একটি ধর্ষণের ঘটনা ও বাংলাদেশের স্বর্ণ নীতিমালা
বাংলাদেশে আজ প্রথমবারের মত 'স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮' অনুমোদিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়।
বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে বছরে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন। যার প্রায় ৩৬ মেট্রিক টন চাহিদা পূরণ করা হয় আমদানির মাধ্যমে।
কিন্তু এই স্বর্ণ আমদানি কখনো কাগজে কলমে করা হয়নি।
কেননা গুরুত্বপূর্ণ এই খাতটি নিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন নীতিমালাই ছিল না।
বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিবিসিকে বলেছেন নীতিমালা অনুমোদনের পর স্বর্ণ আমদানি করতে আর সমস্যা হবেনা।
"এতদিন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন পথে স্বর্ণ বাংলাদেশে আসতো। এটার স্থিতিশীলতা ছিলোনা। এখন নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কয়েকজন ডিলার নিযুক্ত হবে, যারা জুয়েলারি সমিতির সদস্য। তাদের চাহিদা অনুসারে তারা স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবে। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ড জানতে পারবে যে কে কতখানি আমদানি ও বিক্রি করছে"।
এখন নীতিমালা হওয়ার ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব অভিযান করে সেসব সংকট থেকে জুয়েলারি খাত মুক্তি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে এতদিন ব্যক্তিগতভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা আনার নিয়ম থাকলেও ব্যবসার জন্য বেশী পরিমান সোনা বৈধভাবে আমদানির সুযোগ ছিলোনা।
নীতিমালার বিষয়টি আলোচনায় এলো কিভাবে?
বাংলাদেশে প্রায়শই বিমানবন্দরে কাস্টমসের হাতে অবৈধ সোনা আটকের খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু সোনার অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে গত বছর জুনে।
গত বছরের ১৪ ও ১৫ইমে শুল্ক গোয়েন্দারা ঢাকায় আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ মন সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করেছিলো।
পরে তিনবার শুনানির সুযোগ পেয়েও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স।
পরে ওই বছরের ৪ঠা জুন আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম থেকে সাড়ে সাড়ে ১৩ মণ সোনা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় জব্দ করা এসব সোনা ও হীরা শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে নেয়ার কথা তখন জানিয়েছিলো শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানায় আপন জুয়েলার্সের মালিকরা শুনানিতে এসে লিখিত তথ্য দিলেও তার সাথে মজুদ সোনা ও হীরার মিল পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পরে আটক হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাইকে জেলেও যেতে হয়।
পর এগুলো জব্দ করে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হয়।
কিন্তু গোয়েন্দাদের এমন তৎপরতাকে সমর্থন দেয়নি জুয়েলারি সমিতির নেতারা।
তাদের দাবি ছিলো বাংলাদেশে সাধারণত ব্যক্তির কাছ থেকে কেনা স্বর্ণই দিয়েই তারা স্বর্ণালংকার বানিয়ে বিক্রি করে থাকেন।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসার সময় বাংলাদেশীরা সেসব স্বর্ণ আনেন সেগুলোই মূলত বাজারে বিক্রি হয় বলে দাবি করেছিলেন তারা।
তবে একই সাথে তারা জুয়েলারি ব্যবসার জন্য একটি নীতিমালার দাবিও করেছিলেন তখন।
সরকারের দিক থেকেও সংশ্লিষ্টরা এ নীতিমালার যৌক্তিকতা স্বীকার করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
পরে ওই বছরের ১৩ইজুন জুয়েলার্স সমিতির নেতাদের সাথে এক আলোচনার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অনুসন্ধানে প্রাপ্ত পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অযথা কোন অভিযান চালানো হবেনা বলে জানিয়ে দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সবার সাথে নীতিমালা তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে।
আপন জুয়েলার্স কিভাবে আলোচনায় এলো
ঢাকার একটি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত বছরের ৬ই মে ঢাকার বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
এ মামলার প্রধান আসামী ছিলো আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ।
এ নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র শোরগোলের মধ্যে ৮ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক শফিউল আজম তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য আসামিরা ছিলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
এ ঘটনার পর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের 'অবৈধ সম্পদ' খুঁজতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
সেখান থেকেই প্রায় সাড়ে তের মন সোনা উদ্ধার হয় যার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স।
এভাবেই একটি ধর্ষণের ঘটনার জের ধরে আলোচনায় উঠে আসে দেশের স্বর্ণ ব্যবসার চিত্র।
আর সে কারণেই এ ব্যবসার জন্য নীতিমালা তৈরির বিষয়েও সব পক্ষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়।
নীতিমালা নিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মন্তব্য
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি বাবু গঙ্গাচরণ মালাকার বিবিসিকে নীতিমালা হওয়াতে স্বর্ণ শিল্পী, ব্যবসায়ী ও সরকার সবাই উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, " আপনারা কোথা থেকে স্বর্ণ পান- এ প্রশ্ন আর শুনতে হবেনা আমাদের। স্বর্ণ নীতিমালা ছিলোনা বলে রপ্তানি করতে পারিনি। ব্যবসাও ঠিকমতো করতে পারিনি। এখন সরকার যেমন রাজস্ব পাবে বেশি এবং চোরাচালানও অনেকাংশ কমে যাবে"।
মিস্টার মালাকার বলেন এখন ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে স্বর্ণ কেনার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এ শিল্প আরও বিস্তৃত হবে ও স্বর্ণ শিল্পীদের কাজের আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন তারা।
সুত্রঃবিবিসি
বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে বছরে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন। যার প্রায় ৩৬ মেট্রিক টন চাহিদা পূরণ করা হয় আমদানির মাধ্যমে।
কিন্তু এই স্বর্ণ আমদানি কখনো কাগজে কলমে করা হয়নি।
কেননা গুরুত্বপূর্ণ এই খাতটি নিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন নীতিমালাই ছিল না।
বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিবিসিকে বলেছেন নীতিমালা অনুমোদনের পর স্বর্ণ আমদানি করতে আর সমস্যা হবেনা।
"এতদিন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন পথে স্বর্ণ বাংলাদেশে আসতো। এটার স্থিতিশীলতা ছিলোনা। এখন নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কয়েকজন ডিলার নিযুক্ত হবে, যারা জুয়েলারি সমিতির সদস্য। তাদের চাহিদা অনুসারে তারা স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবে। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ড জানতে পারবে যে কে কতখানি আমদানি ও বিক্রি করছে"।
এখন নীতিমালা হওয়ার ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব অভিযান করে সেসব সংকট থেকে জুয়েলারি খাত মুক্তি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে এতদিন ব্যক্তিগতভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা আনার নিয়ম থাকলেও ব্যবসার জন্য বেশী পরিমান সোনা বৈধভাবে আমদানির সুযোগ ছিলোনা।
নীতিমালার বিষয়টি আলোচনায় এলো কিভাবে?
