গায়ক ও কবি লিওনার্ড কোহেন আর নেই
লিওনার্ড কোহেন |
মাত্র গত মাসেই বের হয়েছিল তাঁর ১৪ নম্বর অ্যালবাম ইউ ওয়ান্ট ইট ডার্কার। শ্রোতাদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়ায় এটি। দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা অ্যালবামটিকে বর্ণনা করেছিল ‘বিমর্ষ মাস্টারপিস’ হিসেবে। সেই নন্দিত শিল্পকর্মের স্রষ্টা কানাডার বিখ্যাত গায়ক, গীতিকার ও কবি লিওনার্ড কোহেন ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন। শোক প্রকাশ করতে গিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁকে আখ্যায়িত করেছেন এক কিংবদন্তি বলে। লিওনার্ড কোহেনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এক বিবৃতিতে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। তবে এ ব্যাপারে মৃত্যুর সময় বা বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক কোহেন। ফেসবুক পেজে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গভীর শোকের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে কিংবদন্তিপ্রতিম কবি, গীতিকার ও শিল্পী লিওনার্ড কোহেন মারা গেছেন। অসংখ্য গানের স্রষ্টা সংগীতের পরম শ্রদ্ধেয় এক স্বপ্নদ্রষ্টাকে আমরা হারালাম।’ ছেলে অ্যাডাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কলম থামেনি লিওনার্ড কোহেনের। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে শান্তিতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। হৃদয়ে যা অনুভব করতেন, তা তাঁর শ্রেষ্ঠ একটি গানের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে।’ লিওনার্ড কোহেনের কানাডার মন্ট্রিলের বাড়ির সামনে ভক্তরা মোমবাতি জ্বালিয়ে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শিল্পীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিংবদন্তি লিওনার্ড কোহেনের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বিষণ্ন কণ্ঠ, গানের শক্তিশালী কথা ও বিনয়ী রসবোধ কয়েকটি প্রজন্মের কাছে তাঁকে ভালো লাগা ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।’ কোহেনের সবচেয়ে বেশি পরিচিত গানগুলোর মধ্যে ছিল ‘হালোলুইয়াহ’ ও ‘ড্যান্স মি টু দ্য অ্যান্ড অব লাভ’। জীবনজুড়ে প্রায় সদা বিষণ্ন থাকলেও তাঁর লেখা গানের কথায় ফুটেছে আকর্ষণীয় রসবোধ ও বিনয়ী মনোভাব। এ গুণই তাঁকে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তাঁরই গানের কথায় ভক্তরা এখন বলে উঠতেই পারেন, ‘হেই, দ্যাটস নো ওয়ে টু সে গুডবাই’—এভাবে কি চলে যেতে হয়!
No comments