সুস্থ মানুষ এমন নির্বাচন করতে পারে না -ড. কামাল হোসেন
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে রাজচালাকি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের
আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, মানসিকভাবে কোনো
সুস্থ মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে না। আসুন জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সংবিধান
অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকার গঠন করি। বঙ্গবন্ধুর
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক
আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল বলেন, কোনো সুস্থ মানুষ দেশকে
সংকটে ফেলতে পারেন না। কিভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, তার জন্য
জাতীয় সংলাপ করা হোক। জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক সংবিধানের
মধ্যে থেকে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। তিনি বলেন, আমি সরলভাবে
বলেছিলাম, সকাল-সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন এবং কেন্দ্র পাহারা দিন।
কিন্তু ভোট তো রাতেই হয়ে গেছে। ভারসাম্যহীন মানুষ ছাড়া কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে তথাকথিত নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
ড. কামাল বলেন, আমার খুব দুঃখ লাগে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও ৩০ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটলো এটা দেখতে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আমি বিশ্বাস করতে পারি না। এটা হওয়ার কথা না। ৪৮ বছর পরে এটা কেন হবে? তিনি বলেন, আমি আজকে প্রশ্ন রাখতে চাই, এইসব অস্বাভাবিক কাজ কেন হচ্ছে? তৃতীয়বারের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। ৩০০ লোক সংসদ সদস্য হয়ে গেছে। আর বিরোধীদলে সাত জন, আমাদের দুজন। এটার অর্থটা কী? এটা একটা খেলা নাকি? ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে কী খেলা করা যায়? সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে উচ্চারণ হচ্ছে সরকার নাটক করেছে। আমি মনে করি মানসিকভাবে ভারসাম্য না হারালে এগুলো হয় না। ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষ নেতা বলেন, চুপি চুপি রাতে কি হলো, সকালে জানিয়ে দিল যে ভোট শেষ।
রাষ্ট্রকে নিয়ে এভাবে খেলা করা তো চলে না। আমি মনে করি যারা এগুলো করছে হয় তারা না বুঝে করছে। তাদেরকে যারা উপদেশ দিচ্ছে, তারা সঠিক উপদেশ দিচ্ছে না। এই ধরনের কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সংবিধান অনুযায়ী এটা হয় না। সংবিধান মানতে সবাই বাধ্য। সংবিধানের ঊর্ধ্বে কেউ না। কিন্তু এসব সংকট কেন সৃষ্টি করা হচ্ছে? বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতার মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৪ সালে কেউ নির্বাচনে গেলো না। তারা বললো, সাময়িকভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে। কিন্তু তারা নির্বাচন না দিয়ে পাঁচ বছর থাকলো। পাঁচ বছর পরে যখন নির্বাচন আসলো, এখনও এই প্রহসন দেখতে হচ্ছে। এটাকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজচালাকি। আমরা রাজনীতি থেকে সরে রাজচালাকিতে চলে যাচ্ছি।
৩০শে ডিসেম্বর যেটা হয়েছে, সেটা রাজচালাকির একটা সুন্দর উদাহরণ। ড. কামাল বলেন, আমি বলবো- এই রাজচালাকি থেকে বিরত থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যা করার করেন। এ ছাড়া কোনো বিকল্প হতে পারে না। কারও জন্য এটা মঙ্গল হবে না। যারা করবে তাদের জন্যও না, যাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে তাদের তো একদমই হবে না। তিনি বলেন, এখানে সংকট বা বিরোধ সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেন সংকট সৃষ্টি করছেন। এটা কোনো সুস্থ মানুষের করার কথা না। আমি আবার বলছি। সুস্থ মানুষ জেনেশুনে বিরোধ সৃষ্টি করবে কেন? আজকে শতকরা একশভাগ মানুষই বলবে, সরকার গঠন করতে হলে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ৩০শে ডিসেম্বর যেটা হয়েছে সেটাকি কেউ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন বলবে। আসুন বছরের প্রথম দিকে সংকট সৃষ্টি না করে সবার সঙ্গে জাতীয় সংলাপে বসি, জাতীয় সংলাপ সবচেয়ে ভালো পথ।
