পেসারদের পারফরম্যান্সে খুশি স্ট্রিক
বিশ্বকাপ ব্যস্ততার পর ছুটি কাটাচ্ছেন কোচ-ক্রিকেটাররা। এর মধ্যেই কাল ব্যক্তিগত কাজে বিসিবি কার্যালয়ে আসা হিথ স্ট্রিক কথা বললেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে |
টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের সুপার টেনে বাংলাদেশ দলের অর্জন শূন্যই বলতে হবে। ব্যর্থতার
ভিড়ে প্রাপ্তি বোলারদের পারফরম্যান্স, বিশেষ করে পেসারদের। চোটের কারণে
টুর্নামেন্টে প্রায় অর্ধেক সময় বসে থাকা মুস্তাফিজুর রহমান মাঠে ফিরেই
দেখিয়েছেন বোলিং জাদু। ইডেনে বাংলাদেশের ভরাডুবির শেষ ম্যাচে তাঁর
দুর্দান্ত বোলিংই একমাত্র পাওয়া। বিশ্বকাপে ৮ উইকেট নেওয়া আল আমিনের
বোলিংয়েও ছিল ধারাবাহিকতা। এমনকি নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তাসকিন আহমেদও ছিলেন
ছন্দে। দলীয় ব্যর্থতার মধ্যেও তাই খানিকটা স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন হিথ
স্ট্রিক। তবে শেষ কটি ম্যাচ হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না
জিম্বাবুইয়ান এই পেস বোলিং কোচও, ‘ফাস্ট বোলারদের পারফরম্যান্সে আমি
খুশি। দলের পারফরম্যান্সের কথা চিন্তা করলে ভারতের বিপক্ষে হারে হতাশ।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও সুযোগ ছিল। ভারতের বিপক্ষে হারের ধকল আমরা কাটিয়ে
উঠতে পারিনি পরের ম্যাচেও। কয়েকটি ম্যাচে জিতে আসতে পারতাম।’ টুর্নামেন্টে
বাংলাদেশ দলের জন্য বড় ধাক্কা ছিল আরাফাত সানি ও তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন
অবৈধ হওয়া। বিসিবির পরামর্শে তাসকিন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেও
ব্যর্থ হয়েছেন খেলায় ফিরতে। কিন্তু স্ট্রিক আবারও বললেন, তাসকিনের অ্যাকশনে
তেমন কোনো সমস্যা নেই, ‘যখন থেকে এখানে কাজ শুরু করেছি, তখন থেকে এখন
পর্যন্ত তার অ্যাকশনে সন্দেহজনক কিছু দেখিনি। বেশ অবাকই হয়েছিলাম খবরটা
শুনে। পরীক্ষায় তার সব ইয়র্কার, গুড লেংথ ডেলিভারি এবং বেশির ভাগ বাউন্সার
বৈধ সীমার মধ্যেই ছিল। নয়টি ডেলিভারির মধ্যে মাত্র তিনটি ১৫ ডিগ্রির সীমা
ছাড়ায়। এমনকি দ্রুতগতির বাউন্সারগুলোও বৈধ সীমার মধ্যে ছিল। সমস্যা হয়েছিল
একটু ধীরে যাওয়া বাউন্সারগুলোতে। ক্লান্তির কারণেও এটি হতে পারে। আমার
মনে হয় না এটা বড় কোনো সমস্যা।’ তাসকিনের বোলিং অ্যাকশনে যে সামান্য
ত্রুটি আছে, সেটি শোধরানোর প্রক্রিয়া এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ
দলের এই পেসার অবশ্য সপ্তাহ খানেকের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন ঘুরতে। দেশে
ফেরার পর পুরোদমে শুরু হবে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া। স্ট্রিকের আশা, এরপর
এক-দেড় মাসের মধ্যেই আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন তাসকিন।
No comments