অবৈধদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া ঘোষণা
অবৈধ অভিবাসন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিগবাজি খেয়েই যাচ্ছেন। আজ এক কথা বলছেন তো কাল আরেক কথা। তিনি প্রচারণার প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন যে প্রেসিডেন্ট হলে সব অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে। গত সপ্তাহে তিনি ফক্স নিউজের উদ্যোগে এক টাউন হল মিটিংয়ে সুর নরম করে বললেন, সবাইকে নয়, অবৈধদের মধ্যে যাঁরা কোনো না কোনো অপরাধ করেছেন, শুধু তাঁদেরই বের করে দেওয়া হবে। কিন্তু এই বক্তব্য দেওয়ার পর এক সপ্তাহ না যেতেই আবার আগের কড়া অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি। আইওয়ায় শনিবার এক প্রচার সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার জন্য তিনি অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার একটি পদ্ধতি চালু করবেন। তাঁর ভাষায় ‘এক্সিট-এন্ট্রি ট্র্যাকিং সিস্টেম’ নামের এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া অভিবাসীদের সহজেই চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া যাবে। ওই বক্তৃতায় ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে প্রতিবেশী মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল তোলার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের কল্যাণভাতা দেওয়া বন্ধ করবেন বলেও ঘোষণা দেন।
নির্বাচনের আর মাত্র ৭১ দিন বাকি। কিন্তু এখনো অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ট্রাম্প যেভাবে ডিগবাজি খাচ্ছেন, তা দেখে রিপাবলিকান পার্টি ও তাঁর সমর্থকদের শিরঃপীড়া শুরু হয়েছে। বাছাইপর্বে ট্রাম্প বাঘা বাঘা ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে ডিঙিয়ে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছিলেন মূলত অভিবাসন প্রশ্নে কঠোর অবস্থানের কারণে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলবেন এবং ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে দেশছাড়া করবেন—এই ছিল তাঁর প্রতিশ্রুতি। এ পরিকল্পনা অবাস্তব ও বর্ণবাদী—নিজ দলের নেতাদের কাছ থেকেই ট্রাম্পকে এমন সমালোচনা শুনতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর প্রাথমিক সাফল্যের কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতকায়রা তাদের আধিপত্য হারাচ্ছে এবং আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে এটি একটি অ-শ্বেতকায়প্রধান দেশে পরিণত হবে—এই উদ্বেগকে তিনি সফলভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হন। কিন্তু বাছাইপর্ব আর সাধারণ নির্বাচন এক কথা নয়। কয়েক দিন আগে দেওয়া ট্রাম্পের বক্তব্যে সবাই মনে করেছিল, কিঞ্চিৎ বিলম্বে হলেও এ কথাটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু শনিবার আবার ডিগবাজি খাওয়ায় অনেকেই অভিবাসন প্রশ্নে তাঁর অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এই প্রশ্নে তাঁর আসল অবস্থান কোনটি, তা ঠাহর করা সহজ হচ্ছে না।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ফক্স নিউজের সঙ্গে এক টাউন হল মিটিংয়ে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের ব্যাপারে তিনি ‘কিছুটা নরম’ হতে প্রস্তুত। অনেকেই তাঁকে বলেছে, এ দেশে ১০-১৫ বছর ধরে আছে এমন মানুষদের বের করে দেওয়াটা বড় অমানবিক হবে। তার চেয়ে বরং এরা যদি বকেয়া আয়কর মিটিয়ে দেয়, তাহলে বৈধভাবে থাকতে দেওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে ঢালাও কোনো ‘অ্যামনেস্টি’ দেওয়া হবে না। ট্রাম্পের এই নতুন অবস্থানের কথা প্রকাশ হতে না হতেই চতুর্দিক থেকে আক্রমণ শুরু হয়। অভিবাসন প্রশ্নে ঠিক এ রকম একটি প্রস্তাব রাখা ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ টিপ্পনী কেটে বলেছেন, ‘কী! বলেছিলাম না, এই লোক মত বদলাবে!’ টেড ক্রুজ, ট্রাম্পের আরেক পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী, তিনিও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পেলিন তখন বলেন, ট্রাম্প তাঁর এত দিনের অভিবাসননীতি থেকে সরে গেলে তাঁকে ‘গভীর অনুশোচনার’ মুখোমুখি হতে হবে। এসব সমালোচনার পরই নতুন ডিগবাজি খেলেন ট্রাম্প। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক একমত, আসলে ট্রাম্প অভিবাসন প্রশ্নটি তেমন ভালোভাবে জানেনই না, জানার চেষ্টাও করেননি। এখন চাপের মুখে পড়ে একবার এ কথা বলছেন, আরেকবার অন্য কথা। পরামর্শদাতাদের চাপে অথবা নতুন ভোটের সন্ধানে, যে কারণেই অবস্থান বদল করুন না কেন, এতে তাঁর কট্টর সমর্থকদেরও অনেকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা আছে।
নির্বাচনের আর মাত্র ৭১ দিন বাকি। কিন্তু এখনো অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ট্রাম্প যেভাবে ডিগবাজি খাচ্ছেন, তা দেখে রিপাবলিকান পার্টি ও তাঁর সমর্থকদের শিরঃপীড়া শুরু হয়েছে। বাছাইপর্বে ট্রাম্প বাঘা বাঘা ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে ডিঙিয়ে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছিলেন মূলত অভিবাসন প্রশ্নে কঠোর অবস্থানের কারণে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলবেন এবং ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে দেশছাড়া করবেন—এই ছিল তাঁর প্রতিশ্রুতি। এ পরিকল্পনা অবাস্তব ও বর্ণবাদী—নিজ দলের নেতাদের কাছ থেকেই ট্রাম্পকে এমন সমালোচনা শুনতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর প্রাথমিক সাফল্যের কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতকায়রা তাদের আধিপত্য হারাচ্ছে এবং আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে এটি একটি অ-শ্বেতকায়প্রধান দেশে পরিণত হবে—এই উদ্বেগকে তিনি সফলভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হন। কিন্তু বাছাইপর্ব আর সাধারণ নির্বাচন এক কথা নয়। কয়েক দিন আগে দেওয়া ট্রাম্পের বক্তব্যে সবাই মনে করেছিল, কিঞ্চিৎ বিলম্বে হলেও এ কথাটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু শনিবার আবার ডিগবাজি খাওয়ায় অনেকেই অভিবাসন প্রশ্নে তাঁর অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এই প্রশ্নে তাঁর আসল অবস্থান কোনটি, তা ঠাহর করা সহজ হচ্ছে না।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ফক্স নিউজের সঙ্গে এক টাউন হল মিটিংয়ে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের ব্যাপারে তিনি ‘কিছুটা নরম’ হতে প্রস্তুত। অনেকেই তাঁকে বলেছে, এ দেশে ১০-১৫ বছর ধরে আছে এমন মানুষদের বের করে দেওয়াটা বড় অমানবিক হবে। তার চেয়ে বরং এরা যদি বকেয়া আয়কর মিটিয়ে দেয়, তাহলে বৈধভাবে থাকতে দেওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে ঢালাও কোনো ‘অ্যামনেস্টি’ দেওয়া হবে না। ট্রাম্পের এই নতুন অবস্থানের কথা প্রকাশ হতে না হতেই চতুর্দিক থেকে আক্রমণ শুরু হয়। অভিবাসন প্রশ্নে ঠিক এ রকম একটি প্রস্তাব রাখা ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ টিপ্পনী কেটে বলেছেন, ‘কী! বলেছিলাম না, এই লোক মত বদলাবে!’ টেড ক্রুজ, ট্রাম্পের আরেক পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী, তিনিও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পেলিন তখন বলেন, ট্রাম্প তাঁর এত দিনের অভিবাসননীতি থেকে সরে গেলে তাঁকে ‘গভীর অনুশোচনার’ মুখোমুখি হতে হবে। এসব সমালোচনার পরই নতুন ডিগবাজি খেলেন ট্রাম্প। অধিকাংশ পর্যবেক্ষক একমত, আসলে ট্রাম্প অভিবাসন প্রশ্নটি তেমন ভালোভাবে জানেনই না, জানার চেষ্টাও করেননি। এখন চাপের মুখে পড়ে একবার এ কথা বলছেন, আরেকবার অন্য কথা। পরামর্শদাতাদের চাপে অথবা নতুন ভোটের সন্ধানে, যে কারণেই অবস্থান বদল করুন না কেন, এতে তাঁর কট্টর সমর্থকদেরও অনেকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা আছে।
No comments