কাশ্মীরের তরুণদের ‘উসকানিদাতাদের’ মোদির হুঁশিয়ারি
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যারা তরুণদের ‘সহিংসতায় উসকে দিচ্ছে’, তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেতারে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মাসের অনুষ্ঠান মন কি বাত-এ গতকাল রোববার ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মোদি বলেন, এসব উসকানিদাতাকে তরুণদের কাছেই জবাবদিহি করতে হবে। মন কি বাত-এ নরেন্দ্র মোদি বলেন, কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দল এখন ঐক্যবদ্ধ। তারা বিশ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই এক হওয়ার বার্তা দিয়েছে। তারা কাশ্মীরের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের চলতি দফা সহিংস বিক্ষোভের জন্য ভারতীয় নেতারা ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ‘প্ররোচনাকে’ দায়ী করেছেন। গত ৮ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তরুণ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে। রাজ্যটিজুড়ে সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জন নিহত ও ৫ হাজার আহত হয়েছেন। বেতারে মোদি আরও বলেন, ‘একতা ও ভালোবাসা—এই দুই মন্ত্রই হবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পথ। কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে আমি এ কথাই বুঝেছি।
..কাশ্মীরে একটি প্রাণহানি হলেও তা আমাদেরই ক্ষতি।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গত শনিবার কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ‘বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য’ ২২ জন আইনপ্রণেতাকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের এক দিন পরেই এল মোদির হুঁশিয়ারি। শনিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেন, কাশ্মীর দ্বিপক্ষীয় সমস্যা। একে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিষয়ে পরিণত করতে পারবে না কখনোই। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও কাশ্মীরের সহিংসতায় পাকিস্তানের ইন্ধনের অভিযোগ করেন। তবে বরাবরের মতো এবারও পাকিস্তান কাশ্মীরে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গতকাল বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেহবুবা মুফতি কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য কার্যকর সংলাপের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যে-ই সন্ত্রাস ছেড়ে শান্তির পথে আসবে, সরকারের উচিত তার সঙ্গে সংলাপ করা। অন্য পক্ষের সঙ্গে সংলাপে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান মেহবুবা।
No comments