হংকংয়ে তরুণ গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের জয়
হংকংয়ে ২০১৪ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ ‘ছাতা বিপ্লবে’র পর প্রথমবারের মতো আইন পরিষদ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন তরুণ স্বাধীনতাকামী নেতারা। এদের মধ্যে স্বাধীনতাপন্থী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডেমোসিস্টো পার্টির নাথান ল, আইন পরিষদে তার আসন নিশ্চিত করেছেন। এটাই বিদ্রোহী ছাত্রনেতাদের জন্য প্রথম রাজনীতির স্বাদ পাওয়ার আনন্দ। স্বাধীনতাকামী এসব তরুণরা চীনের শাসন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে চান। খবর বিবিসির। চীনা অধ্যুষিত বাণিজ্যিক অঞ্চল হংকংয়ের আইন ও বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা রাখে আইন পরিষদ। কমিউনিস্টশাসিত চীন হংকংকে নিয়ন্ত্রণ করলেও সেখানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বলবৎ। এমনকি হংকংয়ের কারণেই চীনে ‘এক দেশ দুই নীতি’ পদ্ধতি চালু আছে। ২০১০ সালে পাস হওয়া সংবিধান অনুযায়ী ৭০ আসনের হংকংয়ের আইন পরিষদের ৩৫ আসনে ভোটারদের সরাসরি ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল পদ্ধতিতে ভোট হয়। রোববারের নির্বাচনে ৩৮ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম,
যেখানে ২০০৮ সালে ভোট পড়ে ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ। ভোটগ্রহণ শেষেও কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভোটে স্বাধীনতাপন্থী ইয়ংস্পাইরেশন দলের আরও দুই সদস্য জয়ের কাছাকাছি আছেন। এরাও ২০১৪ সালের ‘আমব্রেলা আন্দোলনে’ সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে কিছু গণতন্ত্রপন্থী নেতা তাদের আসন হারিয়েছেন। এদিকে, আইন পরিষদের এ ভোটে নাথানের জয় হংকংয়ের চীনপন্থী দলগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাথান ও তার মিত্ররা এ নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ আসন দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে, যাতে করে আইন প্রণয়নে ভেটো দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন হয় তাদের দল। যদিও হংকংয়ের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা চীনের মনোনীত হয়ে থাকেন। আইন পরিষদের ভোটে মনোনয়নে তেমন প্রভাব ফেলে না। তবে ভোটে স্বাধীনতাপন্থীদের ভোট বাড়ায় তা হংকংয়ে চীনপন্থী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লংয়ের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসার সম্ভাবনাও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
No comments