ছাত্রলীগ নেতা রনির হুমকির আরো দুটি অডিও রেকর্ড ফাঁস
চট্টগ্রাম
বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদ খানকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হওয়ার পর
ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনির হুমকির আরো দুটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
অধ্যক্ষ জাহিদ খান নিজের ফেসবুক ওয়ালে অডিও রেকর্ড দুটি ফাঁস করেন। এর আগে ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনিসহ ছয় ছাত্রলীগ নেতার নাম এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন তিনি।
গত শনিবার চকবাজার এলাকার বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদ খানকে মারধর করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন রনি। এই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা নিয়ে সেদিন অধ্যক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
অধ্যক্ষকে মারধরের বিষয়টি রনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কলেজের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। আর এই ভিডিও ফুটেজটি ফেসবুকে শেয়ার করেন অধ্যক্ষ জাহিদ খান। ফেসবুকের মাধ্যমে এ ঘটনা সারা দেশে আলোচনার ঝড় তুলে।
ফুটেজ দেখে মিডিয়ার কাছে তিনি দাবি করেন, তখন সেন্স ঠিক রাখতে পারেননি।
মামলার এজাহারে রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়। মামলার পর অধ্যক্ষ জাহিদ খান রনির সঙ্গে দুই মাস আগে তার মোবাইল ফোনে কথোপকথনের দুটি অডিও রেকর্ড ফাঁস করে দেন বৃহসপতিবার বিকালে।
রেকর্ডে শোনা যায়, জাহিদ খানের সঙ্গে রনি কথা বলার সময় চলিত ভাষার সঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাও ব্যবহার করেন। ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ডে রনি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খানকে বলেন, তুঁই ক্যানে.. (প্রকাশযোগ্য নয়) শান্তিত থাহ আঁই চাইয়্যুম, আঁই অশান্তিত থাইক্কুম তো, কেউরে শান্তিত থাইকতে ন দিইয়্যুম। তোঁয়ার তুনো বড় মাইনসেরে শান্তি ন দির আঁই। আঁই কিছু পারি ন পারি অশান্তি হরি দিইয়ুম (তুমি কেমনে শান্তিতে থাকো, আমি দেখবো, আমি অশান্তিতে থাকবো তো, আমি কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবো না। তোমার চেয়ে বড় মানুষদের আমি শান্তি দিই না। আমি কিছু পারি আর না পারি, অশান্তি করে দিই)। জাহিদ সাব (প্রকাশযোগ্য নয়) দুই মাসে দেখা গরিত ন পার (দুই মাসে দেখা করতে পারেন নাই)।
চার মিনিট ২৩ সেকেন্ডের আরেকটি অডিও রেকর্ডে রনি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খানকে বলেন, ধানমণ্ডিতে জায়গা কিনছেন, বিল্ডিং করছেন, ভুয়া ডিগ্রি একটা আমেরিকা থেকে আনছেন.. আঁই প্রকাশ গইল্যে (আমি প্রকাশ করলে) অসুবিধা নাই তো?
তখন এ প্রান্ত থেকে জাহিদ খান রনিকে বলেন, আমি প্রাইভেট মানুষ। আমার ডিগ্রি ১০০টা ভুয়া হলেও অসুবিধা নাই। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছি। আমার এই ডিগ্রিও ভুয়া না কি তখন দেখবো। এরপর রনি বলেন, ঠিক আছে, ওয়েট অ্যান্ড সি, হালিয়ে পেপারত দিইয়্যুম (আগামীকাল পত্রিকায় দিয়ে দেবো), বিজ্ঞাপন আকারে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে রনি বলেন, আঁই অনেরে হইলাম দে, আঁই অনের লয় ব্যক্তিগত সমস্যাত যাইতাম ন চাই (আমি আপনাকে বললাম যে, আমি আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যায় জড়াতে চাই না)। এতাল্লাই বলি অনের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড লইনেও প্রশ্ন ন গরির..অনে ইয়েন সমঝোতা গইয্যন দে নইনে এদিইন্যে (এজন্য আপনার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না) ইয়া আবার ফেসবুকত এগিন কি দিয়্যুন দে (এখন আবার ফেসুবকে এসব কি দিয়েছেন)।
এ সময় জাহিদ খান ফোনের এ প্রান্ত থেকে বলেন, যারা টাকা পয়সা দিতে চায় তাদের আমরা ওভাবে সেটেল করি। তখন অপর প্রান্ত থেকে রনি বলেন, যারা টাকা পয়সার দিকে যেতে চায়, তারা তো যাবে, আসবে। যারা যেতে চায় না তারা নেবে না। আর আপনি কোনো স্টুডেন্টদের হাতে টাকা দেবেন না। টাকা দেবেন অভিভাবকদের হাতে। মাঝখানে এসব আবার কি ঢুকাইলেন? আমি কিন্তু আজকেও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি। দেখেন, আমি কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানের বারোটাই বাজামু।
নিয়ম লাগবে না, মন্ত্রণালয়ের নিয়ম লাইগদো ন্য (লাগবে না), বয় তাইক্যুম নিছদি, ঢুইকতে পাইত্তোনি কেউ (নিচে বসে থাকবো, কেউ ঢুকতে পারবে না)। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খান বলেন, আপনি যদি মনে করেন যে ওইটা ভালো হবে তাহলে ওটা করে দিবো। রনির সঙ্গে যখন জাহিদ খান ফোনে এসব কথা বলেন, তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন। ফোনে কথোপকথনের একপর্যায়ে রনি জাহিদ খানকে বলেন, আপনি কলেজে আসবেন কবে? অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খান বলেন, আমি ঢাকায়। তখন রনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আসবেন কবে? দেখা করা বেশি ইমপর্টেন্ট। এ সময় জাহিদ খান বলেন, আমি আসলে আপনাকে ফোন দেবো।
