নির্বাচনে ‘ভুলগুলো’ চিহ্নিত করছে বিএনপি by আব্দুল আলীম
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকা বিএনপি তাদের রাজনৈতিক ভুলগুলো চিহ্নিত করছে।
পাশাপাশি এই মুহূর্তে কোনো কঠোর আন্দোলনে না গিয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ কৌশল
মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জনেই জোর দিচ্ছে দলটি। এর অংশ হিসেবে দলের সকল অঙ্গ ও
সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন মহানগর সংগঠনকে পুনর্গঠনে গুরুত্ব দেয়া হবে।
একইসঙ্গে নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব নেতাকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো, কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মুক্ত করা প্রাথমিক
কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দলটি। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে জনমত সৃষ্টির জন্য
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সংলাপ ও ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের
বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে টানার চেষ্টা করবেন তারা। এই লক্ষ্যে
তারা বাম গণতান্ত্রিক জোট, বামফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সরকারের
বাইরে থাকা সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।
বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মানবজমিনকে জানান, সরকার কারচুপি করবে- এটা সবার ধারণা ছিল। সেই কারচুপি মোকাবিলায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও কিছু কৌশল গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সরকার এতটা বেসামাল হয়ে কাউকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেবে না, প্রার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে এমন জালিয়াতি করবে- সেটা ভাবনায়ও নেননি তারা।
সরকারের পরিকল্পনা পুরোপুরি বুঝতে না পারায় ভোটের দিন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। নেতারা বলেন, দেশি-বিদেশি সব মহলেই ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে কি হয়েছে সেসব বিষয়ে অবগত। ভোটের দিন সারা দেশে বিরোধীরা কোনো কেন্দ্রেই দাঁড়াতে পারেনি। নজিরবিহীনভাবে বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে।
এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ভোটের আগের রাতে সিল মেরে রাখাসহ প্রশাসনের ভূমিকা কি ছিল দেশবাসীর মতো অবগত বিদেশিরাও। এরপরও দলের পক্ষ থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ নেবে বিএনপি। অহিংস আন্দোলন ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হওয়া, এমনকি নির্বাচনের মাঠে দাঁড়াতে না পারায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে হতাশা দেখা দিয়েছে তাও কাটাতে চায় দলটি। নেতারা বলছেন, ভবিষ্যতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করাই হবে নতুন টার্গেট। এর জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সব ধরনের কর্মসূচিই গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতারা কোনো বৈঠক করেন নি। কবে নাগাদ বৈঠক করতে পারেন সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি মিললে সাক্ষাতের পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনে দৃশ্যত বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা হারলেও ভোটের চিত্র দেশবাসীকে একটি বড় বার্তা দিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না তা স্পষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো যুক্তিই এখন ধোপে টিকবে না। নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়েও এখন রাজনৈতিক দলগুলো ভাববে। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে তাই এ বিষয়ে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টেরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখন দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পুনর্গঠন করবো। এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের সময় আমাদের সিদ্ধান্ত ও ব্যর্থতাগুলো পর্যালোচনা করে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ হবে। সরকারের সকল ধরনের চালাকি মোকাবিলার জন্য আমাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মানবজমিনকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গিয়ে একটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না গিয়ে সঠিক কাজটি করেছিল খালেদা জিয়া। এখন আর কেউ বলে না ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছিল। সকল পর্যায়ের মানুষের ভেতর সরকারের প্রতি ক্ষোভটা বহুগুণ বেড়ে গেছে। এখন নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে দলের করণীয় কি।
বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মানবজমিনকে জানান, সরকার কারচুপি করবে- এটা সবার ধারণা ছিল। সেই কারচুপি মোকাবিলায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও কিছু কৌশল গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সরকার এতটা বেসামাল হয়ে কাউকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেবে না, প্রার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে এমন জালিয়াতি করবে- সেটা ভাবনায়ও নেননি তারা।
সরকারের পরিকল্পনা পুরোপুরি বুঝতে না পারায় ভোটের দিন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। নেতারা বলেন, দেশি-বিদেশি সব মহলেই ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে কি হয়েছে সেসব বিষয়ে অবগত। ভোটের দিন সারা দেশে বিরোধীরা কোনো কেন্দ্রেই দাঁড়াতে পারেনি। নজিরবিহীনভাবে বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে।
এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ভোটের আগের রাতে সিল মেরে রাখাসহ প্রশাসনের ভূমিকা কি ছিল দেশবাসীর মতো অবগত বিদেশিরাও। এরপরও দলের পক্ষ থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ নেবে বিএনপি। অহিংস আন্দোলন ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হওয়া, এমনকি নির্বাচনের মাঠে দাঁড়াতে না পারায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে হতাশা দেখা দিয়েছে তাও কাটাতে চায় দলটি। নেতারা বলছেন, ভবিষ্যতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করাই হবে নতুন টার্গেট। এর জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সব ধরনের কর্মসূচিই গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতারা কোনো বৈঠক করেন নি। কবে নাগাদ বৈঠক করতে পারেন সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি মিললে সাক্ষাতের পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনে দৃশ্যত বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা হারলেও ভোটের চিত্র দেশবাসীকে একটি বড় বার্তা দিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না তা স্পষ্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো যুক্তিই এখন ধোপে টিকবে না। নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়েও এখন রাজনৈতিক দলগুলো ভাববে। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে তাই এ বিষয়ে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টেরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখন দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পুনর্গঠন করবো। এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের সময় আমাদের সিদ্ধান্ত ও ব্যর্থতাগুলো পর্যালোচনা করে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ হবে। সরকারের সকল ধরনের চালাকি মোকাবিলার জন্য আমাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মানবজমিনকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গিয়ে একটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না গিয়ে সঠিক কাজটি করেছিল খালেদা জিয়া। এখন আর কেউ বলে না ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছিল। সকল পর্যায়ের মানুষের ভেতর সরকারের প্রতি ক্ষোভটা বহুগুণ বেড়ে গেছে। এখন নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে দলের করণীয় কি।
No comments