মুরসির পরিণতি এড়ালেন এরদোগান
তিন বছর আগে মিসরের প্রথম নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যখন সেনা অভ্যুত্থান ঘটল, সামরিক বাহিনীর পক্ষে তখন রাস্তায় নেমেছিল রাজনৈতিক বিরোধীরা। রক্ষণশীল সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে সেনা শাসনকে সমর্থন দিয়ে বসেন উদারপন্থী আর বাম রাজনীতিবিদরা। পরিণতিতে দেশের নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্টের পতন ঘটল আর জনগণের ঘাড়ে চেপে বসল কর্তৃত্ববাদী সামরিক শাসন। ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় উৎখাত হয়েছিলেন ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। মুরসির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। তুর্কি সরকার মিসরের সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে কখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
ব্যাপক জনসমর্থনে ১৩ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করছেন রিসেপ তায়েপ এরদোগান। তিনি সচেতন ছিলেন তার দেশেও মিসর স্টাইলের সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হতে পারে। শুক্রবার যখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হল তার মোকাবেলা হল সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। জরুরি অবস্থা, করফিউ, মার্শাল ল সবকিছু উপেক্ষা করে নিরস্ত্র জনতা রাজপথের দখল নিয়ে নিলেন। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সরকারবিরোধী সব দল সেনা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিল। এমনকি কুর্দি দল এইচডিপি নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন দিল। এই দলের অনেক এমপিকেই এরদোগান সরকার জেলে ভরার চেষ্টা করছে। তবুও তারা সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে। জনগণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও উপলব্ধি করেছে, নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকারের চেয়ে অনির্বাচিত সরকার কখনোই উত্তম হবে না। মিসরের সাবেক সেনাপ্রধান নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে স্বৈরশাসন কায়েম করেছেন। মুরসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্মম প্রাণঘাতী ধরপাকড় চালিয়েছেন। এখন সেখানে সেই উদারপন্থীখ্যাত রাজনীতিবিদদেরও ন্যূনতম স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম বন্দি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান জনগণকে প্রায়ই স্মরণ করাতেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী মিসর আরব বসন্তের পূর্বের অবস্থা থেকেও বেশি নিপীড়নমূলক হয়েছে। মিশরে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই কারাগারে আছেন মুরসি।
ব্যাপক জনসমর্থনে ১৩ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করছেন রিসেপ তায়েপ এরদোগান। তিনি সচেতন ছিলেন তার দেশেও মিসর স্টাইলের সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হতে পারে। শুক্রবার যখন সেই পরিস্থিতি তৈরি হল তার মোকাবেলা হল সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। জরুরি অবস্থা, করফিউ, মার্শাল ল সবকিছু উপেক্ষা করে নিরস্ত্র জনতা রাজপথের দখল নিয়ে নিলেন। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সরকারবিরোধী সব দল সেনা অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিল। এমনকি কুর্দি দল এইচডিপি নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন দিল। এই দলের অনেক এমপিকেই এরদোগান সরকার জেলে ভরার চেষ্টা করছে। তবুও তারা সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে। জনগণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও উপলব্ধি করেছে, নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকারের চেয়ে অনির্বাচিত সরকার কখনোই উত্তম হবে না। মিসরের সাবেক সেনাপ্রধান নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে স্বৈরশাসন কায়েম করেছেন। মুরসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্মম প্রাণঘাতী ধরপাকড় চালিয়েছেন। এখন সেখানে সেই উদারপন্থীখ্যাত রাজনীতিবিদদেরও ন্যূনতম স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম বন্দি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান জনগণকে প্রায়ই স্মরণ করাতেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী মিসর আরব বসন্তের পূর্বের অবস্থা থেকেও বেশি নিপীড়নমূলক হয়েছে। মিশরে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই কারাগারে আছেন মুরসি।
তাকে বিতর্কিত মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আরও একাধিক মামলায় তার দীর্ঘমেয়াদি সাজা হয়েছে। মিশরে শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর ব্যাপকভিত্তিক সেনা অভ্যুত্থান সফল হলে এরদোগানকেও মুরসির পরিণতিই বরণ করতে হতো। এখন দেখার বিষয়, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর এরদোগান তার রাজনৈতিক বিরোধীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, যারা তার দুর্দিনে সমর্থন দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, সেনা অভ্যুত্থান ঠেকানোর গণপ্রচেষ্টা তুরস্কের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার সুযোগ এনে দিয়েছে। এরদোগানকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষে মিসর সরকার : তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত সেনা সদস্যদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে মিসরের সেনাশাসিত সরকার। শনিবার তুর্কি অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে কায়রো। ন্যাটো সদস্য তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবে তুরস্কের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে দেশটির সব দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তবে এই প্রস্তাবে ভেটো দেয় নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য মিসর।
No comments