খালেদার স্বাস্থ্য ভালো নয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না -সাক্ষাৎ শেষে ফখরুল
কারারুদ্ধ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয়
কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুব
একটা ভালো নয়। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার আরথ্রাইটিসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার
কারণে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। তবে তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত আছে বলেও ফখরুল
জানিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন তার জন্য দুশ্চিন্তা না করতে বলেছেন
নেতাকর্মীদের। মির্জা ফখরুল অবিলম্বে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের
মাধ্যমে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান
জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ম্যাডামের স্বাস্থ্য খুব ভালো নয়। আমরা সেই
সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তার আরথ্রাইটিসের সমস্যাটা বেশ
বেড়ে গেছে। তার এখন হাঁটতেও কষ্ট হয়। এ ছাড়া স্নায়ুবিক সমস্যা অর্থাৎ নিউরো
প্রবলেমও দেখা দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় যে চিকিৎসা দরকার, দুঃখজনকভাবে
তিনি সেটা এখনও পাচ্ছেন না। তার চিকিৎসা যারা করতেন, সেই ব্যক্তিগত
চিকিৎসকদের এখনও দেখা করতে দেয়া হয়নি বা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেয়া
হয়নি। এটা আমরা বার বার বলেছি। আবারো বলছি। অবিলম্বে তার ব্যক্তিগত
চিকিৎসকদের তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ তিনি এখন
সত্যিকার অর্থেই স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েছেন।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘যদিও এর মধ্যে সরকারের তরফ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন। তারা দেখে গেছেন। কিছু কিছু পরীক্ষার কথাও তারা বলে গেছেন। আমরা মনে করি, যারা নিয়মিত তার চিকিৎসা করেন তাদেরকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেয়া এবং প্রয়োজনীয় যেসব চিকিৎসা দেয়া দরকার অবিলম্বে তাকে সেটা দেয়া উচিত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলেও খালেদা জিয়ার মনোবল শক্ত আছে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার যে মানুষ বন্দি জীবনে অভ্যস্ত নন, তাকে যখন বন্দি করে রাখা হয়, তখন তার চেহারার ওপর একটু ছাপ পড়েই। কিন্তু তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত। তিনি আমাদের চেয়েও শক্ত মনের মানুষ। তিনি বারবার এ কথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার জন্য আপনারা ভাববেন না। আমি ভালো আছি, আমি শক্ত আছি। এইসব ছোটখাটো সমস্যাগুলো আমাকে সমস্যা করবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা করবে, এ বিষয়ে কথা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, এ বিষয়গুলো পুরোনো হয়ে গেছে। এগুলো নিয়ে আলোচনার কোনো প্রয়োজনই নেই। কেননা সরকারি চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন। আর যারা তার নিয়মিত চিকিৎসক তাদের দেখা করার অনুমতির জন্য আমরা চিঠি দিয়ে রেখেছি। আবারো আমরা বলবো অবিলম্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়া উচিত এবং সেই ব্যবস্থা করা উচিত।’
বিএনপি চেয়ারপারসন দলের আন্দোলন নিয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, একমাত্র গণতন্ত্র দিয়েই সেই সংকট উত্তরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। সেজন্য যে চলমান আন্দোলন আছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার একমাত্র পথ বলে তিনি মনে করেন।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘যদিও এর মধ্যে সরকারের তরফ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন। তারা দেখে গেছেন। কিছু কিছু পরীক্ষার কথাও তারা বলে গেছেন। আমরা মনে করি, যারা নিয়মিত তার চিকিৎসা করেন তাদেরকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেয়া এবং প্রয়োজনীয় যেসব চিকিৎসা দেয়া দরকার অবিলম্বে তাকে সেটা দেয়া উচিত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলেও খালেদা জিয়ার মনোবল শক্ত আছে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার যে মানুষ বন্দি জীবনে অভ্যস্ত নন, তাকে যখন বন্দি করে রাখা হয়, তখন তার চেহারার ওপর একটু ছাপ পড়েই। কিন্তু তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত। তিনি আমাদের চেয়েও শক্ত মনের মানুষ। তিনি বারবার এ কথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার জন্য আপনারা ভাববেন না। আমি ভালো আছি, আমি শক্ত আছি। এইসব ছোটখাটো সমস্যাগুলো আমাকে সমস্যা করবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলে সরকার ব্যবস্থা করবে, এ বিষয়ে কথা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, এ বিষয়গুলো পুরোনো হয়ে গেছে। এগুলো নিয়ে আলোচনার কোনো প্রয়োজনই নেই। কেননা সরকারি চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন। আর যারা তার নিয়মিত চিকিৎসক তাদের দেখা করার অনুমতির জন্য আমরা চিঠি দিয়ে রেখেছি। আবারো আমরা বলবো অবিলম্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়া উচিত এবং সেই ব্যবস্থা করা উচিত।’
বিএনপি চেয়ারপারসন দলের আন্দোলন নিয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, একমাত্র গণতন্ত্র দিয়েই সেই সংকট উত্তরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। সেজন্য যে চলমান আন্দোলন আছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার একমাত্র পথ বলে তিনি মনে করেন।’
No comments