সিনহা’র অ্যাকাউন্টে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুদক
ফারমার্স
ব্যাংকের দুই অ্যাকাউন্ট থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা’র
অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনায় অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের
প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ হয়ে গেছে। অনেকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা চিহ্নিত করা হয়েছে। ঋণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সেখানে অনেকেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করছি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জড়িত কিনাÑ এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকুক আর যেই থাকুক, যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেবো। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম বলতে রাজি হননি দুদক চেয়ারম্যান। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণপ্রক্রিয়া এবং এই টাকা মানি লন্ডারিং বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, নগদ উত্তোলন বিষয়ে অনেক কিছু এসেছে। দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হয়, তাই হবে। যদি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা এবং মোহাম্মদ শাহজাহান ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একইদিনে ২ কোটি করে ৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। ওইদিনই তারা টাকাগুলো পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা দেন। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে একইদিন টাকাগুলো তুলে আত্মসাৎ করা হয়। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। তবে দুদকের পক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে এ অভিযোগের অনুসন্ধানে গত ৬ই মে মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা নামে কথিত দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দুজনের আইনজীবী বিচারপতি সিনহা’র সঙ্গে লেনদেনের কথাই বলেন। আইনজীবীরা জানান, উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের পাঁচ কাঠা জমির ওপর ৫১ নম্বরের ছয়তলা বাড়িটির মালিক সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা। তিনি ছয় কোটি টাকায় বাড়িটি বিক্রি করেন টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী শান্ত্রী রায়ের কাছে। তারা বলেন, ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে বায়না দলিলের মাধ্যমে বিচারপতি এস কে সিনহা’র কাছ থেকে বাড়িটি শান্ত্রী রায় মালিক হন।
তখনই বাড়িবাবদ দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর একই বছরের ৮ই নভেম্বর দু’টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় বিচারপতি এস কে সিনহা’র অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা দেয়া হয়। পরে ২৪শে নভেম্বর এস কে সিনহা হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে শান্ত্রী রায়কে বাড়িটি লিখে দেন। তারা আরো জানান, নিরঞ্জন ও শাহজাহান ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেন। এতে থার্ড পার্টি হিসেবে শান্ত্রী রায়ের বিভিন্ন জমি মর্টগেজ হিসেবে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। এই ঋণ থেকেই বাড়ির চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। রণজিৎ চন্দ্রের চাচা নিরঞ্জন সাহা আর শাহজাহান হচ্ছে রণজিতের বন্ধু। তাদের সবার বাড়ি টাঙ্গাইল। এ ঘটনায় গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীমসহ ৬ জনকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
অন্যরা হলেনÑ বেসরকারি ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন, সাবেক ক্রেডিট অফিসার ও সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ ও নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা সুলতানা। জিজ্ঞাসাবাদ করা ৬ জন ছাড়াও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের ইমিগ্রেশন অফিসকে চিঠি দেয় দুদক।
তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ হয়ে গেছে। অনেকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা চিহ্নিত করা হয়েছে। ঋণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সেখানে অনেকেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করছি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি জড়িত কিনাÑ এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকুক আর যেই থাকুক, যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেবো। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম বলতে রাজি হননি দুদক চেয়ারম্যান। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণপ্রক্রিয়া এবং এই টাকা মানি লন্ডারিং বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, নগদ উত্তোলন বিষয়ে অনেক কিছু এসেছে। দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হয়, তাই হবে। যদি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা এবং মোহাম্মদ শাহজাহান ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একইদিনে ২ কোটি করে ৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। ওইদিনই তারা টাকাগুলো পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা দেন। এরপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে একইদিন টাকাগুলো তুলে আত্মসাৎ করা হয়। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। তবে দুদকের পক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে এ অভিযোগের অনুসন্ধানে গত ৬ই মে মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা নামে কথিত দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দুজনের আইনজীবী বিচারপতি সিনহা’র সঙ্গে লেনদেনের কথাই বলেন। আইনজীবীরা জানান, উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের পাঁচ কাঠা জমির ওপর ৫১ নম্বরের ছয়তলা বাড়িটির মালিক সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা। তিনি ছয় কোটি টাকায় বাড়িটি বিক্রি করেন টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী শান্ত্রী রায়ের কাছে। তারা বলেন, ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে বায়না দলিলের মাধ্যমে বিচারপতি এস কে সিনহা’র কাছ থেকে বাড়িটি শান্ত্রী রায় মালিক হন।
তখনই বাড়িবাবদ দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর একই বছরের ৮ই নভেম্বর দু’টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় বিচারপতি এস কে সিনহা’র অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা দেয়া হয়। পরে ২৪শে নভেম্বর এস কে সিনহা হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে শান্ত্রী রায়কে বাড়িটি লিখে দেন। তারা আরো জানান, নিরঞ্জন ও শাহজাহান ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেন। এতে থার্ড পার্টি হিসেবে শান্ত্রী রায়ের বিভিন্ন জমি মর্টগেজ হিসেবে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। এই ঋণ থেকেই বাড়ির চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। রণজিৎ চন্দ্রের চাচা নিরঞ্জন সাহা আর শাহজাহান হচ্ছে রণজিতের বন্ধু। তাদের সবার বাড়ি টাঙ্গাইল। এ ঘটনায় গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীমসহ ৬ জনকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
অন্যরা হলেনÑ বেসরকারি ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন, সাবেক ক্রেডিট অফিসার ও সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ ও নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা সুলতানা। জিজ্ঞাসাবাদ করা ৬ জন ছাড়াও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের ইমিগ্রেশন অফিসকে চিঠি দেয় দুদক।
No comments