যুগ্ম সচিবের বাসায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. আহসান হাবিবের ছেলে
রুম্মান বিন আহসানের বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের পর খুনের
অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহপরিচারিকার নাম জনিয়া বেগম (১৩)। গত রোববার সকালে
মিরপুর ১৩-এর ন্যাম গার্ডেন সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার্সের ৩ নম্বর ভবনের
সামনে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাফরুল থানা পুলিশ দুদিন ধরে
মামলা না নেয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল
সোমবার মিরপুরের বেগম রোকেয়া সরণির কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ডের সামনে, কাফরুল
থানা ও ওই কোয়ার্টার্সের সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বজন ও
স্থানীয়রা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বেগম রোকেয়া সরণিতে দীর্ঘ
যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরে পুলিশ দায়ীদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
তবে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আহসান হাবিব, তার স্ত্রী
নাজনীন আক্তার ও বড় ছেলে রুম্মান বিন আহসান।
নিহত জনিয়ার মা ফুলবানু মানবজমিনকে বলেন, আমি ৬ মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করে আসছিলাম। গত বিশ-পঁচিশ দিন ধরে অসুস্থ। এর মধ্যে ওই বাসার কর্তার স্ত্রী (নাজনীন আক্তার) আমাকে বলেন তোমার মেয়েকে পাঠাতে পারবে কিনা। তখন আমি মেয়েকে বলি, তোমার তো কাজ নেই। তুমি যেতে পারবে? এতে মেয়ে রাজি হয়। এরপর এক সপ্তাহ ধরে সে ওই বাসায় কাজ করতে যাচ্ছে। ষষ্ঠদিন এ ঘটনা ঘটলো। ওই দিন সকালে সে আটটার পর বাসা থেকে ওই বাসার উদ্দেশ্যে যায়। সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ফোন করে ওই বাসায় যেতে বলে। গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ।
তিনি আরও বলেন, আমিও আটটা থেকে নয়টার মধ্যে ওই বাসায় যেতাম। এর আগেই বাসার মালিক অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেত। মা আর ছেলে থাকতো। ওই ছেলেই আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করেছে। মেয়ের শরীরেও এর চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওই এলাকায় ৬৫ বছর বয়সের রিকশাচালক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলিম মানবজমিনকে বলেন, উদ্ধার করে কাফরুল থানায় নিয়ে যাওয়ার পর আমিসহ বেশ কয়েকজন মেয়েটির লাশ দেখেছি। তার বুক, গলায় নখের বেশ কিছু আঁচড়ের দাগ ছিল। যৌনাঙ্গ ভেজা দেখা গেছে। তাকে ধর্ষণের পর খুনের বিষয়টি স্পষ্ট। কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছে।
ন্যাম গার্ডেন সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার্সের ৩নং ভবনের চতুর্থ তলার ৪০৩নং ফ্ল্যাটে থাকেন আহসান হাবিব, তার স্ত্রী নাজনীন আক্তার ও বড় ছেলের পরিবার। প্রায় সময় সকাল আটটার মধ্যে আহসান হাবিব অফিসে চলে যান। বাসায় থাকেন তার স্ত্রী নাজনীন ও বড় ছেলে রুম্মান। তবে শুক্র ও শনিবার আহসান হাবিবও বাসায় থাকেন। অন্যান্য দিন বেশিরভাগ সময় আহসান হাবিব বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরই ফুলবানু কাজে আসতো বলে জানিয়েছে সে। গত এক সপ্তাহ ধরে মায়ের সময়েই কাজে আসছিল নিহত জানিয়া বেগম। গত রোববার সকাল আটটার পর জানিয়া পাশের ইব্রাহিমপুরের নিজ বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে জানান ফুলবানু। তবে ভিন্নকথা বলেন আহসান হাবিব ও তার পরিবার।
আহসান হাবিব বলেন, ফুলবানুর অসুস্থতার পর তার মেয়ে জানিয়া ছয় দিন নয়, আসে চার দিন। গত বৃহস্পতিবার তার মাধ্যমে ফুলবানুকে ডেকে তার পাওনা ২ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে তাকে বিদায় করে দিই। আসতে বলি পুরনো কাজের বুয়াকে। গত শুক্র ও শনিবার ফুলবানু বা তার মেয়ে বাসায়ও আসেনি। কিন্তু তাদেরকে কাজে বুয়া দেখতে বলা না হলেও গত রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জানিয়া অপর এক মহিলাকে নিয়ে বাসায় এসে কলিং বেল দেয়। পেছনে কিছুটা দূরে ছিল দারোয়ান ছিদ্দিক। তাদেরকে আমি বাসায় না ঢুকিয়ে দরজায় দাঁড়িয়েই কথা বলি। ওই মহিলাকে নয়, বাসার পুরাতন বুয়াকে কাজ দেয়ার জন্য আসতে বলা হয়েছে জানিয়ে তাদের বিদায় করি। এর প্রায় ২০ মিনিট পর জানতে ও দেখতে পাই ওই মেয়ের পড়া লাশ।
তার ছেলে রুম্মান বলেন, মেয়েটির লাশ পাওয়া যাওয়ার পর পুলিশ ১০ তলা ভবনের ছাদের ওপর একজোড়া সেন্ডেল পেয়েছে। সে হয়তো লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে অথবা তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে। তবে আমি তাকে ধর্ষণ বা খুন করিনি। প্রয়োজনে আমার ডিএনএ টেস্ট করা হোক।
