ইতিহাসে এই প্রথম: ওরা পেরেছে
সাকিব-তামিমদের
সাম্প্রতিক ব্যর্থতার ক্ষতে মলম দিলেন সালমা-রুমানারা। ঘোচালেন বাংলাদেশ
ক্রিকেটের এক অতৃপ্তি। ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে
প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। মাশরাফি-সাকিবরা যা পারেননি তা করে
দেখালেন সালমা-রুমানারা। এবারই প্রথম কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে
খেলার কৃতিত্ব দেখায় বাংলাদেশ নারী দল। আর প্রথম দফায়ই সালমা-রুমানাদের
বাজিমাত। গতকাল নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে টানা ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে
হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে সালমাবাহিনী। বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল এখনও কোনো
টুর্নামেন্টে শিরোপার দেখা পায়নি। গতকাল কুয়ালালামপুরে কিনরারা স্টেডিয়ামে
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। ১১২/৯ সংগ্রহ নিয়ে
ইনিংস শেষ করে ভারত। বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন রুমানা আহমেদ ও খাদিজাতুল
কোবরা। জবাবে ৩ উইকেট হাতে রেখে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নিগার সুলতানা। আসরে এটি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের
টানা দ্বিতীয় জয়। ২০০৪-এ প্রথমবার মাঠে গড়ায় নারী এশিয়া কাপ আসর। আর আসরের
আগের ছয়বারই ফাইনাল শেষে শিরোপা উৎসব করে ভারতীয়রা। এর আগে চারবার ফাইনালে
পৌঁছে স্বপ্ন ভাঙে লঙ্কানদের। ফাইনালে দুবার হার দেখে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায়
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এবারের নারী এশিয়া কাপে সালমা-রুমানাদের নৈপুণ্যটা
চমকের। আসরে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা নারী দলের বিপক্ষে মাত্র ৬৩ রানে
গুঁড়িয়ে মলিন হার দেখে সালমা বাহিনী। তবে পরের গল্পটা ভিন্ন। আসরে টানা
পাঁচ জয় নিয়ে শিরোপা হাতে তোলেন সালমা-রুমানারা। প্রথম পর্বে টানা চার
ম্যাচে পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় দেখে বাংলাদেশ
নারী দল। প্রথম পর্বে বাংলাদেশের কাছে হার দেখার আগে এশিয়া কাপে টানা ৩৪
ম্যাচে অপরাজিত ছিল ভারত। ওই ম্যাচে সালমাবাহিনী ভারতের দেয়া ১৪২ রানের
টার্গেট টপকে যায় ৭ বল হাতে রেখেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী
দলের এটি দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
কুয়ালালামপুরে ফাইনালে ব্যাট হাতে শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য আশা জাগানিয়া। ওপেনিংয়ে ৪০ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন আয়শা রহমান শুকতারা ও শামিমা সুলতানা। তবে সপ্তম ওভারে ভারতীয় লেগস্পিনার পুনম যাদবের টানা দুই ডেলিভারিতে উইকেট খোয়াল আয়শা (১৭) ও শামিমা (১৬)। বাংলাদেশের ইনিংসের শীর্ষ চার ব্যাটারকেই সাজঘরে ফেরান পুনম। ফারজানা হক ১১ ও নিগার সুলতানা সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৭ রানে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৯ রানের। ওভারের শুরুর তিন বলে ৬ রান তুলে নেন রুমানা ও সানজিদা ইসলাম। শেষ তিন বলে প্রয়োজন ৩ রান। কিন্তু চতুর্থ বলে আউট হয়ে যান সানজিদা।
পঞ্চমবলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট ইনফর্ম খেলোয়াড় রুমানা আহমেদ। বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রান। হারমানপ্রীত কাউরের বলে ২ রান তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান জাহানারা আলম। এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের মাত্র চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পায় টাইগ্রেসরা। এবারের বর্ষসেরা ভারতীয় নারী ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধনাকে (৭) রানআউট করেন সালমা। ভারতের রানের চাকাও শুরুতে আটকে রাখে বাংলাদেশ। শুরুর ৫ ওভারের মধ্যে ডটবল ছিল ২৩টি । চাপে পড়ে সপ্তম ওভারে দীপ্তি শর্মার (৪) উইকেট হারায় ভারত। দীপ্তিকে সরাসরি বোল্ড করেন জাহানারা। ভারতের স্কোর তখন ৬.৪ ওভারে ২৬/২। এখান থেকে ৬ রানের ব্যবধানে ভারতের আরো দুই উইকেট তুলে নেন মেয়েরা। সাত, আট ও নয় এই তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় ভারত। দীপ্তি ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ওপেনার মিতালি রাজের উইকেট (১১) তুলে নেন খাদিজা। আর ম্যাচের লাগাম টেনে নেয় সালমা বাহিনী। আর অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউরের (৫৬) দৃঢ়তায় দলীয় একশ’ রানের কোঠায় পৌঁছে ভরাত। বাংলাদেশের বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে লেগস্পিনার রুমানা ২২ ও অফস্পিনার খাদিজা ২৩ রানে নেন সমান দুই উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং নৈপুণ্য দেখান অপর দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও সালমা খাতুনও।
