বাংলাদেশের রাজকোষ চুরি, সেই ব্যাংক ম্যানেজারের জেল
বাংলাদেশের
রাজকোষ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল
ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ম্যানেজার মাইয়া সান্তোষ
দিগুইতোকে জেল দিয়েছে সেখানকার মাকাতি রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্ট। তার
বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের প্রতিটির জন্য ৪ থেকে ৭ বছর করে জেল দেয়া
হয়েছে।
সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলা থেকে ক্যাসিনো বস বলে পরিচিত কিম ওং’কে খালাস দিয়েছেন আদালত। এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে হ্যাকিং করে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের মাকাতিতে জুপিটার স্ট্রিট শাখায় চলে যায়। তখন ওই শাখার ম্যানেজার ছিলেন মাইয়া দিগুইতো। গতকাল তার বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা হয়েছে। যেসব অ্যাকাউন্টধারীর নামে অর্থ গিয়েছিল বলে অভিযোগ তার মধ্যে রয়েছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড স্যান্তোস ভারগারা ও এনরিকো টিওডোরো ভাসকুয়েজ।
তাদের বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের এবিএস-সিবিএন নিউজ ও জিএমএ নিউজ।
রায় ঘোষণার পর মাইয়া দিগুইতোর আইনজীবী দেমিত্রিও কাস্টোডিও বলেছেন, তার মক্কেল ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত। তবে আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। সেই আপিলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিগুইতোকে জেল দেয়া যাবে না। তিনি বলেছেন, আমরা আদালতকে বলেছি, দিগুইতো ব্যাংকে যে পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন তার সেই দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে দায়ী করা যায় না। কারণ, ব্যাংকে তার পদটি ছিল কাস্টমার কেয়ার বিষয়ক। ফলে ব্যাংকে যে লেনদেন হয় তার অপারেশনাল কাজের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে সরকার শুধু একজন নিচের দিকের কর্মকর্তাকে বিচার করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার দায় রয়েছে। অর্থ লেনদেনে তাদের ভূমিকা দিগুইতোর চেয়ে অনেক বেশি। দিগুইতোর আরেক আইনজীবী ফার্দিনান্দ টোপাসিও এ রায়কে বিচার বিভাগের হাস্যকর অভিযোগ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের আইন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে তদন্ত করেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যখন ওই বিশাল অংকের অর্থ পাচার হয় তখন থেকে এখন পর্যন্ত এ ইস্যুটি সারাবিশ্বকে আলোড়িত করেছে। সাইবার হামলায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থবিশ্লেষকরা। এর ফলে দুনিয়াজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরসিবিসির দাবি, সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলো এই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের গাফিলতিকে ঢাকার চেষ্টা করছে। ওদিকে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক ফেডারেলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ যখন পাচার হয়ে আসে আরসিবিসির জুপিটার স্ট্রিট শাখায় তখন এর ম্যানেজার ছিলেন দিগুইতো। এই ব্যাংকে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক নামে জমা হয় ওই অর্থ। এর থেকে কিছু অর্থ চলে যায় ক্যাসিনোতে। ওই অর্থ হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। কারণ, তা কার কাছ থেকে কার কাছে গেছে তার কোনো হদিস নেই। তবে ক্যাসিনো বস বলে পরিচিত কিম ওং চুরি যাওয়া অর্থ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন। ফিলিপাইনে অর্থ পাচার বিরোধী আইনের আওতায় ছিল না ক্যাসিনো। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচারের ঘটনা ধরা পড়ার পর ফিলিপাইনের সিনেটে বেশ কয়েক দফা শুনানি হয়। তা সরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। এ আইনে ক্যাসিনো ব্যবসাকে অর্থ পাচার বিরোধী কাউন্সিলের আওতায় আনা হয়।
সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলা থেকে ক্যাসিনো বস বলে পরিচিত কিম ওং’কে খালাস দিয়েছেন আদালত। এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে হ্যাকিং করে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের মাকাতিতে জুপিটার স্ট্রিট শাখায় চলে যায়। তখন ওই শাখার ম্যানেজার ছিলেন মাইয়া দিগুইতো। গতকাল তার বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা হয়েছে। যেসব অ্যাকাউন্টধারীর নামে অর্থ গিয়েছিল বলে অভিযোগ তার মধ্যে রয়েছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড স্যান্তোস ভারগারা ও এনরিকো টিওডোরো ভাসকুয়েজ।
তাদের বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের এবিএস-সিবিএন নিউজ ও জিএমএ নিউজ।
রায় ঘোষণার পর মাইয়া দিগুইতোর আইনজীবী দেমিত্রিও কাস্টোডিও বলেছেন, তার মক্কেল ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত। তবে আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। সেই আপিলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিগুইতোকে জেল দেয়া যাবে না। তিনি বলেছেন, আমরা আদালতকে বলেছি, দিগুইতো ব্যাংকে যে পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন তার সেই দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে দায়ী করা যায় না। কারণ, ব্যাংকে তার পদটি ছিল কাস্টমার কেয়ার বিষয়ক। ফলে ব্যাংকে যে লেনদেন হয় তার অপারেশনাল কাজের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে সরকার শুধু একজন নিচের দিকের কর্মকর্তাকে বিচার করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার দায় রয়েছে। অর্থ লেনদেনে তাদের ভূমিকা দিগুইতোর চেয়ে অনেক বেশি। দিগুইতোর আরেক আইনজীবী ফার্দিনান্দ টোপাসিও এ রায়কে বিচার বিভাগের হাস্যকর অভিযোগ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের আইন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে তদন্ত করেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যখন ওই বিশাল অংকের অর্থ পাচার হয় তখন থেকে এখন পর্যন্ত এ ইস্যুটি সারাবিশ্বকে আলোড়িত করেছে। সাইবার হামলায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থবিশ্লেষকরা। এর ফলে দুনিয়াজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরসিবিসির দাবি, সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলো এই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের গাফিলতিকে ঢাকার চেষ্টা করছে। ওদিকে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক ফেডারেলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ যখন পাচার হয়ে আসে আরসিবিসির জুপিটার স্ট্রিট শাখায় তখন এর ম্যানেজার ছিলেন দিগুইতো। এই ব্যাংকে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক নামে জমা হয় ওই অর্থ। এর থেকে কিছু অর্থ চলে যায় ক্যাসিনোতে। ওই অর্থ হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। কারণ, তা কার কাছ থেকে কার কাছে গেছে তার কোনো হদিস নেই। তবে ক্যাসিনো বস বলে পরিচিত কিম ওং চুরি যাওয়া অর্থ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন। ফিলিপাইনে অর্থ পাচার বিরোধী আইনের আওতায় ছিল না ক্যাসিনো। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচারের ঘটনা ধরা পড়ার পর ফিলিপাইনের সিনেটে বেশ কয়েক দফা শুনানি হয়। তা সরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। এ আইনে ক্যাসিনো ব্যবসাকে অর্থ পাচার বিরোধী কাউন্সিলের আওতায় আনা হয়।
No comments