ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি by খালিদ হোসেন সুমন
নবাবগঞ্জ
উপজেলায় ইটভাটাগুলোর পরিবেশ আইন মানা হচ্ছে না। সরকারি আইনকে তোয়াক্কা না
করে এসব ইটভাটায় আবাদি জমির উপরি ভাগের (টপ সয়েল) মাটি সংগ্রহ করছে। শুষ্ক
মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ইটভাটায় ইট বানানোর কার্যক্রম।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ইটভাটাগুলো সরকারি নিয়ম ও আইন অমান্য করে সাধারণ কৃষককে
নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে সংগ্রহ করছে আবাদি জমির উপরি ভাগ (টপ সয়েল) মাটি। নগদ
টাকা হাতে পাওয়া ছাড়াও অনেকটা বাধ্য হয়ে কৃষক তাদের আবাদি জমির মাটি তুলে
দিচ্ছে ইটভাটা মালিকের কাছে। এতে করে শত শত হেক্টর আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে আবাদি জমির পরিমাণও দিন দিন কমে যাচ্ছে। হুমকির মুখে পরছে আবাদি
জমি। একের পর এক হারাচ্ছে আবাদি কৃষি জমি। সরজমিনে দেখা গেছে ভূমি খেকোদের
ক্ষমতার কাছে অনেকেই জিম্মি। তাদের ক্ষমতার কারণে বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক
তাদের কৃষি জমির মাটি বিক্রি করছে। উপজেলার চালনাই বিলে ইরি প্রজেক্টের
মাঝখান থেকে প্রতিদিন ভ্যেকু দিয়ে শত শত ট্রাক মাটি বিক্রি করছে। আবাদি ইরি
প্রজেক্টের ব্যাপক ক্ষতি হলেও ক্ষমতার প্রভাবের কাছে মুখ খুলতে পারছে না
সাধারণ কৃষক। টাকা আর ক্ষমতার প্রভাবে তোয়াক্কা করছে না কারো কথা। জাতীয় ও
স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হলেও টনক নরেনি কারো।
পরিত্যক্ত অনাবাদি জমির মাটি ইটভাটায় ব্যবহার করার কথা থাকলেও তারা সহজ
লভ্যে হাতের কাছে কম টাকায় পাওয়ায় সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। ইটভাটার মালিকদের
দাবি প্রসাশন যদি আবাদি জমির মাটি কাটা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বাধ্য হয়ে
অন্য জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করবো। এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন
এলাকায়।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের চালনাই এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। সেই ভাটার ইট তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। মাটি কাটার কোনো অনুমতি নেই। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই নিত্য নতুন ইটভাটা তৈরির কাজ চলছে। একদিকে ভাটার কালো ধোঁয়ায় যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তেমনি করে ক্ষতি হচ্ছে ক্ষেতের ফসল ও বিভিন্ন ফলদ এবং বনজ বৃক্ষ। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানান স্থানীয়রা।
বুধবার সরেজমিনে চালনাই ইটভাটা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বান্দুরা ইউনিয়নের মহব্বতপুর মৌজায় চালনাই চক এলাকায় প্রবাসী আলমগীরের ধানের ফসলি জমি থেকে ভেক্যু দিয়ে মাটি খনন করছে। সেখানকার শ্রমিক ও ভেক্যু চালককে জিজ্ঞেস করলে বলেন স্থানীয় মাঝির কান্দা গ্রামের আজাদ খান আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিতে বলছে তাই আমরা মাটি কাটতিছি। চিত্র দেখে মনে হয়েছে প্রশাসন যেন এসবের খবরই রাখছে না। এ বিষয়ে চালনাই চকে বান্দুরা, হাসনাবাদ, মহব্বতপুর কৃষি সমবায় সমিতির ইরি প্রজেক্টের ম্যানেজার জুয়েল খান ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ক্ষমতার জোরে ভাটার মালিকরা সবাইকেই ম্যানেজ করে অবৈধ পন্থায় ব্যবসা করে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ নসিমন-মাহেন্দ্রার ধোঁয়া ও বিকট শব্দে পরিবেশে দূষণ ঘটছে। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাসহ স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজিব ইট কোম্পানির মালিক নাসির উদ্দিন বলেন আমাদের গ্রামাঞ্চলে ইটভাটার প্রধান বাহনই হচ্ছে নসিমন মাহেন্দ্রা। প্রশাসন যদি এসব বাহন বন্ধ করে দেয় আমরা অন্য ব্যবস্থা করব। জমির মাটি কাটার জবাবে বলেন আমরা মাটি কিনে ইট তৈরি করি। মাটি কোথায় থেকে আসে কিংবা কে দেয় সেটা দেখার বিষয় নয়। এ ব্যাপারে আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করলে কিছু যায় আসে না।