১ উইকেট নেয়া সালমা ১৩টি ‘ডট’ দেন। আর উইকেট না পেলেও নাহিদার ছিল ১৬টি ডট বল। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১২ রান দেন টাইগ্রেস বাঁ-হাতি স্পিনার। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে রুমানা আহমেদের হাতে। আর আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। এর আগে আইসিসি ও এসিসি ট্রফিতে শিরোপার গৌরব কুড়ায় বাংলাদেশ। তবে সেগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অর্জন নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোনো শিরোপা জয়ের কাছাকাছি গিয়েছে দুবার। ২০১২ সালের এশিয়া কাপ আর ২০১৮’র নিদাহাস ট্রফি। ফাইনালে দুবারই হার দেখেন টাইগাররা।
কুয়ালালামপুরে ফাইনালে ব্যাট হাতে শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য আশা জাগানিয়া। ওপেনিংয়ে ৪০ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন আয়শা রহমান শুকতারা ও শামিমা সুলতানা। তবে সপ্তম ওভারে ভারতীয় লেগস্পিনার পুনম যাদবের টানা দুই ডেলিভারিতে উইকেট খোয়াল আয়শা (১৭) ও শামিমা (১৬)। বাংলাদেশের ইনিংসের শীর্ষ চার ব্যাটারকেই সাজঘরে ফেরান পুনম। ফারজানা হক ১১ ও নিগার সুলতানা সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৭ রানে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৯ রানের। ওভারের শুরুর তিন বলে ৬ রান তুলে নেন রুমানা ও সানজিদা ইসলাম। শেষ তিন বলে প্রয়োজন ৩ রান। কিন্তু চতুর্থ বলে আউট হয়ে যান সানজিদা।
পঞ্চমবলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট ইনফর্ম খেলোয়াড় রুমানা আহমেদ। বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ২ রান। হারমানপ্রীত কাউরের বলে ২ রান তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান জাহানারা আলম। এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের মাত্র চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পায় টাইগ্রেসরা। এবারের বর্ষসেরা ভারতীয় নারী ক্রিকেটার স্মৃতি মান্ধনাকে (৭) রানআউট করেন সালমা। ভারতের রানের চাকাও শুরুতে আটকে রাখে বাংলাদেশ। শুরুর ৫ ওভারের মধ্যে ডটবল ছিল ২৩টি । চাপে পড়ে সপ্তম ওভারে দীপ্তি শর্মার (৪) উইকেট হারায় ভারত। দীপ্তিকে সরাসরি বোল্ড করেন জাহানারা। ভারতের স্কোর তখন ৬.৪ ওভারে ২৬/২। এখান থেকে ৬ রানের ব্যবধানে ভারতের আরো দুই উইকেট তুলে নেন মেয়েরা। সাত, আট ও নয় এই তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় ভারত। দীপ্তি ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ওপেনার মিতালি রাজের উইকেট (১১) তুলে নেন খাদিজা। আর ম্যাচের লাগাম টেনে নেয় সালমা বাহিনী। আর অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউরের (৫৬) দৃঢ়তায় দলীয় একশ’ রানের কোঠায় পৌঁছে ভরাত। বাংলাদেশের বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে লেগস্পিনার রুমানা ২২ ও অফস্পিনার খাদিজা ২৩ রানে নেন সমান দুই উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং নৈপুণ্য দেখান অপর দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও সালমা খাতুনও।
১ উইকেট নেয়া সালমা ১৩টি ‘ডট’ দেন। আর উইকেট না পেলেও নাহিদার ছিল ১৬টি ডট বল। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১২ রান দেন টাইগ্রেস বাঁ-হাতি স্পিনার। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে রুমানা আহমেদের হাতে। আর আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। এর আগে আইসিসি ও এসিসি ট্রফিতে শিরোপার গৌরব কুড়ায় বাংলাদেশ। তবে সেগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অর্জন নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোনো শিরোপা জয়ের কাছাকাছি গিয়েছে দুবার। ২০১২ সালের এশিয়া কাপ আর ২০১৮’র নিদাহাস ট্রফি। ফাইনালে দুবারই হার দেখেন টাইগাররা।
No comments