লবণের আকাশচুম্বী দাম
সাম্প্রতিক কালের মধ্যে লবণের দাম এখন সর্বোচ্চ। পরপর দুই মৌসুম দেশীয় লবণের উৎপাদন চাহিদার থেকে কম থাকায় বাজারে লবণের অভাব দেখা দিয়েছে। সরকার লবণ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দুই মাসের জন্য স্থগিত করে দেড় লাখ টন অপরিশোধিত লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাহলেও সীমিত মাত্রায় আমদানির অনুমতি দেওয়ায় তা ভোজ্য ও শিল্পে ব্যবহৃত লবণের মোট চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, উৎপাদক ও আমদানিকারকেরা। ভারী বৃষ্টির কারণে গতবারের মতো এবারও লবণ চাষে ঘাটতি পড়েছে। এই সুযোগে মজুতদারেরা চাষিদের থেকে সস্তায় কেনা লবণ বেশি দামে বাজারে ছাড়ছেন। এরই জেরে বাজারে লবণের দাম বেড়ে হয়েছে কেজিপ্রতি ৪২ টাকা! দীর্ঘকাল লবণের দাম এত বাড়তে পারেনি। লবণ কেবল মানুষের খাদ্যতালিকার অপরিহার্য দ্রব্যই নয়, তা শিল্পেরও কাঁচামাল। লবণসংকটে সার উৎপাদনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া লবণের অভাবে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণেও সমস্যা দেখা দেবে। এর প্রভাব পড়বে চামড়াশিল্পে, চামড়া সংরক্ষণের খরচও অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।
আগামী তিন মাসের আগে লবণচাষিরা বাজারে লবণ সরবরাহ করতে পারবেন না। এমনিতে লবণচাষিদের স্বার্থে দেশে লবণ আমদানি নিষিদ্ধ। তবে বিশেষ অবস্থায় সম্প্রতি সরকার মাত্র দেড় লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ বিষয়ে সোমবারেরপ্রথমআলোর সংবাদে লবণ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন লাখ টন লবণ আমদানি করা হলে তা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভারতে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনের খরচ যেখানে ৬০ থেকে ৭০ পয়সা, সেখানে বাংলাদেশের চাষিদের খরচ হয় প্রায় চার টাকা। কারণ, নিজস্ব জমি না থাকায় আমাদের চাষিদের প্রভাবশালীদের কাছ থেকে সরকারি জমি ভাড়া নিয়ে লবণ চাষ করতে হয়। সরকারের উচিত চাষিদের এই দুর্দশার প্রতিকারের পথ বের করা। আর আশু সমাধান হিসেবে মজুত লবণ বাজারে ছাড়তে মজুতদারদের বাধ্য করা এবং বাকিটা আমদানির মাধ্যমে মেটানোর পদক্ষেপ নেওয়াই এখন করণীয়।
আগামী তিন মাসের আগে লবণচাষিরা বাজারে লবণ সরবরাহ করতে পারবেন না। এমনিতে লবণচাষিদের স্বার্থে দেশে লবণ আমদানি নিষিদ্ধ। তবে বিশেষ অবস্থায় সম্প্রতি সরকার মাত্র দেড় লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ বিষয়ে সোমবারেরপ্রথমআলোর সংবাদে লবণ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন লাখ টন লবণ আমদানি করা হলে তা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভারতে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনের খরচ যেখানে ৬০ থেকে ৭০ পয়সা, সেখানে বাংলাদেশের চাষিদের খরচ হয় প্রায় চার টাকা। কারণ, নিজস্ব জমি না থাকায় আমাদের চাষিদের প্রভাবশালীদের কাছ থেকে সরকারি জমি ভাড়া নিয়ে লবণ চাষ করতে হয়। সরকারের উচিত চাষিদের এই দুর্দশার প্রতিকারের পথ বের করা। আর আশু সমাধান হিসেবে মজুত লবণ বাজারে ছাড়তে মজুতদারদের বাধ্য করা এবং বাকিটা আমদানির মাধ্যমে মেটানোর পদক্ষেপ নেওয়াই এখন করণীয়।
No comments