পরে জানিয়ার পিতা ওসমান গণি ওই তিনজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা দায়েরের এজাহার দিয়েছেন। যদিও থানায় এর আগে একটি অপমৃত্যুর মামলা এন্ট্রি হয়েছিল। এ ঘটনার পর আসহান হাবিব, তার ছেলে রুম্মান, দারোয়ান ছিদ্দিকুর রহমান, লিফটম্যান রিয়াদুল হক টুটুল, সোহেল, ইমদাদুল হকসহ ৬ জন আটক করা হলেও পরে প্রথম দুজন ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা ওসমান গনি মামলাটির বাদী।
নিহত জনিয়ার মা ফুলবানু মানবজমিনকে বলেন, আমি ৬ মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করে আসছিলাম। গত বিশ-পঁচিশ দিন ধরে অসুস্থ। এর মধ্যে ওই বাসার কর্তার স্ত্রী (নাজনীন আক্তার) আমাকে বলেন তোমার মেয়েকে পাঠাতে পারবে কিনা। তখন আমি মেয়েকে বলি, তোমার তো কাজ নেই। তুমি যেতে পারবে? এতে মেয়ে রাজি হয়। এরপর এক সপ্তাহ ধরে সে ওই বাসায় কাজ করতে যাচ্ছে। ষষ্ঠদিন এ ঘটনা ঘটলো। ওই দিন সকালে সে আটটার পর বাসা থেকে ওই বাসার উদ্দেশ্যে যায়। সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ফোন করে ওই বাসায় যেতে বলে। গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ।
তিনি আরও বলেন, আমিও আটটা থেকে নয়টার মধ্যে ওই বাসায় যেতাম। এর আগেই বাসার মালিক অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেত। মা আর ছেলে থাকতো। ওই ছেলেই আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করেছে। মেয়ের শরীরেও এর চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওই এলাকায় ৬৫ বছর বয়সের রিকশাচালক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলিম মানবজমিনকে বলেন, উদ্ধার করে কাফরুল থানায় নিয়ে যাওয়ার পর আমিসহ বেশ কয়েকজন মেয়েটির লাশ দেখেছি। তার বুক, গলায় নখের বেশ কিছু আঁচড়ের দাগ ছিল। যৌনাঙ্গ ভেজা দেখা গেছে। তাকে ধর্ষণের পর খুনের বিষয়টি স্পষ্ট। কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছে।
ন্যাম গার্ডেন সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার্সের ৩নং ভবনের চতুর্থ তলার ৪০৩নং ফ্ল্যাটে থাকেন আহসান হাবিব, তার স্ত্রী নাজনীন আক্তার ও বড় ছেলের পরিবার। প্রায় সময় সকাল আটটার মধ্যে আহসান হাবিব অফিসে চলে যান। বাসায় থাকেন তার স্ত্রী নাজনীন ও বড় ছেলে রুম্মান। তবে শুক্র ও শনিবার আহসান হাবিবও বাসায় থাকেন। অন্যান্য দিন বেশিরভাগ সময় আহসান হাবিব বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরই ফুলবানু কাজে আসতো বলে জানিয়েছে সে। গত এক সপ্তাহ ধরে মায়ের সময়েই কাজে আসছিল নিহত জানিয়া বেগম। গত রোববার সকাল আটটার পর জানিয়া পাশের ইব্রাহিমপুরের নিজ বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে জানান ফুলবানু। তবে ভিন্নকথা বলেন আহসান হাবিব ও তার পরিবার।
আহসান হাবিব বলেন, ফুলবানুর অসুস্থতার পর তার মেয়ে জানিয়া ছয় দিন নয়, আসে চার দিন। গত বৃহস্পতিবার তার মাধ্যমে ফুলবানুকে ডেকে তার পাওনা ২ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে তাকে বিদায় করে দিই। আসতে বলি পুরনো কাজের বুয়াকে। গত শুক্র ও শনিবার ফুলবানু বা তার মেয়ে বাসায়ও আসেনি। কিন্তু তাদেরকে কাজে বুয়া দেখতে বলা না হলেও গত রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জানিয়া অপর এক মহিলাকে নিয়ে বাসায় এসে কলিং বেল দেয়। পেছনে কিছুটা দূরে ছিল দারোয়ান ছিদ্দিক। তাদেরকে আমি বাসায় না ঢুকিয়ে দরজায় দাঁড়িয়েই কথা বলি। ওই মহিলাকে নয়, বাসার পুরাতন বুয়াকে কাজ দেয়ার জন্য আসতে বলা হয়েছে জানিয়ে তাদের বিদায় করি। এর প্রায় ২০ মিনিট পর জানতে ও দেখতে পাই ওই মেয়ের পড়া লাশ।
তার ছেলে রুম্মান বলেন, মেয়েটির লাশ পাওয়া যাওয়ার পর পুলিশ ১০ তলা ভবনের ছাদের ওপর একজোড়া সেন্ডেল পেয়েছে। সে হয়তো লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে অথবা তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে। তবে আমি তাকে ধর্ষণ বা খুন করিনি। প্রয়োজনে আমার ডিএনএ টেস্ট করা হোক।
পরে জানিয়ার পিতা ওসমান গণি ওই তিনজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা দায়েরের এজাহার দিয়েছেন। যদিও থানায় এর আগে একটি অপমৃত্যুর মামলা এন্ট্রি হয়েছিল। এ ঘটনার পর আসহান হাবিব, তার ছেলে রুম্মান, দারোয়ান ছিদ্দিকুর রহমান, লিফটম্যান রিয়াদুল হক টুটুল, সোহেল, ইমদাদুল হকসহ ৬ জন আটক করা হলেও পরে প্রথম দুজন ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা ওসমান গনি মামলাটির বাদী।
No comments