২০১৮ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বিচারবহির্ভূত হত্যা ৪৬৬
গত
বছরজুড়ে দেশে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।
ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭শ’র বেশি নারী ও শিশু। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
পরিচয়ে অপহরণ ও গুম করা হয়েছে ৩৪ জনকে। জাতীয় নির্বাচনের সহিংসতায় নিহত
হয়েছেন অন্তত ৩৪ জন। এ ছাড়াও গায়েবি মামলায় গণগ্রেপ্তার, মতপ্রকাশের
অধিকার হরণ, যৌন হয়রানি, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতনসহ
নানা ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
সংস্থাটির দাবি, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে বিগত
বছরগুলোর অগ্রগতির ধারা ২০১৮ সালে অব্যাহত থাকলেও মানবাধিকারের আরেকটি সূচক
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। বিগত
বছরগুলোর মতো ২০১৮ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক।
গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় আসক।
লিখিত বক্তব্যে সংস্থাটির সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির জানান, গত এক বছরে র্যাব-পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে (ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময়) ৪৬৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ঠা মে থেকে ৩১শে ডিসেম্বরই মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন ২৯২ জন। যা ২০১৭ সালের হিসাবকে অনেকাংশে ছাড়িয়ে গেছে। সে বছর এসব বিনাবিচারে নিহত হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৬২ জন। গত বছর মে মাসে কক্সবাজারের পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে আসে। পাশাপাশি গ্লোরি পরিবহনে চালক ফারুক হোসেনসহ চার যুবকের চাঞ্চল্যকর হত্যার বিষয়টিও তুলে ধরে আসক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গুম, অপহরণের ঘটনায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে সংস্থাটি জানায়, এক বছরে অন্তত ৩৪ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ১৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেলেও অধিকাংশকেই বিভিন্ন মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১০ই জুন মিরপুরে নিজ বাসা থেকে মোহন মিয়া নামের এক যুবককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজের বিষয়টিও উল্লেখ করে আসক। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করলেও এখন পর্যন্ত মোহনের কোনো সন্ধান মেলেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ২০১৮ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩২ জন। এরমধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৬৩ জন ও আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭০টি সহিংসতার ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯ জন ও বিএনপির ৪ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৭০১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও তথ্য ও যোগাযোগ আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সমরূপ আটটি ধারা সন্নিবেশিত হয়েছে। এসব ধারায় মতপ্রকাশের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ২০১৮ সালে বখাটেদের কাছে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৭৩ জন। যার মধ্যে ১১৬ জন নারী। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ জন নারীসহ খুন হয়েছেন ১২ জন। এ ছাড়া সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে ৭ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়ছেন ১৯৫ জন। এর মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন ৮৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৬ জন। ২০১৭ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন ১৭০ জন। অন্যদিকে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪০৯ জন। এ ছাড়া ৫৮ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ নারী, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ২৬ নারী এবং নির্যাতনসহ বিভিন্ন কারণে মারা যান ১৮ জন। অপরদিকে এসিড নিক্ষেপের শিকার হন ২২ জন। এর মধ্যে একজন মারা যান।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালে হিন্দু সমপ্রদায়ের উপাসনালয়ে ৯৭টি প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ২৯টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে একজন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আসক জানায়, গত বছরে হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানিসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৭ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া দুর্বৃত্তদের হাতে ৩ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীন মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতার ও সভা-সমাবেশের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও এসব অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বছরের বিভিন্ন সময়ে। পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা মতপ্রকাশের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ ছাড়া সভা-সমাবেশের অধিকারও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
একই বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৮ জন ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে ৬ জনসহ মোট ১৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শিশু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আসক জানায়, ২০১৮ সালে এক হাজার ১১ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এসব কারণে ২৮৩ জন শিশু নিহত এবং আত্মহত্যার কারণে ১০৮ জন শিশু এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয় ২৮ শিশুর। এ ছাড়া যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয় ৪৪৪ শিশু।
সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ৪৮৪টি দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আদিবাসীদের অধিকার পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দীর্ঘদিনের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। আসকের প্রতিবেদনে দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, ত্রুটি এবং চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যুসহ রোগীর ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাশা প্রকাশ করে আসকের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজা বলেন, সবার সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নও সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে, যে সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে রাষ্ট্র সেসব হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান করবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অধিকার স্বাধীন দেশে কারো নেই। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আসকের সিনিয়র ডেপুটি পরিচালক নিনা গোস্বামী ও নির্বাহী সদস্য তাহমিনা রহমান।
