সুচির কট্টর মুখপাত্রের দাবি ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য পেয়েছে তাই...
অং
সান সুচির নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত উ জ
তে একজন রোহিঙ্গা বিদ্বেষী বদ্ধ উন্মাদ হিসেবে নিজকে মিডিয়ায় উপস্থাপন করে
চলেছেন। সর্বশেষ তিনি গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছেন।
ইয়াঙ্গুনে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির দপ্তরের মহাপরিচালক মি. জ দাবি
করেন, বাংলাদেশই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে না। তার কথায়, ‘বাংলাদেশ
মিয়ানমার সীমান্তে বিশ্বের বৃহত্তম উদ্বাস্তু শিবির গড়ে তুলতে আগ্রহী।
উদ্বাস্তুদের বাবদ তারা ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য পেয়েছে। তাই
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় না।
তারা বিলম্ব করতে চাইছে। অথচ আমরা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত।’ গতকাল মিয়ানমার টাইমসে তার এই বক্তব্য ছাপা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমার টাইমসে ছাপা হলেও ২রা নভেম্বরের নিউ ইয়র্ক টাইমসে তা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা হাননা বেক লিখেছেন, মি. জ তে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফিরতে দিতে চাইছে না। কারণ, তারা আন্তর্জাতিক অনুদান হারাতে চায় না।’ মিয়ানমার টাইমস বলেছে, ঢাকায় একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা তাদের এই মনোভাব জেনে শঙ্কিত। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে যে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বের জন্য কারা দায়ী?” বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সপ্তাহের আলোচনায় বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নসহ যে ১০ দফা পেশ করেছেন, সে বিষয়ে মিয়ানমারের কোনো সাড়া নেই। গত শুক্রবার আসাদুজ্জামান খান মিডিয়াকে বলেছেন, একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে তারা ব্যর্থ হলেও এ বিষয়ে আগামী ৩০শে নভেম্বরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরকালে তা হতে পারে। ওই মুখপাত্রটি বলেছেন, ১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে তারা। কিন্তু বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব জানে এটা একটা বর্মী ভাঁওতাবাজি। কারণ, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে বলা হয়েছিল, মিয়ানমার উদ্বাস্তুদের ফেরত নেবে। কিন্তু শর্ত হলো তারা যে মিয়ানমারের নাগরিক তার সপক্ষে তাদের প্রমাণ দিতে হবে। আর এটা সবারই জানা যে, রোহিঙ্গাদের বহু বছর ধরে কোনো প্রকারের নাগরিকত্বের সনদ দেয়া হয়নি। উপরন্তু যার কাছে যে কাগজপত্র অবশিষ্ট ছিল তাও তারা আনতে পারেনি। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মানুষ প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আর এখন তারা বলছে, নাগরিকত্বের প্রমাণ ছাড়া তারা কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। ওই মুখপাত্র আরো বলেন, আমরা এখন শঙ্কিত যে বাংলাদেশ সরকার এত বিপুল পরিমাণ সাহায্য পেয়েছে, তাই এখন তারা তাদের আর ছাড়তে চাইবে না। তারা আন্তর্জাতিক সাবসিডি বা ভর্তুকি পেয়েছে। মিয়ানমার টাইমসের শুক্রবারের রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাম্প্রতিক সফরকালে দুপক্ষের মধ্যে কমিটি গঠনে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করাই এই কমিটির লক্ষ্য। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে উ জ তে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাখাইনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কেন গুলি চালানো হয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘মার্কিন সেনারা আক্রান্ত হলে তারা গুলি চালাতে পারে। ‘বাঙালি সন্ত্রাসীরা’ বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে মিশে আছে। এখন তারা যদি আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আপনি তাদের ওপর গুলি চালাতে পারেন।’
তারা বিলম্ব করতে চাইছে। অথচ আমরা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত।’ গতকাল মিয়ানমার টাইমসে তার এই বক্তব্য ছাপা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমার টাইমসে ছাপা হলেও ২রা নভেম্বরের নিউ ইয়র্ক টাইমসে তা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা হাননা বেক লিখেছেন, মি. জ তে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফিরতে দিতে চাইছে না। কারণ, তারা আন্তর্জাতিক অনুদান হারাতে চায় না।’ মিয়ানমার টাইমস বলেছে, ঢাকায় একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা তাদের এই মনোভাব জেনে শঙ্কিত। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে যে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বের জন্য কারা দায়ী?” বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সপ্তাহের আলোচনায় বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নসহ যে ১০ দফা পেশ করেছেন, সে বিষয়ে মিয়ানমারের কোনো সাড়া নেই। গত শুক্রবার আসাদুজ্জামান খান মিডিয়াকে বলেছেন, একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে তারা ব্যর্থ হলেও এ বিষয়ে আগামী ৩০শে নভেম্বরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরকালে তা হতে পারে। ওই মুখপাত্রটি বলেছেন, ১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে তারা। কিন্তু বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব জানে এটা একটা বর্মী ভাঁওতাবাজি। কারণ, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে বলা হয়েছিল, মিয়ানমার উদ্বাস্তুদের ফেরত নেবে। কিন্তু শর্ত হলো তারা যে মিয়ানমারের নাগরিক তার সপক্ষে তাদের প্রমাণ দিতে হবে। আর এটা সবারই জানা যে, রোহিঙ্গাদের বহু বছর ধরে কোনো প্রকারের নাগরিকত্বের সনদ দেয়া হয়নি। উপরন্তু যার কাছে যে কাগজপত্র অবশিষ্ট ছিল তাও তারা আনতে পারেনি। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মানুষ প্রাণ হাতে করে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আর এখন তারা বলছে, নাগরিকত্বের প্রমাণ ছাড়া তারা কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। ওই মুখপাত্র আরো বলেন, আমরা এখন শঙ্কিত যে বাংলাদেশ সরকার এত বিপুল পরিমাণ সাহায্য পেয়েছে, তাই এখন তারা তাদের আর ছাড়তে চাইবে না। তারা আন্তর্জাতিক সাবসিডি বা ভর্তুকি পেয়েছে। মিয়ানমার টাইমসের শুক্রবারের রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাম্প্রতিক সফরকালে দুপক্ষের মধ্যে কমিটি গঠনে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করাই এই কমিটির লক্ষ্য। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে উ জ তে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাখাইনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কেন গুলি চালানো হয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘মার্কিন সেনারা আক্রান্ত হলে তারা গুলি চালাতে পারে। ‘বাঙালি সন্ত্রাসীরা’ বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে মিশে আছে। এখন তারা যদি আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আপনি তাদের ওপর গুলি চালাতে পারেন।’
No comments