ফাহিমের পর শরীফও ক্রসফায়ারে
শিক্ষক
হত্যা চেষ্টায় আটক ফাইজুল্লাহ ফাহিমের পর এবার ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে
ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ‘খুনি’ শরীফুল ইসলাম শরীফ সাকিব ওরফে হাদি (৩৫)। ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তার মৃত্যু হয়েছে
বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিছুদিন আগে তাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার
ঘোষণা করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিবি দাবি করেছে, লেখক-ব্লগার অভিজিৎ
রায় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল শরীফ। এ ছাড়া আরো ছয়টি হত্যাকাণ্ডের
নেপথ্যে তার ভূমিকা ছিল বলে ডিবি দাবি করেছে। ঘটনার সময় শরীফ আরও দুই
সঙ্গীসহ মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। জঙ্গি সংশ্লিষ্ট একটি
হত্যাকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচারও চলছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এই দাবি করেন। তার আগে শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়ার বাঁশপট্টিতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফুল নিহত হয়। ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, নিহত শরীফ নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের প্রশিক্ষক ছিল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতো শরীফ। লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় শরীফ। সিসি টিভির ফুটেজ ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে ডিবি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি। শুধু অভিজিৎ না অন্তত ছয়টি হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা তোলে ধরে আবদুল বাতেন জানান, বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করতো শরীফ। এমনকি পলিসি মেকিংয়ে তার ভূমিকা থাকতো। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নীলাদ্রী নীলয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েল আইন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নাজিমউদ্দিন সামাদ, শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, সমকামীদের অধিকার বিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’র সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও নাট্যকর্মী তনয় হত্যা এবং প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টায় শরীফ জড়িত ছিল।
অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে তার কী কী ভূমিকা ছিল? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে শরীফ নিজে অংশ নেয়। অন্যদিকে জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যাকাণ্ডে তার প্রশিক্ষিত টিম অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ছিল শরীফ। ইতিমধ্যে ওয়াশিকুর হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার ঘোষিত এই জঙ্গির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল মেরাদিয়ায় সহযোগীদের সঙ্গে থাকতে পারে শরীফ। ওই তথ্য পাওয়ার পর শনিবার রাত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে ডেমরা-মেরাদিয়া সড়কে অবস্থান নেয় ডিবি। রাত ২টায় সড়কটি দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে তিন আরোহী যাচ্ছিলো। এ সময় পুলিশ তাদের থামতে সংকেত দেয়। মোটরসাইকেলটি না থেমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবর্ষণের সময় ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহীদের একজন নিহত হয়।
পরে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর গতকাল সকালে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
শরীফুল নিহত হওয়ায় তদন্তে কোনো সমস্যা হবে না দাবি করে আবদুল বাতেন বলেন, আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে পুলিশ। শরিফুল জীবিত থাকলে তদন্তে সুবিধা হতো। তবে তার মৃত্যুতে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ অন্য জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দির ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। নিহত শরীফের বাড়ি সাতক্ষীরায়। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিল বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এই দাবি করেন। তার আগে শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়ার বাঁশপট্টিতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফুল নিহত হয়। ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, নিহত শরীফ নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের প্রশিক্ষক ছিল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতো শরীফ। লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় শরীফ। সিসি টিভির ফুটেজ ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে ডিবি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি। শুধু অভিজিৎ না অন্তত ছয়টি হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা তোলে ধরে আবদুল বাতেন জানান, বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করতো শরীফ। এমনকি পলিসি মেকিংয়ে তার ভূমিকা থাকতো। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নীলাদ্রী নীলয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েল আইন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নাজিমউদ্দিন সামাদ, শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, সমকামীদের অধিকার বিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’র সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও নাট্যকর্মী তনয় হত্যা এবং প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টায় শরীফ জড়িত ছিল।
অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে তার কী কী ভূমিকা ছিল? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে শরীফ নিজে অংশ নেয়। অন্যদিকে জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যাকাণ্ডে তার প্রশিক্ষিত টিম অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ছিল শরীফ। ইতিমধ্যে ওয়াশিকুর হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার ঘোষিত এই জঙ্গির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল মেরাদিয়ায় সহযোগীদের সঙ্গে থাকতে পারে শরীফ। ওই তথ্য পাওয়ার পর শনিবার রাত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে ডেমরা-মেরাদিয়া সড়কে অবস্থান নেয় ডিবি। রাত ২টায় সড়কটি দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে তিন আরোহী যাচ্ছিলো। এ সময় পুলিশ তাদের থামতে সংকেত দেয়। মোটরসাইকেলটি না থেমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবর্ষণের সময় ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহীদের একজন নিহত হয়।
পরে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর গতকাল সকালে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
শরীফুল নিহত হওয়ায় তদন্তে কোনো সমস্যা হবে না দাবি করে আবদুল বাতেন বলেন, আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে পুলিশ। শরিফুল জীবিত থাকলে তদন্তে সুবিধা হতো। তবে তার মৃত্যুতে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ অন্য জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দির ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। নিহত শরীফের বাড়ি সাতক্ষীরায়। সে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিল বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।
No comments