কেসিসি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের প্রথম পছন্দ খালেক, বিএনপির মঞ্জু by রাশিদুল ইসলাম
খুলনা
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম পছন্দ নগর
সভাপতি সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। বিকল্প হিসেবে আরো চার
প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে। অপরদিকে মহানগর বিএনপির বর্ধিত সভায়
নেতাকর্মীরা নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুর
পক্ষে বেশির ভাগ মতো দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের দাবি তালুকদার আব্দুল খালেকের
মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর মোকাবিলা করতে হলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মতো জনপ্রিয়
নেতা দিয়েই সম্ভব। শুরুতে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র
মনিরুজ্জামান মনিরের কথা শোনা গেলেও এখন নজরুল ইসলাম মঞ্জুই সম্ভাবনায়
এগিয়ে রয়েছেন। বিএনপির নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি ইতিমধ্যে
ঢাকায় এসেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বিকল্প হিসেবে তিন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন- সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরদার আনিছুর রহমান পপলু। গতকাল তারা ঢাকা থেকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র পূরণ করে তা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে জমা দিতে হবে। আগামী ৮ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। মনোনয়ন বোর্ডও আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন। একই দিন চূড়ান্তভাবে কেসিসির মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আসন্ন কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নগর সভাপতি আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বলেন, বর্তমানে আমার সংসদীয় এলাকা রামপাল-মংলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। আগামীতেও এ এলাকা থেকেই নির্বাচন করার ইচ্ছা রয়েছে। মেয়র নির্বাচন করার আমার কোনো ইচ্ছা নেই। নগর কমিটির বর্ধিত সভায় তা আমি জানিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া বিগত মেয়র নির্বাচনে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
অপরদিকে গত ৪ঠা এপ্রিল খুলনা মহানগর বিএনপির বর্ধিত সভা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বর্তমান মেয়রকে প্রার্থী করলে যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে তা তুলে ধরেন। বিশেষ করে মেয়র দায়িত্ব পালনকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কথা উঠে আসে। বিজয় নিশ্চিত করতে হলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকেই মেয়র পদে প্রার্থী করার মত দেন। এ সময় মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম তুহিন বলেন, দেশের এই সংকট মুহূর্তে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার কথা চিন্তা করে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকেই প্রার্থী হবার দাবি জানান। তার দাবির প্রতি অধিকাংশ নেতাকর্মী সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছ থেকে নগর সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এ ব্যাপারে নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য নেতাকর্মীদের দাবি আছে এটা যেরকম সত্য, ঠিক একইভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথাও ভাবতে হবে। আমার ইচ্ছা আগামীতে খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করা। তবে, মেয়র প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় হাই কমান্ডের সিদ্ধাতই চূড়ান্ত।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বিকল্প হিসেবে তিন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন- সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরদার আনিছুর রহমান পপলু। গতকাল তারা ঢাকা থেকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র পূরণ করে তা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে জমা দিতে হবে। আগামী ৮ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। মনোনয়ন বোর্ডও আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন। একই দিন চূড়ান্তভাবে কেসিসির মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আসন্ন কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নগর সভাপতি আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বলেন, বর্তমানে আমার সংসদীয় এলাকা রামপাল-মংলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। আগামীতেও এ এলাকা থেকেই নির্বাচন করার ইচ্ছা রয়েছে। মেয়র নির্বাচন করার আমার কোনো ইচ্ছা নেই। নগর কমিটির বর্ধিত সভায় তা আমি জানিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া বিগত মেয়র নির্বাচনে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
অপরদিকে গত ৪ঠা এপ্রিল খুলনা মহানগর বিএনপির বর্ধিত সভা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বর্তমান মেয়রকে প্রার্থী করলে যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে তা তুলে ধরেন। বিশেষ করে মেয়র দায়িত্ব পালনকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কথা উঠে আসে। বিজয় নিশ্চিত করতে হলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকেই মেয়র পদে প্রার্থী করার মত দেন। এ সময় মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম তুহিন বলেন, দেশের এই সংকট মুহূর্তে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার কথা চিন্তা করে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকেই প্রার্থী হবার দাবি জানান। তার দাবির প্রতি অধিকাংশ নেতাকর্মী সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছ থেকে নগর সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি এবং জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এ ব্যাপারে নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য নেতাকর্মীদের দাবি আছে এটা যেরকম সত্য, ঠিক একইভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথাও ভাবতে হবে। আমার ইচ্ছা আগামীতে খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করা। তবে, মেয়র প্রার্থীর ব্যাপারে দলীয় হাই কমান্ডের সিদ্ধাতই চূড়ান্ত।
No comments