ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করায় পাকিস্তানে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ
ভারতীয়
বিমান ভূপাতিত করার খবরে পাকিস্তানের হায়দরাবাদে উল্লাস করেছে বিভিন্ন
রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। বুধবার তারা রাস্তায় রাস্তায় নেমে
উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে। ‘ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব’ দেয়ার কারণে
তারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। অনেক স্থানে
শিক্ষার্থীদের দেখা যায় উর্দুতে লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল করছে। তাদের
মধ্যে মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি পতাকা
হাতে নিয়ে নাচতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষকে। এ খবর দিয়েছে
পাকিস্তানের অনলাইন ডন পত্রিকা।
এতে বলা হয়, ভারতের যুদ্ধবাজ মনোভাবের নিন্দা জানিয়ে হায়দরাবাদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতারা বিবৃতি দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তিকে খর্ব করছে ভারত। সিন্ধু প্রদেশে ঐতিহ্যবাহী পাকিস্তান পিপলস পার্টির সদস্য আবদুল জব্বার খান বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু ভারতী শাসকরা যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছেন। সব সময়ই যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। তিনি আরো বলেন, ভারতকে এখন অবশ্যই বুঝতেহ হবে যে, সব কিছুকেই নিজেদের মতো করে অনুমোদন করিয়ে নেবে এমনটা ভারতের ভাবা উচিত নয়।
আবদুল জব্বার খান আরো বলেন, পাকিস্তানের অখণ্ডতা নিয়ে কোনো সমঝোতা হবে না। তাই রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় শক্তি ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানে।
সিন্ধু তারাক্কি-পছন্দ পার্টির চেয়ারম্যান ড. কাদির মাগসি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমেই উত্তপ্তকর পরিস্থিতি বিশ্ব শান্তিকে হুমকিতে ফেলছে। দুই দেশের শাসকদেরই উচিত সব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। তিনি আশঙ্কা করেন, ‘প্রক্সি ওয়্যার’-এর রণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে সিন্ধু। কারণ, শুধু জাতিগত সন্ত্রাসীরাই নয়, ধর্মীয় উগ্রপন্থি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সিন্ধুকে বিভক্ত করার জন্য সন্ত্রাসকে উস্কে দিতে পারে। আর তাতে সমর্থন দেবে ভারত।
কওমি আওয়ামী তেহরিকের প্রেসিডেন্ট আয়াজ লতিফ পালিজো ভারতকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা এই অঞ্চলকে যুদ্ধের ভিতর ঠেলে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ জন্য তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আয়াজ লতিফ আরো বলেন, শান্তিকে অনুমোদন দেয়ার জন্য কর্তারপুর সীমান্ত উন্মুক্ত করেছে পাকিস্তান। ভিসা নীতি শিথিল করেছে। পালওয়ামা হামলার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু ওই হামলার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারত দায়ী করছে পাকিস্তানকে। তিনি অভিযোগ করেন, সিপিইসি থেকে পাকিস্তানকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশগুলো ও পশ্চিমা শক্তিগুলো। তা ছাড়া পাকিস্তানের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায় ভারত।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান, চীন, ইরান, সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা মেনে নিতে পারছে না ভারত, আফগানিস্তান, ইসরাইল ও বিশ্বশক্তিগুলো। তা ছাড়া সামনেই জাতীয় নির্বাচন ভারতে। সেই নির্বাচনে এই উত্তেজনাকে ব্যবহার করছে ভারতের শাসকরা।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা হাফিজ তাহির মজীদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ নেতা ইমরান কুরেশি বলেছেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার মধ্য দিয়ে ভারতের প্রপাগান্ডার মুখোশ খুলে গেছে।
ওদিকে সুক্কুরে মাজদুর শেহরি ইত্তেহাদের নেতাকর্মীরা র্যালি করেছে জ্যাকোবাবাদে। ভারতের উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য তারা পাকিস্তান সেনাদের প্রশংসা করেছে। ইত্তেহাদ চেয়ারম্যান হাজি গোলাম নবী রিন্ড ও অন্যরা ডিসি চকে বক্তব্য রেখেছেন। তারা সেখানে র্যালি করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জবাব সেলিব্রেট করেছেন। ওই র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নেচেছেন। ড্রাম বাজিয়ে উল্লাস করেছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন। বিতরণ করেছেন মিষ্টি। কান্ধকোটে সেনাদের সমর্থনে র্যালি করেছেন জামায়াতে ইসলামী এবং কওমি আমন কমিটির নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা দেশকে নিরাপদ রাখতে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত বলে জানান।
মিরপুখহাসে আনজুম তাহিরান, ইয়াং লয়ার্স ফোরাম, উলেমা একশন কমিটি র্যালি করেছে সেনাদের সমর্থনে। সেখানে ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ভারত যদি যুদ্ধ চায় তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাশে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