বাংলাদেশে প্রায়শই বিমানবন্দরে কাস্টমসের হাতে অবৈধ সোনা আটকের খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু সোনার অবৈধ ব্যবসার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে গত বছর জুনে।
গত বছরের ১৪ ও ১৫ইমে শুল্ক গোয়েন্দারা ঢাকায় আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ মন সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করেছিলো।
পরে তিনবার শুনানির সুযোগ পেয়েও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স।
পরে ওই বছরের ৪ঠা জুন আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম থেকে সাড়ে সাড়ে ১৩ মণ সোনা আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় জব্দ করা এসব সোনা ও হীরা শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে নেয়ার কথা তখন জানিয়েছিলো শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানায় আপন জুয়েলার্সের মালিকরা শুনানিতে এসে লিখিত তথ্য দিলেও তার সাথে মজুদ সোনা ও হীরার মিল পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পরে আটক হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাইকে জেলেও যেতে হয়।
পর এগুলো জব্দ করে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হয়।
কিন্তু গোয়েন্দাদের এমন তৎপরতাকে সমর্থন দেয়নি জুয়েলারি সমিতির নেতারা।
তাদের দাবি ছিলো বাংলাদেশে সাধারণত ব্যক্তির কাছ থেকে কেনা স্বর্ণই দিয়েই তারা স্বর্ণালংকার বানিয়ে বিক্রি করে থাকেন।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসার সময় বাংলাদেশীরা সেসব স্বর্ণ আনেন সেগুলোই মূলত বাজারে বিক্রি হয় বলে দাবি করেছিলেন তারা।
তবে একই সাথে তারা জুয়েলারি ব্যবসার জন্য একটি নীতিমালার দাবিও করেছিলেন তখন।
সরকারের দিক থেকেও সংশ্লিষ্টরা এ নীতিমালার যৌক্তিকতা স্বীকার করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
পরে ওই বছরের ১৩ইজুন জুয়েলার্স সমিতির নেতাদের সাথে এক আলোচনার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অনুসন্ধানে প্রাপ্ত পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অযথা কোন অভিযান চালানো হবেনা বলে জানিয়ে দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সবার সাথে নীতিমালা তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে।
আপন জুয়েলার্স কিভাবে আলোচনায় এলো
ঢাকার একটি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত বছরের ৬ই মে ঢাকার বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
এ মামলার প্রধান আসামী ছিলো আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ।
এ নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র শোরগোলের মধ্যে ৮ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক শফিউল আজম তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য আসামিরা ছিলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
এ ঘটনার পর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের 'অবৈধ সম্পদ' খুঁজতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
সেখান থেকেই প্রায় সাড়ে তের মন সোনা উদ্ধার হয় যার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স।
এভাবেই একটি ধর্ষণের ঘটনার জের ধরে আলোচনায় উঠে আসে দেশের স্বর্ণ ব্যবসার চিত্র।
আর সে কারণেই এ ব্যবসার জন্য নীতিমালা তৈরির বিষয়েও সব পক্ষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়।
নীতিমালা নিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মন্তব্য
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি বাবু গঙ্গাচরণ মালাকার বিবিসিকে নীতিমালা হওয়াতে স্বর্ণ শিল্পী, ব্যবসায়ী ও সরকার সবাই উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, " আপনারা কোথা থেকে স্বর্ণ পান- এ প্রশ্ন আর শুনতে হবেনা আমাদের। স্বর্ণ নীতিমালা ছিলোনা বলে রপ্তানি করতে পারিনি। ব্যবসাও ঠিকমতো করতে পারিনি। এখন সরকার যেমন রাজস্ব পাবে বেশি এবং চোরাচালানও অনেকাংশ কমে যাবে"।
মিস্টার মালাকার বলেন এখন ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে স্বর্ণ কেনার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এ শিল্প আরও বিস্তৃত হবে ও স্বর্ণ শিল্পীদের কাজের আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন তারা।
সুত্রঃবিবিসি
No comments