বৈশাখ উদযাপন: ১২০ টন ইলিশ মজুত by মোরশেদ আলম
মজুত
ইলিশ দিয়ে চাঁদপুরে বৈশাখ উদযাপন। এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ১২০ টন ইলিশ
মজুত করেছে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে খন্দকার ফিশ প্রসেসিং কোল্ড
স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে মিয়ানমারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে
আসা প্রায় স্বাদবিহীন ইলিশ দিয়েই হবে এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপন। অবশ্য
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ইলিশের
চাহিদা থাকলেও চাঁদপুর নৌ-সীমানার মতলবের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর
আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ্থ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম ঘোষণা করায় নদীতে কোনো
প্রকার জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ফলে নদীতে জাল ফেলে ইলিশ ধরতে পারছে
না জেলেরা। তাই মজুত ইলিশের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে বৈশাখ উদযাপনে।
চাঁদপুর জেলার একমাত্র ইলিশ মজুত করার বেসরকারি কোল্ড স্টোরেজ খন্দকার ফিশ প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মালেক খন্দকার জানান, সরকারি অনুমতি নিয়ে তিনি এ বছর ১২০ টন ইলিশ মজুত করেছেন। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মজুত করা ইলিশ সরবরাহ করা হচ্ছে। ১০ কেজি করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে এসব ইলিশ। এর মধ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩৫০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম থেকে কেজি পর্যন্ত ৮০০ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গত বছর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর কিছুটা কম। তাই দামও কিছুটা কম রয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, জাটকা ধরা প্রতিরোধে চাঁদপুরের এই এলাকা অভয়াশ্রমের মধ্যে রয়েছে। তাই এবছর খন্দকার ফিশ প্রসেসিং কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ১২০ টন বাইরের ইলিশ মজুত করেছে।
সরজমিনে চাঁদপুরের ইলিশের মাছঘাট বড়স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এ রকম চিত্র। ইলিশ মাছ নেই। তাই মাছের আড়ৎদাররা শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রুই কাতলাসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে কিছুটা সময় কাটাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার আগেই নিজেদের আড়ৎ ও আশপাশের এলাকা অবকাঠামো নতুন করে মেরামত করছেন। ব্যস্ত মাছ ঘাট অনেকটাই নীরব। চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখ আসার সময় হয়েছে, তাই ব্যবসায়ীরা তাদের অভ্যন্তরীণ হিসাব মেলাতে ব্যস্ত।
মাছঘাটে উপস্থিত মাছের ক্রেতা প্রফেসর অরুন চন্দ্র সরকার জানান, পহেলা বৈশাখে ইলিশ খেতে হবে, তা কেন। আমরা অন্য কিছু খাবো। জাটকা রক্ষা করতে পারলে আমরা বড় ইলিশ খেতে পারবো। তাছাড়া দামও হাতের নাগালে থাকবে। পহেলা বৈশাখে না হয় দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাবো।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত জানান, ইলিশ মাছ চাঁদপুরের ব্র্যান্ডিং হওয়ায় এখন আমাদেরকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। মাছ ঘাটে পৌঁছার পর থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সবকিছুই এখন তদারকির আওতায়। আন্তর্জাতিক সংগঠন হেসাফও আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তারা বছরে কয়েকবার চাঁদপুর মাছঘাট পরিদর্শন করে। এ সময় তিনি ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশ রপ্তানির দ্বার খুলে দেয়ার দাবি জানান।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আঃ খালেক মাল জানান, ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে বেকার এখানকার ব্যবসায়ীরা। বৈশাখে মজুত ইলিশের উপরই আমাদের ভরসা করতে হবে। তিনি জানান, অন্যবারের তুলনায় এবার ইলিশের চাহিদা কম।
মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ী আলী আকবরের দোকানে গিয়ে দেখা গেল, ফ্রিজে ইলিশ মাছ। এই ইলিশ মাছের কথা জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, এগুলো অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি কোল্ড স্টোরেজ খন্দকার ফিশ প্রসেসিং থেকে সরবরাহকৃত। তিনি জানান, এখানে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হলেও সুরেশ্বরসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে বড় ও জাটকা ইলিশ ধরা হচ্ছে। এগুলো রুখবে কে?
চাঁদপুর জেলার একমাত্র ইলিশ মজুত করার বেসরকারি কোল্ড স্টোরেজ খন্দকার ফিশ প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মালেক খন্দকার জানান, সরকারি অনুমতি নিয়ে তিনি এ বছর ১২০ টন ইলিশ মজুত করেছেন। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মজুত করা ইলিশ সরবরাহ করা হচ্ছে। ১০ কেজি করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে এসব ইলিশ। এর মধ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩৫০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম থেকে কেজি পর্যন্ত ৮০০ থেকে ১ হাজার পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গত বছর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর কিছুটা কম। তাই দামও কিছুটা কম রয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, জাটকা ধরা প্রতিরোধে চাঁদপুরের এই এলাকা অভয়াশ্রমের মধ্যে রয়েছে। তাই এবছর খন্দকার ফিশ প্রসেসিং কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ১২০ টন বাইরের ইলিশ মজুত করেছে।
সরজমিনে চাঁদপুরের ইলিশের মাছঘাট বড়স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এ রকম চিত্র। ইলিশ মাছ নেই। তাই মাছের আড়ৎদাররা শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রুই কাতলাসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে কিছুটা সময় কাটাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার আগেই নিজেদের আড়ৎ ও আশপাশের এলাকা অবকাঠামো নতুন করে মেরামত করছেন। ব্যস্ত মাছ ঘাট অনেকটাই নীরব। চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখ আসার সময় হয়েছে, তাই ব্যবসায়ীরা তাদের অভ্যন্তরীণ হিসাব মেলাতে ব্যস্ত।
মাছঘাটে উপস্থিত মাছের ক্রেতা প্রফেসর অরুন চন্দ্র সরকার জানান, পহেলা বৈশাখে ইলিশ খেতে হবে, তা কেন। আমরা অন্য কিছু খাবো। জাটকা রক্ষা করতে পারলে আমরা বড় ইলিশ খেতে পারবো। তাছাড়া দামও হাতের নাগালে থাকবে। পহেলা বৈশাখে না হয় দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাবো।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত জানান, ইলিশ মাছ চাঁদপুরের ব্র্যান্ডিং হওয়ায় এখন আমাদেরকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। মাছ ঘাটে পৌঁছার পর থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সবকিছুই এখন তদারকির আওতায়। আন্তর্জাতিক সংগঠন হেসাফও আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তারা বছরে কয়েকবার চাঁদপুর মাছঘাট পরিদর্শন করে। এ সময় তিনি ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশ রপ্তানির দ্বার খুলে দেয়ার দাবি জানান।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আঃ খালেক মাল জানান, ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে বেকার এখানকার ব্যবসায়ীরা। বৈশাখে মজুত ইলিশের উপরই আমাদের ভরসা করতে হবে। তিনি জানান, অন্যবারের তুলনায় এবার ইলিশের চাহিদা কম।
মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ী আলী আকবরের দোকানে গিয়ে দেখা গেল, ফ্রিজে ইলিশ মাছ। এই ইলিশ মাছের কথা জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, এগুলো অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি কোল্ড স্টোরেজ খন্দকার ফিশ প্রসেসিং থেকে সরবরাহকৃত। তিনি জানান, এখানে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হলেও সুরেশ্বরসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে বড় ও জাটকা ইলিশ ধরা হচ্ছে। এগুলো রুখবে কে?
No comments