অধ্যক্ষ জাহিদ খান নিজের ফেসবুক ওয়ালে অডিও রেকর্ড দুটি ফাঁস করেন। এর আগে ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনিসহ ছয় ছাত্রলীগ নেতার নাম এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন তিনি।
গত শনিবার চকবাজার এলাকার বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদ খানকে মারধর করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন রনি। এই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা নিয়ে সেদিন অধ্যক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
অধ্যক্ষকে মারধরের বিষয়টি রনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কলেজের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। আর এই ভিডিও ফুটেজটি ফেসবুকে শেয়ার করেন অধ্যক্ষ জাহিদ খান। ফেসবুকের মাধ্যমে এ ঘটনা সারা দেশে আলোচনার ঝড় তুলে।
ফুটেজ দেখে মিডিয়ার কাছে তিনি দাবি করেন, তখন সেন্স ঠিক রাখতে পারেননি।
মামলার এজাহারে রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়। মামলার পর অধ্যক্ষ জাহিদ খান রনির সঙ্গে দুই মাস আগে তার মোবাইল ফোনে কথোপকথনের দুটি অডিও রেকর্ড ফাঁস করে দেন বৃহসপতিবার বিকালে।
রেকর্ডে শোনা যায়, জাহিদ খানের সঙ্গে রনি কথা বলার সময় চলিত ভাষার সঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাও ব্যবহার করেন। ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ডে রনি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খানকে বলেন, তুঁই ক্যানে.. (প্রকাশযোগ্য নয়) শান্তিত থাহ আঁই চাইয়্যুম, আঁই অশান্তিত থাইক্কুম তো, কেউরে শান্তিত থাইকতে ন দিইয়্যুম। তোঁয়ার তুনো বড় মাইনসেরে শান্তি ন দির আঁই। আঁই কিছু পারি ন পারি অশান্তি হরি দিইয়ুম (তুমি কেমনে শান্তিতে থাকো, আমি দেখবো, আমি অশান্তিতে থাকবো তো, আমি কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবো না। তোমার চেয়ে বড় মানুষদের আমি শান্তি দিই না। আমি কিছু পারি আর না পারি, অশান্তি করে দিই)। জাহিদ সাব (প্রকাশযোগ্য নয়) দুই মাসে দেখা গরিত ন পার (দুই মাসে দেখা করতে পারেন নাই)।
চার মিনিট ২৩ সেকেন্ডের আরেকটি অডিও রেকর্ডে রনি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খানকে বলেন, ধানমণ্ডিতে জায়গা কিনছেন, বিল্ডিং করছেন, ভুয়া ডিগ্রি একটা আমেরিকা থেকে আনছেন.. আঁই প্রকাশ গইল্যে (আমি প্রকাশ করলে) অসুবিধা নাই তো?
তখন এ প্রান্ত থেকে জাহিদ খান রনিকে বলেন, আমি প্রাইভেট মানুষ। আমার ডিগ্রি ১০০টা ভুয়া হলেও অসুবিধা নাই। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছি। আমার এই ডিগ্রিও ভুয়া না কি তখন দেখবো। এরপর রনি বলেন, ঠিক আছে, ওয়েট অ্যান্ড সি, হালিয়ে পেপারত দিইয়্যুম (আগামীকাল পত্রিকায় দিয়ে দেবো), বিজ্ঞাপন আকারে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে রনি বলেন, আঁই অনেরে হইলাম দে, আঁই অনের লয় ব্যক্তিগত সমস্যাত যাইতাম ন চাই (আমি আপনাকে বললাম যে, আমি আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যায় জড়াতে চাই না)। এতাল্লাই বলি অনের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড লইনেও প্রশ্ন ন গরির..অনে ইয়েন সমঝোতা গইয্যন দে নইনে এদিইন্যে (এজন্য আপনার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না) ইয়া আবার ফেসবুকত এগিন কি দিয়্যুন দে (এখন আবার ফেসুবকে এসব কি দিয়েছেন)।
এ সময় জাহিদ খান ফোনের এ প্রান্ত থেকে বলেন, যারা টাকা পয়সা দিতে চায় তাদের আমরা ওভাবে সেটেল করি। তখন অপর প্রান্ত থেকে রনি বলেন, যারা টাকা পয়সার দিকে যেতে চায়, তারা তো যাবে, আসবে। যারা যেতে চায় না তারা নেবে না। আর আপনি কোনো স্টুডেন্টদের হাতে টাকা দেবেন না। টাকা দেবেন অভিভাবকদের হাতে। মাঝখানে এসব আবার কি ঢুকাইলেন? আমি কিন্তু আজকেও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি। দেখেন, আমি কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানের বারোটাই বাজামু।
নিয়ম লাগবে না, মন্ত্রণালয়ের নিয়ম লাইগদো ন্য (লাগবে না), বয় তাইক্যুম নিছদি, ঢুইকতে পাইত্তোনি কেউ (নিচে বসে থাকবো, কেউ ঢুকতে পারবে না)। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খান বলেন, আপনি যদি মনে করেন যে ওইটা ভালো হবে তাহলে ওটা করে দিবো। রনির সঙ্গে যখন জাহিদ খান ফোনে এসব কথা বলেন, তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন। ফোনে কথোপকথনের একপর্যায়ে রনি জাহিদ খানকে বলেন, আপনি কলেজে আসবেন কবে? অপর প্রান্ত থেকে জাহিদ খান বলেন, আমি ঢাকায়। তখন রনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আসবেন কবে? দেখা করা বেশি ইমপর্টেন্ট। এ সময় জাহিদ খান বলেন, আমি আসলে আপনাকে ফোন দেবো।
No comments