লিখিত বক্তব্যে সংস্থাটির সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির জানান, গত এক বছরে র্যাব-পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে (ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময়) ৪৬৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ঠা মে থেকে ৩১শে ডিসেম্বরই মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন ২৯২ জন। যা ২০১৭ সালের হিসাবকে অনেকাংশে ছাড়িয়ে গেছে। সে বছর এসব বিনাবিচারে নিহত হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৬২ জন। গত বছর মে মাসে কক্সবাজারের পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে আসে। পাশাপাশি গ্লোরি পরিবহনে চালক ফারুক হোসেনসহ চার যুবকের চাঞ্চল্যকর হত্যার বিষয়টিও তুলে ধরে আসক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গুম, অপহরণের ঘটনায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে সংস্থাটি জানায়, এক বছরে অন্তত ৩৪ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ১৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেলেও অধিকাংশকেই বিভিন্ন মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১০ই জুন মিরপুরে নিজ বাসা থেকে মোহন মিয়া নামের এক যুবককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজের বিষয়টিও উল্লেখ করে আসক। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করলেও এখন পর্যন্ত মোহনের কোনো সন্ধান মেলেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ২০১৮ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩২ জন। এরমধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৬৩ জন ও আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭০টি সহিংসতার ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯ জন ও বিএনপির ৪ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৭০১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও তথ্য ও যোগাযোগ আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সমরূপ আটটি ধারা সন্নিবেশিত হয়েছে। এসব ধারায় মতপ্রকাশের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ২০১৮ সালে বখাটেদের কাছে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৭৩ জন। যার মধ্যে ১১৬ জন নারী। উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ জন নারীসহ খুন হয়েছেন ১২ জন। এ ছাড়া সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে ৭ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়ছেন ১৯৫ জন। এর মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন ৮৫ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৬ জন। ২০১৭ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন ১৭০ জন। অন্যদিকে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪০৯ জন। এ ছাড়া ৫৮ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ নারী, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ২৬ নারী এবং নির্যাতনসহ বিভিন্ন কারণে মারা যান ১৮ জন। অপরদিকে এসিড নিক্ষেপের শিকার হন ২২ জন। এর মধ্যে একজন মারা যান।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালে হিন্দু সমপ্রদায়ের উপাসনালয়ে ৯৭টি প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ২৯টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে একজন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আসক জানায়, গত বছরে হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানিসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৭ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া দুর্বৃত্তদের হাতে ৩ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীন মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতার ও সভা-সমাবেশের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও এসব অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বছরের বিভিন্ন সময়ে। পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা মতপ্রকাশের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ ছাড়া সভা-সমাবেশের অধিকারও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
একই বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৮ জন ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে ৬ জনসহ মোট ১৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শিশু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আসক জানায়, ২০১৮ সালে এক হাজার ১১ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এসব কারণে ২৮৩ জন শিশু নিহত এবং আত্মহত্যার কারণে ১০৮ জন শিশু এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয় ২৮ শিশুর। এ ছাড়া যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয় ৪৪৪ শিশু।
সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ৪৮৪টি দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আদিবাসীদের অধিকার পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দীর্ঘদিনের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। আসকের প্রতিবেদনে দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, ত্রুটি এবং চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যুসহ রোগীর ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাশা প্রকাশ করে আসকের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজা বলেন, সবার সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নও সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে, যে সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে রাষ্ট্র সেসব হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান করবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অধিকার স্বাধীন দেশে কারো নেই। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আসকের সিনিয়র ডেপুটি পরিচালক নিনা গোস্বামী ও নির্বাহী সদস্য তাহমিনা রহমান।
No comments