ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা যাচ্ছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে by মিজানুর রহমান
রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসন নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার জট খুলতে ফের আলোচনায় বসছে দুই দেশ।
আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আওতায় ঢাকায়
হবে সেই আলোচনা। বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্র সচিব নেতৃত্ব দেবেন। সেখানে
প্রত্যাবাসনের মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইবে
বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভেরিফাইড বা মিয়ানমারের গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতির কথাও জানাবে ঢাকা। বৈঠকের পরদিন
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার কথা
রয়েছে। তারা বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে কথাও বলবেন। এটি হবে গ্রুপের সদস্যদের
প্রথম ক্যাম্প পরিদর্শন যাত্রা।
ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠককে সামনে রেখে গতকাল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক। বৈঠক শেষে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রত্যাবাসনের সার্বিক বিষয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঢাকার বৈঠকে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের সময়ক্ষণ চাওয়ার যে খবর চাউর হয়েছে তার সত্যতা জানতে চাইলে সচিব বলেন, না, আমার কাছে এমন তথ্য নেই। আমরা আলোচনা করবো- এটুকুই বলতে পারি। এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে আগেই খবর বেরিয়েছে- বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার কারণে সরকারের তরফে ৩০শে অক্টোবরের বৈঠকে মিয়ানমারের কাছ থেকে প্রত্যাবাসনের একটি সুনির্দিষ্ট সময়ক্ষণ আদায়ের চেষ্টা রয়েছে। দোরগোড়ায় থাকা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যাচাইকৃত (ভেরিফায়েড) রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে অন্তত একটি ব্যাচে (প্রথম ব্যাচ) কিছু লোককে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। তবে সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য বা আগাম প্রতিক্রিয়া না দেয়ার নীতি নিয়েছেন। কূটনৈতিক সূত্র এ-ও বলছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরু করা জটিল, তবুও সরকার এটি আদায়েই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার ওই আলোচনায় চীন মধ্যস্থতা করছে বলেও সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, এ নিয়ে নিউ ইয়র্ক ও বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ফের ত্রিপক্ষীয় ওই আলোচনা হবে। আগামী মাসের শুরুতে তৃতীয় ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠক হওয়ার আভাস মিলেছে। এরইমধ্যে বেইজিংয়ের মুখপাত্র বলেছেন, রাখাইন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক আচরণ আশা করে চীন। একই সঙ্গে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা এবং পারস্পরিক সহায়তা ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে উৎসাহ যোগাচ্ছে বেইজিং।
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সরকার রাখাইনে এক হাজারের বেশি ঘর নির্মাণ করেছে। ভারতও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে রাখাইনে বাড়িঘর তৈরি করে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আসেম সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, ভেরিফাইড রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমারের তরফে রাখাইন প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো শুরু করতে চায় ঢাকা।
ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠককে সামনে রেখে গতকাল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক। বৈঠক শেষে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রত্যাবাসনের সার্বিক বিষয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঢাকার বৈঠকে মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনের সময়ক্ষণ চাওয়ার যে খবর চাউর হয়েছে তার সত্যতা জানতে চাইলে সচিব বলেন, না, আমার কাছে এমন তথ্য নেই। আমরা আলোচনা করবো- এটুকুই বলতে পারি। এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে আগেই খবর বেরিয়েছে- বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার কারণে সরকারের তরফে ৩০শে অক্টোবরের বৈঠকে মিয়ানমারের কাছ থেকে প্রত্যাবাসনের একটি সুনির্দিষ্ট সময়ক্ষণ আদায়ের চেষ্টা রয়েছে। দোরগোড়ায় থাকা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যাচাইকৃত (ভেরিফায়েড) রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে অন্তত একটি ব্যাচে (প্রথম ব্যাচ) কিছু লোককে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। তবে সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য বা আগাম প্রতিক্রিয়া না দেয়ার নীতি নিয়েছেন। কূটনৈতিক সূত্র এ-ও বলছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরু করা জটিল, তবুও সরকার এটি আদায়েই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার ওই আলোচনায় চীন মধ্যস্থতা করছে বলেও সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, এ নিয়ে নিউ ইয়র্ক ও বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ফের ত্রিপক্ষীয় ওই আলোচনা হবে। আগামী মাসের শুরুতে তৃতীয় ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠক হওয়ার আভাস মিলেছে। এরইমধ্যে বেইজিংয়ের মুখপাত্র বলেছেন, রাখাইন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক আচরণ আশা করে চীন। একই সঙ্গে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা এবং পারস্পরিক সহায়তা ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে উৎসাহ যোগাচ্ছে বেইজিং।
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সরকার রাখাইনে এক হাজারের বেশি ঘর নির্মাণ করেছে। ভারতও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে রাখাইনে বাড়িঘর তৈরি করে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আসেম সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, ভেরিফাইড রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমারের তরফে রাখাইন প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো শুরু করতে চায় ঢাকা।
No comments