তুরস্কের অভ্যুত্থান যেন হলিউডি মুভি : গুলেন
‘একটি সামরিক অভ্যুত্থানের চেয়ে একে হলিউডের সিনেমার মতোই মনে হচ্ছে বেশি। ঠিক যেন অনেকটাই সাজানো নাটকের মতো। তারা যে সুপরিকল্পিতভাবে অভ্যুত্থানের পটভূমি রচনা করেছিল, তা ঘটনা দেখেই বোঝা গেছে।’ জুলাইয়ে তুরস্কে সংঘটিত একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার প্রসঙ্গে এভাবেই বলেছেন দেশটির স্বেচ্ছানির্বাসিত ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেন। অবশ্য অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে গুলেনকেই দায়ী করছে তুর্কি সরকার। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকা, না থাকার ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি। ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা এই ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরু তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন বলে জোর দাবি করেছেন।
গুলেন বলেন, ‘অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকারীদের মধ্যে এমন অনেক থাকতে পারে যারা আমার প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়ার পর একসময়কার মিত্র ও পরবর্তী সময়ে শত্র“তে পরিণত হওয়া ফেতুল্লাহ গুলেনকে মূল খলনায়ক বলে দাবি করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোগান। এরদোগানের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গুলেন বলেন, ‘আমি যদি অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য কাউকে মৌখিকভাবে হুকুম করে থাকি, কেউ যদি কোনো কথা বলার তেমন প্রমাণও দিতে পারে, এমনকি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তারা তুলেছে তার এক দশমাংশও যদি সত্য প্রমাণ করতে পারে কেউ- আমি আমার নাকে খত দেব।’ তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মার্কিন সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে তুর্কি সরকার। এ প্রসঙ্গে গুলেন আরও বলেন, ‘কেউ ন্যূনতম প্রমাণ দিতে পারলে আমি তাদের সত্য বলে মেনে নেব এবং আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের আহ্বান জানাব। আমাকে ফাঁসিতে ঝুলালেও কোনো প্রতিবাদ করব না।’
এর আগে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরগোদান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুস বলেন, অভ্যুত্থানের ঘটনার সঙ্গে গুলেনের জড়িত থাকার হাজার হাজার প্রমাণ আছে সরকারের। বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে গুলেনকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে আসছে তুরস্ক। কিন্তু আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে কাউকে বহিষ্কার করার নীতির কথা কোথাও লেখা নেই। অন্যদিকে তুরস্কে রয়েছে গুলেনের বিশাল কর্মী বাহিনী। একজন মডারেট মুসলিম নেতা হিসেবে তার আছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। তার অনুসারীরা একে হিজমত মুভমেন্ট নামে অভিহত করে। তবে সরকার পক্ষ এটাকে গুলেনের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বলে অভিহত করে আসছে। বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে গুলেনের মতাদর্শের বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এমনকি তুরস্কের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ব্যাংক এবং সোনার খনির মালিকানাও রয়েছে হিজমত আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবীদের।
গুলেন বলেন, ‘অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকারীদের মধ্যে এমন অনেক থাকতে পারে যারা আমার প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়ার পর একসময়কার মিত্র ও পরবর্তী সময়ে শত্র“তে পরিণত হওয়া ফেতুল্লাহ গুলেনকে মূল খলনায়ক বলে দাবি করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোগান। এরদোগানের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গুলেন বলেন, ‘আমি যদি অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য কাউকে মৌখিকভাবে হুকুম করে থাকি, কেউ যদি কোনো কথা বলার তেমন প্রমাণও দিতে পারে, এমনকি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তারা তুলেছে তার এক দশমাংশও যদি সত্য প্রমাণ করতে পারে কেউ- আমি আমার নাকে খত দেব।’ তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মার্কিন সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে তুর্কি সরকার। এ প্রসঙ্গে গুলেন আরও বলেন, ‘কেউ ন্যূনতম প্রমাণ দিতে পারলে আমি তাদের সত্য বলে মেনে নেব এবং আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের আহ্বান জানাব। আমাকে ফাঁসিতে ঝুলালেও কোনো প্রতিবাদ করব না।’
এর আগে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরগোদান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুস বলেন, অভ্যুত্থানের ঘটনার সঙ্গে গুলেনের জড়িত থাকার হাজার হাজার প্রমাণ আছে সরকারের। বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে গুলেনকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে আসছে তুরস্ক। কিন্তু আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে কাউকে বহিষ্কার করার নীতির কথা কোথাও লেখা নেই। অন্যদিকে তুরস্কে রয়েছে গুলেনের বিশাল কর্মী বাহিনী। একজন মডারেট মুসলিম নেতা হিসেবে তার আছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি। তার অনুসারীরা একে হিজমত মুভমেন্ট নামে অভিহত করে। তবে সরকার পক্ষ এটাকে গুলেনের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বলে অভিহত করে আসছে। বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে গুলেনের মতাদর্শের বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এমনকি তুরস্কের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, ব্যাংক এবং সোনার খনির মালিকানাও রয়েছে হিজমত আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবীদের।
No comments