ঢাকার ৪৪ শতাংশ সড়কে ফুটপাত নেই
উত্তরার আবদুল্লাপুর এলাকায় পুরো ফুটপােত হকারদের আধিপত্য। পথচারীদের তাই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। |
ঢাকা
শহরের ৪৪ শতাংশ সড়কে ফুটপাত নেই বলে জানিয়েছে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ
ট্রাস্ট। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বিলিয়া সেন্টারে এক মতবিনিময়
সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ‘নগরে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে হেঁটে যাতায়াতের উপযোগী
পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ওয়ার্ক ফর এ
বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট। রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, গাজীপুর,
পুরান ঢাকাসহ মোট ছয়টি এলাকায় গবেষণার ভিত্তিতে ওই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরের সড়কে পর্যাপ্ত ফুটপাত না থাকায় প্রতিদিন হাঁটতে
গিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। নগর পরিকল্পনায় গাড়িকে
প্রাধান্য দেওয়ায় ঢাকা আজ যানজটের শহরে রূপ নিয়েছে। ফলে জ্বালানি দূষণ ও
দুর্ঘটনা বাড়ছে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের প্রকল্প
কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। এতে বলা হয়, জরিপ করা ছয়টি এলাকায় যে পরিমাণ
ফুটপাত আছে, তার ৮২ শতাংশের অবস্থা খারাপ। জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৭৯
শতাংশ মানুষ যানবাহনের গতিকে বিপজ্জনক মনে করেন। পথচারীদের নিরাপদে ও
স্বচ্ছন্দে হাঁটার পরিবেশ তৈরিতে ফুটপাতকে প্রাধান্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ,
ফুটপাত থেকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে প্রশস্ত করা, রাতের বেলায় বাতি,
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও টয়লেটের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু নগর
পরিকল্পনায় গাড়িকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে শহরকে অনিরাপদ করা হয়েছে। ক্র্যাচ,
সাদাছড়ি ও হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের বিষয়টি উপেক্ষিত। সভাপতির
বক্তব্যে ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, নগর পরিকল্পনায়
গণ-মানুষের চাহিদাকে বিবেচনা করা হয় না। অথচ এ নগর মানুষের জন্যই। সবার
সহযোগিতা ও আন্তরিক প্রচেষ্টাই পারে পথচারীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে। এ ছাড়া
ফুটপাতমুক্ত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সিটি করপোরেশনকে নাগরিক
চাহিদা বিবেচনা করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ট্রাস্টের সহকারী অ্যাডভোকেসি
কর্মকর্তা নাঈমা আকতারের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের
কর্মীরা বক্তব্য দেন৷
No comments