে টাকার খেলা।
সে সময় ডেমোক্রেটিক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ওমরকে ডেকে সাবধান করে দিয়েছিলেন, যাতে এ রকম বেফাঁস কথা তিনি না বলেন। পেলোসির সঙ্গে কথা বলার পর ওমর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন।
দ্বৈত আনুগত্যের কথা বলে ওমর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় দলের প্রভাবশালী সদস্যদের কোপানলে পড়েন। তাঁরা ইসরায়েলের প্রবল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। সে কারণে তাঁরা ওমরের কথাকে নিজেদের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে ধরে নেন।
রিপাবলিকান নেতারা ওমরের মন্তব্যকে ইহুদিবিদ্বেষী হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে তাঁর ব্যাপারে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের দাবি তোলেন। তাঁদের কেউ কেউ ওমরকে কংগ্রেসের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটি থেকে বহিষ্কারেরও দাবি তোলেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এই বক্তব্য সমর্থন করেন। তিনি ওমরের বক্তব্যকে ইসরায়েলের জন্য একটি অশুভ বিষয় হিসেবে অভিহিত করেন।
তবে ওমরের সমর্থনে এগিয়ে আসেন কংগ্রেসের একাধিক নবনির্বাচিত সদস্য। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়া-করতেজ। তিনি প্রশ্ন করেন, মন্তব্যের কারণে যাঁরা ওমরকে কমিটি থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন, তাঁরা তো হিস্পানিক বা অন্যান্য জাতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের জন্য কখনো ক্ষমা চাননি। এঁরাই একসময় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কেনিয়ায় ফিরে যেতে বলেছিলেন।
ওমরকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার সঙ্গে যুক্ত করে ভার্জিনিয়ার রিপাবলিকান পার্টি একটি পোস্টার প্রকাশ করেছে। এই পোস্টারের নিন্দা করে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রগতিশীল সদস্য প্রমীলা জয়পাল বলেছেন, ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কোনো কংগ্রেস সদস্যকে নিন্দা প্রস্তাবের সম্মুখীন হতে হয়নি।
বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী ফিলিস বেনিস জানান, যে অনুষ্ঠানে ওমর তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এমন কোনো কথাই বলেননি, যা ইহুদিবিদ্বেষী।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ওমরবিরোধী উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ইসরায়েলি লবিং গ্রুপ এইপ্যাক। এ থেকে বোঝা যায়, গ্রুপটি কতটা শক্তিশালী।
ওমরের নাম উল্লেখ না করে বুধবার এক প্রস্তাবে সব ধরনের ইহুদি বিদ্বেষকে নিন্দা করা হবে মর্মে একটি খসড়া বিলি করা হয়েছিল। কিন্তু ডেমোক্রেটিক পার্টির বামঘেঁষা অংশের প্রতিবাদের কারণে প্রস্তাবটি পরিবর্তন করা হয়। এখন প্রস্তাবে ইহুদি বিদ্বেষের পাশাপাশি ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বুধবারের বদলে কাল বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নে ভোট হবে।
ডেমোক্রেটিক হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন বলেছেন, প্রস্তাবটির লক্ষ্য হবে সব ধরনের ঘৃণা ও বিদ্বেষের নিন্দা জানানো।
No comments