মানবাধিকার ও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে দুই সংস্থার উদ্বেগ
বাংলাদেশে
মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হওয়া এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের
উপযোগী পরিবেশ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান
রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম এশিয়া) ও এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি
ইলেকশন্স (এএনএফআরইএল) নামে দু’টি মানবাধিকার সংস্থা। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা
জানিয়েছে, ঢাকায় ৭ থেকে ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং
মিশন’ পরিচালনা করা হয়। এ সময় যেসব সাক্ষ্য ও উপাত্ত পাওয়া গেছে, সেসবের
প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু
নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী পরিবেশ না থাকা নিয়ে সর্বোচ্চ উদ্বেগ প্রকাশ
করে সংস্থা দু’টি।
বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নজিরবিহীন আক্রমণের সম্মুখীন- এই যুক্তির স্বপক্ষে সংস্থা বেশকিছু যুক্তি তুলে ধরেছে।
শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ আয়োজনের স্বাধীনতা লঙ্ঘন নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার ও সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অত্যধিক মাত্রায় বলপ্রয়োগ ছিল মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ আয়োজন ও ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারের লঙ্ঘন।
এতে বলা হয়, প্রায় শতাধিক ব্যক্তি, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী, ২৯শে জুলাই থেকে ১৫ই আগস্টের মধ্যে আটক হয়। বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে কমপক্ষে ৫২টি মামলা দায়ের করা হয়। ৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।
সংস্থা দু’টি লিখেছে, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, বিশেষ করে আইনটির অস্পষ্ট ৫৭ ধারার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পদ্ধতিগতভাবে সঙ্কুচিত করা হয়েছে। ৫৭ ধারার অধীনে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী শহীদুল আলমের অবৈধ গ্রেপ্তার প্রমাণ করে বাংলাদেশে অনলাইন ও অফলাইনে মতামত প্রকাশ ও সরকারের সমালোচনা করার অধিকার বেশ সীমিত।
কেবল ২০১৮ সালের ৩১শে আগস্ট নাগাদ, মোট ১২৮ জনকে আইসিটি আইনে আটক করা হয়েছে। ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করার অভিযোগে।
আইসিটি আইনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে অতিরিক্ত ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কারণ, এই আইনটির অনেক ধারার ব্যাপকতা অত্যন্ত বেশি এবং সাজার হারও আনুপাতিকভাবে বেশি।
মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার হরণ হয়েছে- এমন বক্তব্যও দিয়েছে ফোরাম এশিয়া ও এএনএফআরইএল। বিবৃতিতে বলা হয়, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট নাগাদ ৩৬৭টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নথিবদ্ধ হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর হাতে। ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৮২২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। এই বছরের মে থেকে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী যুদ্ধে ২২৮ জন বিচারবহির্ভূতভাবে খুন হয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত ২৭ জন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহ গুম করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ থেকে ৪৪২ জনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে সাবেক কূটনীতিক মারুফ জামান সহ উঁচুমাপের সাবেক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
‘ভিন্নমত ও সুশীল সমাজের ওপর দমনপীড়ন’ শীর্ষক অংশে বলা হয়েছে বিচারিক হয়রানি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম এই দেশে এক ধরনের ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। ফলশ্রুতিতে সুশীল সমাজভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও বিরোধী দলের সদস্যরা বিশেষ হুমকির মুখে রয়েছেন।
বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা আর্থিক সংস্থান বন্ধ করা, আইনি হেনস্তা, নজরদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুশীল সমাজের অবস্থান ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় ৪ঠা আগস্ট আক্রমণ করা হয়। এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীরা কী ধরনের ভয়ের পরিবেশে কাজ করছেন।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা নিয়ে সংস্থা দু’টি লিখেছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাতন্ত্র্য ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিশ্বাসহীনতা আমরা নথিবদ্ধ করেছি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, যিনি ২০১৭ সালের অক্টোবরে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে খবর এসেছে, তার বিষয়টি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করে।
এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ থাকার প্রশ্নে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংকট নিরসনে ফোরাম এশিয়া ও এএনএফআরইএল বাংলাদেশ সরকার, নির্বাচন কমিশন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিভিন্ন আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের প্রতি ৫৭ ধারা বিলোপ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা, শহিদুল আলম সহ সকল আটককৃত প্রতিবাদকারীকে মুক্তি দেয়া, সকল ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা না দেয়া এবং ৯০ দিনের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত, সুশীল সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা, সরকারকে সকল ধরনের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়া এবং দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সুশীল সমাজের প্রচারাভিযানে সমর্থন দিতে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা অব্যাহত রাখা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো, মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারতের এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এই দেশগুলোকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নজিরবিহীন আক্রমণের সম্মুখীন- এই যুক্তির স্বপক্ষে সংস্থা বেশকিছু যুক্তি তুলে ধরেছে।
শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ আয়োজনের স্বাধীনতা লঙ্ঘন নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার ও সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অত্যধিক মাত্রায় বলপ্রয়োগ ছিল মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ আয়োজন ও ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারের লঙ্ঘন।
এতে বলা হয়, প্রায় শতাধিক ব্যক্তি, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী, ২৯শে জুলাই থেকে ১৫ই আগস্টের মধ্যে আটক হয়। বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে কমপক্ষে ৫২টি মামলা দায়ের করা হয়। ৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।
সংস্থা দু’টি লিখেছে, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, বিশেষ করে আইনটির অস্পষ্ট ৫৭ ধারার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পদ্ধতিগতভাবে সঙ্কুচিত করা হয়েছে। ৫৭ ধারার অধীনে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী শহীদুল আলমের অবৈধ গ্রেপ্তার প্রমাণ করে বাংলাদেশে অনলাইন ও অফলাইনে মতামত প্রকাশ ও সরকারের সমালোচনা করার অধিকার বেশ সীমিত।
কেবল ২০১৮ সালের ৩১শে আগস্ট নাগাদ, মোট ১২৮ জনকে আইসিটি আইনে আটক করা হয়েছে। ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করার অভিযোগে।
আইসিটি আইনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে অতিরিক্ত ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কারণ, এই আইনটির অনেক ধারার ব্যাপকতা অত্যন্ত বেশি এবং সাজার হারও আনুপাতিকভাবে বেশি।
মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার হরণ হয়েছে- এমন বক্তব্যও দিয়েছে ফোরাম এশিয়া ও এএনএফআরইএল। বিবৃতিতে বলা হয়, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট নাগাদ ৩৬৭টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নথিবদ্ধ হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর হাতে। ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৮২২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। এই বছরের মে থেকে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী যুদ্ধে ২২৮ জন বিচারবহির্ভূতভাবে খুন হয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত ২৭ জন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহ গুম করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ থেকে ৪৪২ জনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে সাবেক কূটনীতিক মারুফ জামান সহ উঁচুমাপের সাবেক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
‘ভিন্নমত ও সুশীল সমাজের ওপর দমনপীড়ন’ শীর্ষক অংশে বলা হয়েছে বিচারিক হয়রানি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম এই দেশে এক ধরনের ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। ফলশ্রুতিতে সুশীল সমাজভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও বিরোধী দলের সদস্যরা বিশেষ হুমকির মুখে রয়েছেন।
বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা আর্থিক সংস্থান বন্ধ করা, আইনি হেনস্তা, নজরদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে সুশীল সমাজের অবস্থান ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় ৪ঠা আগস্ট আক্রমণ করা হয়। এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীরা কী ধরনের ভয়ের পরিবেশে কাজ করছেন।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা নিয়ে সংস্থা দু’টি লিখেছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাতন্ত্র্য ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিশ্বাসহীনতা আমরা নথিবদ্ধ করেছি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, যিনি ২০১৭ সালের অক্টোবরে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে খবর এসেছে, তার বিষয়টি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করে।
এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ থাকার প্রশ্নে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংকট নিরসনে ফোরাম এশিয়া ও এএনএফআরইএল বাংলাদেশ সরকার, নির্বাচন কমিশন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিভিন্ন আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের প্রতি ৫৭ ধারা বিলোপ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা, শহিদুল আলম সহ সকল আটককৃত প্রতিবাদকারীকে মুক্তি দেয়া, সকল ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা না দেয়া এবং ৯০ দিনের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত, সুশীল সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা, সরকারকে সকল ধরনের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়া এবং দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সুশীল সমাজের প্রচারাভিযানে সমর্থন দিতে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা অব্যাহত রাখা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো, মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারতের এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এই দেশগুলোকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে বলা হয়েছে।
No comments