সংলাপের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হোক কিভাবে আমরা সংবিধানকে মেনে, নির্বাচন করে, নির্বাচিত সরকার গঠন করবো। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবু সায়িদ, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, মফিজুল ইসলাম কামাল প্রমুখ।
কিন্তু ভোট তো রাতেই হয়ে গেছে। ভারসাম্যহীন মানুষ ছাড়া কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে তথাকথিত নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
ড. কামাল বলেন, আমার খুব দুঃখ লাগে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও ৩০ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটলো এটা দেখতে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আমি বিশ্বাস করতে পারি না। এটা হওয়ার কথা না। ৪৮ বছর পরে এটা কেন হবে? তিনি বলেন, আমি আজকে প্রশ্ন রাখতে চাই, এইসব অস্বাভাবিক কাজ কেন হচ্ছে? তৃতীয়বারের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। ৩০০ লোক সংসদ সদস্য হয়ে গেছে। আর বিরোধীদলে সাত জন, আমাদের দুজন। এটার অর্থটা কী? এটা একটা খেলা নাকি? ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে কী খেলা করা যায়? সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে উচ্চারণ হচ্ছে সরকার নাটক করেছে। আমি মনে করি মানসিকভাবে ভারসাম্য না হারালে এগুলো হয় না। ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষ নেতা বলেন, চুপি চুপি রাতে কি হলো, সকালে জানিয়ে দিল যে ভোট শেষ।
রাষ্ট্রকে নিয়ে এভাবে খেলা করা তো চলে না। আমি মনে করি যারা এগুলো করছে হয় তারা না বুঝে করছে। তাদেরকে যারা উপদেশ দিচ্ছে, তারা সঠিক উপদেশ দিচ্ছে না। এই ধরনের কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সংবিধান অনুযায়ী এটা হয় না। সংবিধান মানতে সবাই বাধ্য। সংবিধানের ঊর্ধ্বে কেউ না। কিন্তু এসব সংকট কেন সৃষ্টি করা হচ্ছে? বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতার মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৪ সালে কেউ নির্বাচনে গেলো না। তারা বললো, সাময়িকভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে। কিন্তু তারা নির্বাচন না দিয়ে পাঁচ বছর থাকলো। পাঁচ বছর পরে যখন নির্বাচন আসলো, এখনও এই প্রহসন দেখতে হচ্ছে। এটাকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজচালাকি। আমরা রাজনীতি থেকে সরে রাজচালাকিতে চলে যাচ্ছি।
৩০শে ডিসেম্বর যেটা হয়েছে, সেটা রাজচালাকির একটা সুন্দর উদাহরণ। ড. কামাল বলেন, আমি বলবো- এই রাজচালাকি থেকে বিরত থাকেন। সংবিধান অনুযায়ী আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যা করার করেন। এ ছাড়া কোনো বিকল্প হতে পারে না। কারও জন্য এটা মঙ্গল হবে না। যারা করবে তাদের জন্যও না, যাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে তাদের তো একদমই হবে না। তিনি বলেন, এখানে সংকট বা বিরোধ সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেন সংকট সৃষ্টি করছেন। এটা কোনো সুস্থ মানুষের করার কথা না। আমি আবার বলছি। সুস্থ মানুষ জেনেশুনে বিরোধ সৃষ্টি করবে কেন? আজকে শতকরা একশভাগ মানুষই বলবে, সরকার গঠন করতে হলে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ৩০শে ডিসেম্বর যেটা হয়েছে সেটাকি কেউ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন বলবে। আসুন বছরের প্রথম দিকে সংকট সৃষ্টি না করে সবার সঙ্গে জাতীয় সংলাপে বসি, জাতীয় সংলাপ সবচেয়ে ভালো পথ।
সংলাপের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হোক কিভাবে আমরা সংবিধানকে মেনে, নির্বাচন করে, নির্বাচিত সরকার গঠন করবো। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবু সায়িদ, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, মফিজুল ইসলাম কামাল প্রমুখ।
No comments