হার্ট ফেলিউরে ভোগা রোগীদের চিকিৎসার খরচ মেটাতেই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে পরিবার: প্রয়োজন ছাড়া রোগীকে রিং নয়
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হৃদরোগ বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের
প্রায় ৩০ শতাংশ হার্ট ফেলিউর-এর রোগী। বিশ্বে হার্ট ফেলিউর একটি বার্নিং
ইস্যু। হার্ট ফেলিউরে ভোগা রোগীদের পরিবারের লোকজনের দুর্দশার সীমা থাকে
না। তারা চিকিৎসার খরচ মেটাতেই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকাতেও হার্ট
ফেলিউর-এর স্থায়ী সমাধান বা চিকিৎসা নেই। তাই এ রোগ প্রতিরোধের দিকেই অধিক
মনোযোগী হতে হবে। হৃদরোগের সূত্রপাত বন্ধের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশে একজন রোগীর খরচ তার নিজের পকেটের ও পরিবারের লোকজনের পকেট থেকেই
খরচ করতে হয়, সেটা সকলকে বুঝতে হবে। নতুন করে যাতে কেউ হার্ট ফেলিউরে
আক্রান্ত না হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বিএসএমএমইউর
কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী এই তথ্য
জানিয়েছেন।
কার্ডিওলজি বিভাগের ক্লাসরুমে ডিভিশন অফ হার্ট ফেলিউর, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি-এর উদ্যোগে হার্ট ফেলিউর অ্যাওয়ারনেস ডে ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাপী পালিত এ দিবসটির অংশ হিসেবে এই আয়োজন। ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী আরো বলেন, আর সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো বেশি পানি খাওয়া বা পান করা ক্ষতিকর, পানি খেতে বা পান করতে হবে পরিমাপ মতো। বেশি পানি খেলে বা পান করলে ওষুধ ও চিকিৎসকের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায় এটাই হলো বাস্তবতা ও সত্য। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। রোগ প্রতিরোধেই অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। হৃদযন্ত্র শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একে সুস্থ রাখতে হবে। হৃদরোগীদের সুবিধার্থে এবং এ সংক্রান্ত চিকিৎসা ও গবেষণার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বে ২৩ মিলিয়ন লোক হার্ট ফেলিউর সমস্যায় ভুগছেন। বছরে ১০৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া হার্ট ফেলিউর প্রতিরোধ করা সম্ভব না। ধূপমান ও তামাক সেবন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সকল রোগের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে বাজেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডিভিশন অফ হার্ট ফেলিউর, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি-এর ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক বলেন, হৃদরোগের (হাইপারটেনশন, রক্তনালী, হার্টের ভাল্ব-এর সমস্যা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে) চিকিৎসা না হওয়া, ডায়াবেটিস, তীব্র রক্তশূন্যতা, কিডনি, থাইরয়েড ও লিভারের সমস্যা, শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা, কোনো কারণে শরীরে তীব্র সংক্রমণ দেখা দেয়া, জন্মগত হৃদযন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি কারণসহ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের হার্ট ফেলিউর হয়ে থাকে। হার্ট ফেলিউর প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপের যথাযথ ওষুধ নির্বাচন করে চিকিৎসা করাতে হবে। হৃদরোগের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। যেসব রোগীর রিং লাগানোর প্রয়োজন নেই, সেসব রোগীকে যেন রিং লাগানো না হয়। কারণ এতে রোগীর উপকারের চাইতে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে। হৃদরোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহ- রোগসমূহের (ডায়াবেটিস) চিকিৎসাও করতে হবে। লাইফ স্টাইল বা জীবনযাপন পদ্ধতিও পরিবর্তন করতে হবে যেমন- ধূমমান ও তামাক সেবন বন্ধ করতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার ভাত, চিনি, গুড় (মিঠা), বিস্কিট কম খেতে হবে। পাতে লবণ কম খেতে হবে। ব্যায়ামের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। বেশি নয়, পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হার্ট ফেলিউর রোগীদের শরীরের এলবোমিনের মাত্রা ঠিক রাখতে ডিমের সাদা অংশ ও মাছ খেতে হবে। এছাড়া নিয়ম অনুসারে নিউমোনিয়া ও ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে হবে।
কার্ডিওলজি বিভাগের ক্লাসরুমে ডিভিশন অফ হার্ট ফেলিউর, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি-এর উদ্যোগে হার্ট ফেলিউর অ্যাওয়ারনেস ডে ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাপী পালিত এ দিবসটির অংশ হিসেবে এই আয়োজন। ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী আরো বলেন, আর সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো বেশি পানি খাওয়া বা পান করা ক্ষতিকর, পানি খেতে বা পান করতে হবে পরিমাপ মতো। বেশি পানি খেলে বা পান করলে ওষুধ ও চিকিৎসকের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায় এটাই হলো বাস্তবতা ও সত্য। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। রোগ প্রতিরোধেই অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। হৃদযন্ত্র শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একে সুস্থ রাখতে হবে। হৃদরোগীদের সুবিধার্থে এবং এ সংক্রান্ত চিকিৎসা ও গবেষণার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বে ২৩ মিলিয়ন লোক হার্ট ফেলিউর সমস্যায় ভুগছেন। বছরে ১০৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া হার্ট ফেলিউর প্রতিরোধ করা সম্ভব না। ধূপমান ও তামাক সেবন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সকল রোগের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে বাজেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডিভিশন অফ হার্ট ফেলিউর, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি-এর ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক বলেন, হৃদরোগের (হাইপারটেনশন, রক্তনালী, হার্টের ভাল্ব-এর সমস্যা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে) চিকিৎসা না হওয়া, ডায়াবেটিস, তীব্র রক্তশূন্যতা, কিডনি, থাইরয়েড ও লিভারের সমস্যা, শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা, কোনো কারণে শরীরে তীব্র সংক্রমণ দেখা দেয়া, জন্মগত হৃদযন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি কারণসহ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের হার্ট ফেলিউর হয়ে থাকে। হার্ট ফেলিউর প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপের যথাযথ ওষুধ নির্বাচন করে চিকিৎসা করাতে হবে। হৃদরোগের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। যেসব রোগীর রিং লাগানোর প্রয়োজন নেই, সেসব রোগীকে যেন রিং লাগানো না হয়। কারণ এতে রোগীর উপকারের চাইতে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে। হৃদরোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহ- রোগসমূহের (ডায়াবেটিস) চিকিৎসাও করতে হবে। লাইফ স্টাইল বা জীবনযাপন পদ্ধতিও পরিবর্তন করতে হবে যেমন- ধূমমান ও তামাক সেবন বন্ধ করতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার ভাত, চিনি, গুড় (মিঠা), বিস্কিট কম খেতে হবে। পাতে লবণ কম খেতে হবে। ব্যায়ামের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। বেশি নয়, পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হার্ট ফেলিউর রোগীদের শরীরের এলবোমিনের মাত্রা ঠিক রাখতে ডিমের সাদা অংশ ও মাছ খেতে হবে। এছাড়া নিয়ম অনুসারে নিউমোনিয়া ও ফ্লু ভ্যাকসিন নিতে হবে।
No comments