অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
মাদক
উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে গতি আনতে নিজস্ব জনবলের
মাধ্যমে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো
হয়েছে। অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও আসামিদের
ধরতে নানামুখী অসুবিধার শিকার হতে হচ্ছে ড্রাগ দমনে নিয়োজিত এই
প্রতিষ্ঠানটির অভিযান পরিচালনাকারী দলকে। নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে গোয়েন্দা
তথ্য থাকার পরও প্রতিষ্ঠানটির অভিযান পরিচালনাকারী টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত
যেতে পারে না। অভিযানের বিষয়টি তারা আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা একক অভিযান চালানোর সময় দেশের
বিভিন্নস্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন। অনেকেই
শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এর প্রধান কারণ নিজস্ব জনবলের কাছে
অস্ত্র না থাকা। বড় অভিযানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি পুলিশ, র্যাব, আনসার,
সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার
সহযোগিতা নিয়ে অভিযান চালায়। অভিযানের দুইদিন বা এক সপ্তাহ আগে মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
অবহিত করে। অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের আগেই মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সোর্স এর মাধ্যমে অভিযানের খবর পেয়ে
তারা ঘাপটি মেরে যায়। মাদকদ্রব্যগুলো গোপনস্থানে রেখে দেয়। এতে
প্রতিষ্ঠানটি মাদক উদ্ধার ও আসামিদের ধরার ক্ষেত্রে গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকবলকে অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে। আশা করছি দ্রুত এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। তিনি জানান, অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেলে মাদকদমন ও আসামি ধরার ক্ষেত্রে গতি আসবে। এতে মাদক ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে জড়িত সকলকে নির্মূলে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশকে ৪টি অঞ্চল, ২৫টি উপ-অঞ্চল, ২৫টি রেঞ্জ, ১০৯টি সার্কেল ও ৪টি গোয়েন্দা অঞ্চলে ভাগ করে মাদকদ্রব্য দমনে নিরন্তর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। এ ছাড়াও দেশের সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলায় তাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে এর জনবল মাত্র প্রায় ১৮০০ জন। এই জনবলের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নিজিস্ব সোর্স এর মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথবাহিনী ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ব্যবহার করে থাকে। সূত্র জানায়, ছোট অভিযানগুলোতে তারা নিজেরাই ঘটনাস্থলে যান। কখনও কখনও তাদের সঙ্গে থানা পুলিশও থাকে না। সাদা পোশাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাদক উদ্ধার ও আসামি ধরতে যান। ওই সময় তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকে না। নিরস্ত্র অবস্থায় সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্নের শিকার হতে হয়। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। অনেকেই লাঞ্ছনার শিকার হন। তাদের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই আসামি ও তাদের লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এতে মাদক উদ্ধার ও আসামি ধরার ক্ষেত্রে গতি আসে না।
সূত্র জানায়, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালানের অনেক তথ্য আসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে। বিশেষ করে কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় ইয়াবা পাচারের তথ্য পায় তারা। কিন্তু, নিজস্ব জনবলের অস্ত্র না থাকার কারণে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার শিকারের ভয়ে অনেক সময় তারা অভিযান চালাতে পারে না। অভিযানের আগে তারা সেখানে দায়িত্ব পালনকারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেরে (বিজিবি) সহযোগিতার জন্য অবহিত করেন। এরপর তারা সেখানে যান। কিন্তু, অনেক অভিযানের আগেই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের মাদক নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে।
সূত্র জানায়, এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। অস্ত্র ছাড়া নিজস্ব জনবলের যেন নির্দিষ্ট পোশাক দেয়া হয় সেই বিষয়টিও অবহিত করা হয়েছে। অস্ত্র ও পোশাক হলে দেশের জনগণ প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে পরিচিত হবেন। তথ্য পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো যাবে। এতে মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন তারা। তাদের নিজস্ব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থাগুলো ওই সময় তাদের নিজস্ব কাজেও অধিক মনোযোগ দিতে পারবে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকবলকে অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে। আশা করছি দ্রুত এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। তিনি জানান, অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেলে মাদকদমন ও আসামি ধরার ক্ষেত্রে গতি আসবে। এতে মাদক ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে জড়িত সকলকে নির্মূলে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশকে ৪টি অঞ্চল, ২৫টি উপ-অঞ্চল, ২৫টি রেঞ্জ, ১০৯টি সার্কেল ও ৪টি গোয়েন্দা অঞ্চলে ভাগ করে মাদকদ্রব্য দমনে নিরন্তর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। এ ছাড়াও দেশের সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলায় তাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে এর জনবল মাত্র প্রায় ১৮০০ জন। এই জনবলের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নিজিস্ব সোর্স এর মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথবাহিনী ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ব্যবহার করে থাকে। সূত্র জানায়, ছোট অভিযানগুলোতে তারা নিজেরাই ঘটনাস্থলে যান। কখনও কখনও তাদের সঙ্গে থানা পুলিশও থাকে না। সাদা পোশাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাদক উদ্ধার ও আসামি ধরতে যান। ওই সময় তাদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকে না। নিরস্ত্র অবস্থায় সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্নের শিকার হতে হয়। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। অনেকেই লাঞ্ছনার শিকার হন। তাদের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই আসামি ও তাদের লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এতে মাদক উদ্ধার ও আসামি ধরার ক্ষেত্রে গতি আসে না।
সূত্র জানায়, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক চোরাচালানের অনেক তথ্য আসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে। বিশেষ করে কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় ইয়াবা পাচারের তথ্য পায় তারা। কিন্তু, নিজস্ব জনবলের অস্ত্র না থাকার কারণে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার শিকারের ভয়ে অনেক সময় তারা অভিযান চালাতে পারে না। অভিযানের আগে তারা সেখানে দায়িত্ব পালনকারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেরে (বিজিবি) সহযোগিতার জন্য অবহিত করেন। এরপর তারা সেখানে যান। কিন্তু, অনেক অভিযানের আগেই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের মাদক নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে।
সূত্র জানায়, এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। অস্ত্র ছাড়া নিজস্ব জনবলের যেন নির্দিষ্ট পোশাক দেয়া হয় সেই বিষয়টিও অবহিত করা হয়েছে। অস্ত্র ও পোশাক হলে দেশের জনগণ প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে পরিচিত হবেন। তথ্য পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো যাবে। এতে মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন তারা। তাদের নিজস্ব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থাগুলো ওই সময় তাদের নিজস্ব কাজেও অধিক মনোযোগ দিতে পারবে।
No comments