এবিসি কোম্পানির ভাটার আরেক মালিক তাজুল ইসলাম বলেন আমাদের পরিবেশ ছাড়পত্রে লেখা আছে কোন ফসলি জমির মাটি দিয়ে ইট বানানো যাবেনা। আমরা আজাদ খানের কাছ থেকে মাটি কিনে নিচ্ছি এখন যদি প্রশাসন মনে করে যে ফসলি জমির মাটি কাটার অনুমতি আজাদ পায়নি তাহলে আমরা আর ওই জামির মাটি কিনবো না । মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন আমি কাউকে মাটি কাটার অনুমতি দিইনি তবে এর আগে বিষয়টি আমি জেনে তাৎক্ষনিকভাবে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরেও যদি মাটি কাটা শুরু করে থাকে খোঁজ নিয়ে তা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের চালনাই এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। সেই ভাটার ইট তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। মাটি কাটার কোনো অনুমতি নেই। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই নিত্য নতুন ইটভাটা তৈরির কাজ চলছে। একদিকে ভাটার কালো ধোঁয়ায় যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তেমনি করে ক্ষতি হচ্ছে ক্ষেতের ফসল ও বিভিন্ন ফলদ এবং বনজ বৃক্ষ। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানান স্থানীয়রা।
বুধবার সরেজমিনে চালনাই ইটভাটা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বান্দুরা ইউনিয়নের মহব্বতপুর মৌজায় চালনাই চক এলাকায় প্রবাসী আলমগীরের ধানের ফসলি জমি থেকে ভেক্যু দিয়ে মাটি খনন করছে। সেখানকার শ্রমিক ও ভেক্যু চালককে জিজ্ঞেস করলে বলেন স্থানীয় মাঝির কান্দা গ্রামের আজাদ খান আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিতে বলছে তাই আমরা মাটি কাটতিছি। চিত্র দেখে মনে হয়েছে প্রশাসন যেন এসবের খবরই রাখছে না। এ বিষয়ে চালনাই চকে বান্দুরা, হাসনাবাদ, মহব্বতপুর কৃষি সমবায় সমিতির ইরি প্রজেক্টের ম্যানেজার জুয়েল খান ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ক্ষমতার জোরে ভাটার মালিকরা সবাইকেই ম্যানেজ করে অবৈধ পন্থায় ব্যবসা করে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ নসিমন-মাহেন্দ্রার ধোঁয়া ও বিকট শব্দে পরিবেশে দূষণ ঘটছে। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাসহ স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজিব ইট কোম্পানির মালিক নাসির উদ্দিন বলেন আমাদের গ্রামাঞ্চলে ইটভাটার প্রধান বাহনই হচ্ছে নসিমন মাহেন্দ্রা। প্রশাসন যদি এসব বাহন বন্ধ করে দেয় আমরা অন্য ব্যবস্থা করব। জমির মাটি কাটার জবাবে বলেন আমরা মাটি কিনে ইট তৈরি করি। মাটি কোথায় থেকে আসে কিংবা কে দেয় সেটা দেখার বিষয় নয়। এ ব্যাপারে আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করলে কিছু যায় আসে না।
এবিসি কোম্পানির ভাটার আরেক মালিক তাজুল ইসলাম বলেন আমাদের পরিবেশ ছাড়পত্রে লেখা আছে কোন ফসলি জমির মাটি দিয়ে ইট বানানো যাবেনা। আমরা আজাদ খানের কাছ থেকে মাটি কিনে নিচ্ছি এখন যদি প্রশাসন মনে করে যে ফসলি জমির মাটি কাটার অনুমতি আজাদ পায়নি তাহলে আমরা আর ওই জামির মাটি কিনবো না । মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন আমি কাউকে মাটি কাটার অনুমতি দিইনি তবে এর আগে বিষয়টি আমি জেনে তাৎক্ষনিকভাবে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরেও যদি মাটি কাটা শুরু করে থাকে খোঁজ নিয়ে তা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
No comments