বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা
অব্যবস্থাপনার কারণে বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় |
শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের যন্ত্রণা নিয়ে
দীর্ঘদিন বিজ্ঞজনেরা বলে যাচ্ছেন, কিন্তু অবস্থা তথৈবচ। বলা হয়ে থাকে,
বিমানবন্দর হচ্ছে একটি দেশের দর্পণস্বরূপ, যার দ্বারা পুরো দেশের দৃশ্যপট
আন্দাজ করা যায়। কিন্তু এ বিমানবন্দরে অবতরণের আগে থেকেই লাগেজ পাওয়ার
টেনশন শুরু হয়ে যায়, আর নামার পর শুরু হয় মশার উৎপাত। দীর্ঘক্ষণ যাত্রার পর
শুধু লাগেজের জন্য দুই-আড়াই ঘণ্টা বসে থাকা চরম বিরক্তিকর, সময়ের অপচয়।
কিছুদিন আগে ইউরোপ থেকে দীর্ঘ যাত্রা করে ভোরে বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে
সঙ্গে নাকে লাগল রাসায়নিকের উটকো গন্ধ। কানাডা থেকে আগত এক শিশু গন্ধ গন্ধ
বলে চিৎকার শুরু করে দিল। এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন এ অবস্থার
পরিবর্তন হচ্ছে না? তিনি বললেন, জায়গার সংকট। কত ঠুনকো আমাদের পরিকল্পনা,
কত সীমিত আমাদের দৃষ্টি! একটি দেশের প্রধান বিমানবন্দরে একটি রানওয়ে, যা
প্রয়োজনবোধে বর্ধিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অথচ বিমানবন্দরের
উত্তর-পশ্চিমে কয়েক বছর আগেও জায়গা পাওয়া সম্ভব ছিল। এখনো পশ্চিম দিকে
বেড়িবাঁধের আশপাশে প্রচুর খালি প্লট রয়েছে। ফলে কিছু মানুষকে অন্যত্র
পুনর্বাসন করে বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ করা সম্ভব। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে
সেসব মানুষকে কিছুটা ত্যাগে উৎসাহিত করা যায়। কারণ, নতুন বিমানবন্দর তৈরি
করা এখন সত্যিই কঠিন হবে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টি ভেবে দেখবে।
No comments