নাওয়াবশাহতে আনজুম তাজহির ইত্তেহাদ ও অন্যান্য সংগঠন একই ধরণের বিক্ষোভ র্যালি বের করে। এ সময় ইত্তেহাদ নেতারা বলেন, শিশু ও নারীরা সহ প্রতিজন পাকিস্তানি তাদের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর পাশে আছেন। এ সময় তারা ভারতীয় আগ্রাসনের নিন্দা জানান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সতর্ক করেন ‘চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ’ নিয়ে।
এতে বলা হয়, ভারতের যুদ্ধবাজ মনোভাবের নিন্দা জানিয়ে হায়দরাবাদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতারা বিবৃতি দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তিকে খর্ব করছে ভারত। সিন্ধু প্রদেশে ঐতিহ্যবাহী পাকিস্তান পিপলস পার্টির সদস্য আবদুল জব্বার খান বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু ভারতী শাসকরা যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছেন। সব সময়ই যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। তিনি আরো বলেন, ভারতকে এখন অবশ্যই বুঝতেহ হবে যে, সব কিছুকেই নিজেদের মতো করে অনুমোদন করিয়ে নেবে এমনটা ভারতের ভাবা উচিত নয়।
আবদুল জব্বার খান আরো বলেন, পাকিস্তানের অখণ্ডতা নিয়ে কোনো সমঝোতা হবে না। তাই রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় শক্তি ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানে।
সিন্ধু তারাক্কি-পছন্দ পার্টির চেয়ারম্যান ড. কাদির মাগসি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমেই উত্তপ্তকর পরিস্থিতি বিশ্ব শান্তিকে হুমকিতে ফেলছে। দুই দেশের শাসকদেরই উচিত সব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। তিনি আশঙ্কা করেন, ‘প্রক্সি ওয়্যার’-এর রণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে সিন্ধু। কারণ, শুধু জাতিগত সন্ত্রাসীরাই নয়, ধর্মীয় উগ্রপন্থি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সিন্ধুকে বিভক্ত করার জন্য সন্ত্রাসকে উস্কে দিতে পারে। আর তাতে সমর্থন দেবে ভারত।
কওমি আওয়ামী তেহরিকের প্রেসিডেন্ট আয়াজ লতিফ পালিজো ভারতকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা এই অঞ্চলকে যুদ্ধের ভিতর ঠেলে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ জন্য তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আয়াজ লতিফ আরো বলেন, শান্তিকে অনুমোদন দেয়ার জন্য কর্তারপুর সীমান্ত উন্মুক্ত করেছে পাকিস্তান। ভিসা নীতি শিথিল করেছে। পালওয়ামা হামলার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু ওই হামলার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারত দায়ী করছে পাকিস্তানকে। তিনি অভিযোগ করেন, সিপিইসি থেকে পাকিস্তানকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশগুলো ও পশ্চিমা শক্তিগুলো। তা ছাড়া পাকিস্তানের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায় ভারত।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান, চীন, ইরান, সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা মেনে নিতে পারছে না ভারত, আফগানিস্তান, ইসরাইল ও বিশ্বশক্তিগুলো। তা ছাড়া সামনেই জাতীয় নির্বাচন ভারতে। সেই নির্বাচনে এই উত্তেজনাকে ব্যবহার করছে ভারতের শাসকরা।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা হাফিজ তাহির মজীদ ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ নেতা ইমরান কুরেশি বলেছেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার মধ্য দিয়ে ভারতের প্রপাগান্ডার মুখোশ খুলে গেছে।
ওদিকে সুক্কুরে মাজদুর শেহরি ইত্তেহাদের নেতাকর্মীরা র্যালি করেছে জ্যাকোবাবাদে। ভারতের উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য তারা পাকিস্তান সেনাদের প্রশংসা করেছে। ইত্তেহাদ চেয়ারম্যান হাজি গোলাম নবী রিন্ড ও অন্যরা ডিসি চকে বক্তব্য রেখেছেন। তারা সেখানে র্যালি করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জবাব সেলিব্রেট করেছেন। ওই র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নেচেছেন। ড্রাম বাজিয়ে উল্লাস করেছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন। বিতরণ করেছেন মিষ্টি। কান্ধকোটে সেনাদের সমর্থনে র্যালি করেছেন জামায়াতে ইসলামী এবং কওমি আমন কমিটির নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা দেশকে নিরাপদ রাখতে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত বলে জানান।
মিরপুখহাসে আনজুম তাহিরান, ইয়াং লয়ার্স ফোরাম, উলেমা একশন কমিটি র্যালি করেছে সেনাদের সমর্থনে। সেখানে ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ভারত যদি যুদ্ধ চায় তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাশে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
নাওয়াবশাহতে আনজুম তাজহির ইত্তেহাদ ও অন্যান্য সংগঠন একই ধরণের বিক্ষোভ র্যালি বের করে। এ সময় ইত্তেহাদ নেতারা বলেন, শিশু ও নারীরা সহ প্রতিজন পাকিস্তানি তাদের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর পাশে আছেন। এ সময় তারা ভারতীয় আগ্রাসনের নিন্দা জানান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সতর্ক করেন ‘চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ’ নিয়ে।
No comments