সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছে ১১২ কোটি ডলার
গত
সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ
পাঠিয়েছেন, যা আগের মাস আগস্টের চেয়ে ২৮ কোটি ডলার কম। আগস্টে এসেছিল ১৪১
কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে একমাসের ব্যবধানে রেমিটেন্স কমেছে ২৮ কোটি ৩৭
লাখ ডলার বা ২০ শতাংশ কম, যা এই বছরের যেকোনো মাসের চেয়ে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য
জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের
প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৩৮৫ কোটি
৬৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩.৭৩ শতাংশ বেশি। আর
সেপ্টেম্বর মাসে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে, যা গত
বছরের জুন মাসের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।
মে মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছর রেমিটেন্স বাড়ে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই রেমিটেন্স ১৩ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। গত অর্থবছর ১৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি, কারণ তার আগের বছর রেমিটেন্স অনেক কম এসেছিল। তারা বলেন, রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে যারা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই দক্ষ করে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি তারা যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া কম খরচে দ্রুত টাকা দেশে পাঠাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে, যা গত বছরের জুন মাসের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। মে মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে। এ সময় রেমিটেন্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭.৩ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেমিটেন্স প্রবাহের মাস হিসেবে গত ছয় বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। শুধু সেপ্টেম্বরই নয়, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এই রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে রেমিটেন্স বাড়াতে নানা উদ্যোগও নেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফেরে।
বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। রেমিটেন্স বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও রয়েছে সন্তোষজনক অবস্থায়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্য। সেসব দেশে বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রবাসীরা সহজে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছে না। ফলে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া নানা উদ্যোগের পরও আশানুরূপ রেমিটেন্স আসছে না। দেশের রেমিটেন্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে। রেমিটেন্স বাড়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলারে।
মে মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছর রেমিটেন্স বাড়ে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই রেমিটেন্স ১৩ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। গত অর্থবছর ১৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি, কারণ তার আগের বছর রেমিটেন্স অনেক কম এসেছিল। তারা বলেন, রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে যারা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই দক্ষ করে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি তারা যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া কম খরচে দ্রুত টাকা দেশে পাঠাতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছে, যা গত বছরের জুন মাসের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। মে মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলারেরও বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৩২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে। এ সময় রেমিটেন্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭.৩ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেমিটেন্স প্রবাহের মাস হিসেবে গত ছয় বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। শুধু সেপ্টেম্বরই নয়, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এই রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে রেমিটেন্স বাড়াতে নানা উদ্যোগও নেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফেরে।
বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। রেমিটেন্স বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও রয়েছে সন্তোষজনক অবস্থায়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্য। সেসব দেশে বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রবাসীরা সহজে রেমিটেন্স পাঠাতে পারছে না। ফলে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া নানা উদ্যোগের পরও আশানুরূপ রেমিটেন্স আসছে না। দেশের রেমিটেন্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে। রেমিটেন্স বাড়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলারে।
No comments