অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় কমেছে চায়ের রপ্তানি
এক
কাপ চা দিয়ে সকাল শুরু করেন এমন লোকের সংখ্যা দেশে কম নয়। আবার সারা দিনে
এক কাপ চা পান করেন না এমন লোকও পাওয়া দুষ্কর। দিন দিন চা পানের পরিমাণ
বাড়ছে। উৎপাদনের চেয়ে এই চাহিদা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চাহিদার তুলনায় কতটুকু
চা উৎপাদিত হয়েছে, তা হিসাব করে প্রতিবছরই কম-বেশি পরিমাণ চা আমদানি করছেন
ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়তে থাকায় চায়ের রপ্তানি কমেছে।
বিগত ১০ বছরের উৎপাদন ও চাহিদার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই সময়ের ব্যবধানে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে দুই কোটি কেজি। অর্থাৎ বছরে গড়ে উৎপাদন বাড়ছে সাড়ে ৩ শতাংশ হারে। একই সময়ে চায়ের চাহিদা বেড়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। যা বছরে সাড়ে ৬ শতাংশ হারে চাহিদা বাড়ছে।
চায়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০১০ সাল থেকে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হয়। তখন থেকেই আমদানি শুরু হয়। গত আট বছরে দেশে মোট চা আমদানি হয় ৫ কোটি ৯৫ লাখ কেজি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছিল ২০১৫ সালে, মোট ১ কোটি ৫৮ লাখ কেজি। ২০১৬ সালে ৮৭ লাখ কেজি এবং ২০১৭ সালে ৬২ লাখ কেজি চা আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, নব্বইয়ের দশকে বিশ্বে চা রপ্তানির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চা রপ্তানি হয় সেই সময়। ১৯৮২ সালে চা রপ্তানি হয় ৩ কোটি ৪৪ লাখ কেজি। সবচেয়ে কম রপ্তানি হয় ২০১৬ সালে, ৪ লাখ ৭০ হাজার কেজি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়তে থাকায় রপ্তানিও কমে গেছে। ২০১৬ সালের চা রপ্তানিতে বাংলাদেশ ছিল ৭৭তম।
চা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, গত ১০ বছরে দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ২ কোটি কেজি। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। এ অবস্থায় উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা মেটানো ও রপ্তানি বাড়াতে ১৫ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনায় ২০২৫ সালে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে ২০১৬ সালে সাড়ে ৮ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়। রেকর্ড পরিমাণ এই উৎপাদনের পরের বছরই উৎপাদন ৬১ লাখ কেজি কমে যায়। সব মিলিয়ে গত বছর উৎপাদন দাঁড়ায় ৭ কোটি ৮৯ লাখ কেজি। চা চাষের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন। গত দুই বছর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের কারণে চা আমদানি কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি রপ্তানিও বেড়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিসংখ্যান থেকে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে চায়ের উদ্বৃত্ত ছিল ৮৮ লাখ কেজি। এজন্য গত বছর চা আমদানি হয়েছে ৬২ লাখ কেজি, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আবার রপ্তানি বেড়েছেও আগের তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত বছর ২৫ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়।
চা বোর্ডের হিসাব মতে, আমদানি ও উৎপাদন মিলে ২০১৬ সালে দেশের বাজারে চায়ের সরবরাহ ছিল সবচেয়ে বেশি, ৯ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। ওই বছর দেশের মানুষ ৮ কোটি ১৬ লাখ কেজি চা পান করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষ পান করেছে ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা।
চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহ আলম বলেন, বাগানের পুরনো চারা উঠিয়ে নতুন চারা লাগানো হচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। ফলে আগামী দিনে চা উৎপাদন বাড়বে। সে ক্ষেত্রে আমদানি কমে আসবে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে গত বছর চায়ের উৎপাদন কম হয়। তারপরও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে।
বিগত ১০ বছরের উৎপাদন ও চাহিদার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই সময়ের ব্যবধানে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে দুই কোটি কেজি। অর্থাৎ বছরে গড়ে উৎপাদন বাড়ছে সাড়ে ৩ শতাংশ হারে। একই সময়ে চায়ের চাহিদা বেড়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। যা বছরে সাড়ে ৬ শতাংশ হারে চাহিদা বাড়ছে।
চায়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০১০ সাল থেকে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হয়। তখন থেকেই আমদানি শুরু হয়। গত আট বছরে দেশে মোট চা আমদানি হয় ৫ কোটি ৯৫ লাখ কেজি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছিল ২০১৫ সালে, মোট ১ কোটি ৫৮ লাখ কেজি। ২০১৬ সালে ৮৭ লাখ কেজি এবং ২০১৭ সালে ৬২ লাখ কেজি চা আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, নব্বইয়ের দশকে বিশ্বে চা রপ্তানির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চা রপ্তানি হয় সেই সময়। ১৯৮২ সালে চা রপ্তানি হয় ৩ কোটি ৪৪ লাখ কেজি। সবচেয়ে কম রপ্তানি হয় ২০১৬ সালে, ৪ লাখ ৭০ হাজার কেজি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়তে থাকায় রপ্তানিও কমে গেছে। ২০১৬ সালের চা রপ্তানিতে বাংলাদেশ ছিল ৭৭তম।
চা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, গত ১০ বছরে দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ২ কোটি কেজি। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। এ অবস্থায় উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা মেটানো ও রপ্তানি বাড়াতে ১৫ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনায় ২০২৫ সালে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে ২০১৬ সালে সাড়ে ৮ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়। রেকর্ড পরিমাণ এই উৎপাদনের পরের বছরই উৎপাদন ৬১ লাখ কেজি কমে যায়। সব মিলিয়ে গত বছর উৎপাদন দাঁড়ায় ৭ কোটি ৮৯ লাখ কেজি। চা চাষের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন। গত দুই বছর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের কারণে চা আমদানি কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি রপ্তানিও বেড়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিসংখ্যান থেকে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে চায়ের উদ্বৃত্ত ছিল ৮৮ লাখ কেজি। এজন্য গত বছর চা আমদানি হয়েছে ৬২ লাখ কেজি, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আবার রপ্তানি বেড়েছেও আগের তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত বছর ২৫ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়।
চা বোর্ডের হিসাব মতে, আমদানি ও উৎপাদন মিলে ২০১৬ সালে দেশের বাজারে চায়ের সরবরাহ ছিল সবচেয়ে বেশি, ৯ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। ওই বছর দেশের মানুষ ৮ কোটি ১৬ লাখ কেজি চা পান করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষ পান করেছে ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা।
চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহ আলম বলেন, বাগানের পুরনো চারা উঠিয়ে নতুন চারা লাগানো হচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। ফলে আগামী দিনে চা উৎপাদন বাড়বে। সে ক্ষেত্রে আমদানি কমে আসবে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে গত বছর চায়ের উৎপাদন কম হয়। তারপরও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে।
No comments