আর কত জনকে এভাবে প্রাণ দিতে হবে?
ইসরাইলের
তেল আবিব থেকে ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস
স্থানান্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। পাল্টা পদপে নেয়ার
ঘোষণা দিয়েছেন কয়েকটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
সোমবার ইসরাইলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। এই পদেেপর প্রতিবাদে বিােভ করেন ফিলিস্তিনিরা। আর তাদের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায় ইসরাইলি সৈন্যরা। বিােভের সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ৫৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ওই দিন আহত আরও দুইজন মারা যান গতকাল।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। দূতাবাস স্থাপনকে কেন্দ্র করে সোমবার আরও জোরালো হয় ভূমি দিবসের চলমান বিােভ কর্মসূচি। ট্রাম্পের আগের সব মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বের প্রায় সবদেশ জেরুসালেমে ইসরাইলি দূতাবাস চালু করা থেকে বিরত থেকেছেন। তারা চাইতেন আগে জেরুসালেমের অবস্থান চূড়ান্ত হোক ফিলিস্তিন-ইসরাইল আলোচনার মধ্য দিয়ে। পূর্ব জেরুসালেমকে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন।
১৯৪৮ সালের ১৪ মে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরাইল রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ অবৈধ বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকে ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা।
ভূমি দিবসের কর্মসূচির শেষ দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। গ্রেট রিটার্ন মার্চ খ্যাত এবারের কর্মসূচিতে সোমবারের আগ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ ফিলিস্তিনি। জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে সোমবার সীমান্ত এলাকার ওই বিােভে অংশ নেন লাখো মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি। এদিন নিহত ৫৮ ও পরের দিন মারা যাওয়া আরও দুই ফিলিস্তিনিকে নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বিােভে হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে সাম্প্রতিক ইতিহাসের এ ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সঙ্ঘটিত হয়। জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ও গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা।
নিন্দা ও পাল্টা পদপে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের দূতাবাস থাকা ৮৬ দেশের দূতদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৩৩টি দেশ উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।
কায়রোভিত্তিক ২২টি আরব দেশের জোট আরব লিগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সাথে সংস্থাটি জেরুসালেমে ইসরাইলের চলমান দখলদারিত্বের বিরোধিতারও আহ্বান জানায়। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিতে ভয়ঙ্কর আঘাত বলে উল্লেখ করেছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনার জাইদ রাদ আল হুসেইন ফিলিস্তিনিদের ল্য করে ইসরাইলের তাজা গুলিবর্ষণ তাৎণিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস গাজায় বহু মানুষের নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মিসরের বিশ্ববিখ্যাত উচ্চতর ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-আজহারের প থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এই সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের দিনকে লজ্জার দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
টুইটারে এই পদেেপর ােভ জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। তাই এটা অর্থহীন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ইসরাইলকে একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তা গণহত্যা।
মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছে কুয়েত। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জানিয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি।
গাজা-ইসরাইল সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিােভকারীদের ওপর ইসরাইলের প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নিন্দা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল শান্তিপূর্ণ বিােভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছে।’
সোমবার ইসরাইলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল। এই পদেেপর প্রতিবাদে বিােভ করেন ফিলিস্তিনিরা। আর তাদের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায় ইসরাইলি সৈন্যরা। বিােভের সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ৫৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ওই দিন আহত আরও দুইজন মারা যান গতকাল।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। দূতাবাস স্থাপনকে কেন্দ্র করে সোমবার আরও জোরালো হয় ভূমি দিবসের চলমান বিােভ কর্মসূচি। ট্রাম্পের আগের সব মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ বিশ্বের প্রায় সবদেশ জেরুসালেমে ইসরাইলি দূতাবাস চালু করা থেকে বিরত থেকেছেন। তারা চাইতেন আগে জেরুসালেমের অবস্থান চূড়ান্ত হোক ফিলিস্তিন-ইসরাইল আলোচনার মধ্য দিয়ে। পূর্ব জেরুসালেমকে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন।
১৯৪৮ সালের ১৪ মে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরাইল রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ অবৈধ বসতি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পরের বছর থেকে ৩০ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা।
ভূমি দিবসের কর্মসূচির শেষ দিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। গ্রেট রিটার্ন মার্চ খ্যাত এবারের কর্মসূচিতে সোমবারের আগ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৪ ফিলিস্তিনি। জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রতিবাদে সোমবার সীমান্ত এলাকার ওই বিােভে অংশ নেন লাখো মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি। এদিন নিহত ৫৮ ও পরের দিন মারা যাওয়া আরও দুই ফিলিস্তিনিকে নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বিােভে হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে সাম্প্রতিক ইতিহাসের এ ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সঙ্ঘটিত হয়। জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ও গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা।
নিন্দা ও পাল্টা পদপে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের দূতাবাস থাকা ৮৬ দেশের দূতদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৩৩টি দেশ উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।
কায়রোভিত্তিক ২২টি আরব দেশের জোট আরব লিগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সাথে সংস্থাটি জেরুসালেমে ইসরাইলের চলমান দখলদারিত্বের বিরোধিতারও আহ্বান জানায়। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিতে ভয়ঙ্কর আঘাত বলে উল্লেখ করেছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনার জাইদ রাদ আল হুসেইন ফিলিস্তিনিদের ল্য করে ইসরাইলের তাজা গুলিবর্ষণ তাৎণিকভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস গাজায় বহু মানুষের নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মিসরের বিশ্ববিখ্যাত উচ্চতর ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-আজহারের প থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এই সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের দিনকে লজ্জার দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
টুইটারে এই পদেেপর ােভ জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। তাই এটা অর্থহীন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ইসরাইলকে একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, গাজায় ইসরাইল যা করছে তা গণহত্যা।
মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছে কুয়েত। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব লঙ্ঘিত হয়েছে বলে জানিয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি।
গাজা-ইসরাইল সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিােভকারীদের ওপর ইসরাইলের প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নিন্দা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল শান্তিপূর্ণ বিােভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছে।’
No comments