জাতি একটি অর্থপূর্ণ পরিবর্তন চায় : ড. কামাল
গণফোরাম
সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জাতি ইতিহাসের এক
অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছে। রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে
বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে
নীতি-আদর্শ বহির্ভূত রুগ্ম রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হচ্ছে এখন।
দুর্নীতি রাষ্ট্র ও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আর এসব কারণে
সমগ্র জাতি আজ একটি অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। রোববার
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের পরিস্থিতিকে এভাবে তুলে ধরার
পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের কাংঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে জাতীয়
ঐক্যের সনদ উপস্থাপন করতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন জানান, তার এই সনদ নিয়ে তিনি জনগণের কাছে যাবেন। সমর্থন আদায়ে প্রয়োজনে সবধরণের ঝুঁকি নেবেন। তিনি বলেন, সবাইকে এই সনদের পক্ষে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সতার সনদ উপস্থাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. কামাল আরো বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পর জাতি আশা করেছিল যে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি সবাই সন্মান দেখাবে। এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রমাগত শক্তিশালী হবে। জনগণ পরিবর্তনের আশায় ভোট দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো।
ড. কামাল বলেন, সমগ্র জাতি যে পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ তা আনতে হবে। যা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য ও জনগণের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে যে, সব জনগণই ক্ষমতার মালিক এবং জনগণ সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করবে নিজেদের নির্বাচিত প্রতনিধিদের মাধ্যমে। তবে হতাশার কিছু নেই। কারণ অতীতে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয়েছে। অতীতে স্বৈরাচারী কণ্ঠে কথা বলা হয়েছিল। তবে তা মোকাবেলা করে সমানের দিকে এগিয়েছি।
সংলাপ দরকার
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে নারী শিশু ও নিরাপরাধ ব্যক্তিরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা দায়মুক্ত থেকেই যাচ্ছে। দেশের জনগণ চারদশক ধরে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরামহীনভাবে সংগ্রাম করছে। কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক চর্চা ও মূল্যবোধের প্রতি সন্মান প্রদর্শণ করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমুহের যথাযথ কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, জনগণকে আত্মত্যাগী নেতৃবৃন্দের নীতি আর্দশ ও মূল্যবোধকে আজ আকড়িয়ে ধরতে হবে। এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংহিংসতা পরিহার করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে গুরুত্ব সহকারে অবশ্যই আলোচনা ও সংলাপ করতে হবে।
এদিকে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের জন্য সনদ ঘোষণায় বলেছেন, কেবলমাত্র কালো টাকা, সন্ত্রাস এবং সশস্ত্র ক্যাডারমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ সৎ, যোগ্য ও কার্যকর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। সনদে এছাড়া বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ। কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে যথাযথভাবে পরিচালনা করা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সচেতনভাবে লালন করতে হবে। এর পাশাপাশি বহুদলীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ও জনস্বার্থে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই জাতীয় লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে হবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে চরমপন্থা, অসহিষ্ণুতা সন্ত্রাসবাদ এবং বৈষম্যমূলক আচরণের কোনো স্থান থেকে আমাদের সমাজে থাকবে না বলে তিনি তার সনদের জানিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী আইনের প্রতি অনুগত থেকে জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে তার ওই সনদে বলা হয়। এছাড়াও বলা হয় যথেচ্ছা গ্রেফতার, বিনা বিচারে আটক, আটক অবস্থায় নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ দেশের সংবিধান অনুমোদন করে না। সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এবং আর্ন্তজাতিক সনদ অনুযায়ী সুরক্ষিত মানবাধিকারের প্রতি অবশ্যই সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলতাব হোসেন, সুপ্রীমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার, ফরোয়ার্ড পার্টির সভাপতি আ ব ম মোস্তফা আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গণফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ম শফিউল্লাহ সনদ পাঠ করেন।
ড. কামাল হোসেন জানান, তার এই সনদ নিয়ে তিনি জনগণের কাছে যাবেন। সমর্থন আদায়ে প্রয়োজনে সবধরণের ঝুঁকি নেবেন। তিনি বলেন, সবাইকে এই সনদের পক্ষে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সতার সনদ উপস্থাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. কামাল আরো বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পর জাতি আশা করেছিল যে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি সবাই সন্মান দেখাবে। এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রমাগত শক্তিশালী হবে। জনগণ পরিবর্তনের আশায় ভোট দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো।
ড. কামাল বলেন, সমগ্র জাতি যে পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ তা আনতে হবে। যা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য ও জনগণের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে যে, সব জনগণই ক্ষমতার মালিক এবং জনগণ সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করবে নিজেদের নির্বাচিত প্রতনিধিদের মাধ্যমে। তবে হতাশার কিছু নেই। কারণ অতীতে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয়েছে। অতীতে স্বৈরাচারী কণ্ঠে কথা বলা হয়েছিল। তবে তা মোকাবেলা করে সমানের দিকে এগিয়েছি।
সংলাপ দরকার
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে নারী শিশু ও নিরাপরাধ ব্যক্তিরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা দায়মুক্ত থেকেই যাচ্ছে। দেশের জনগণ চারদশক ধরে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরামহীনভাবে সংগ্রাম করছে। কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক চর্চা ও মূল্যবোধের প্রতি সন্মান প্রদর্শণ করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমুহের যথাযথ কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, জনগণকে আত্মত্যাগী নেতৃবৃন্দের নীতি আর্দশ ও মূল্যবোধকে আজ আকড়িয়ে ধরতে হবে। এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংহিংসতা পরিহার করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে গুরুত্ব সহকারে অবশ্যই আলোচনা ও সংলাপ করতে হবে।
এদিকে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের জন্য সনদ ঘোষণায় বলেছেন, কেবলমাত্র কালো টাকা, সন্ত্রাস এবং সশস্ত্র ক্যাডারমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ সৎ, যোগ্য ও কার্যকর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। সনদে এছাড়া বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ। কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে যথাযথভাবে পরিচালনা করা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সচেতনভাবে লালন করতে হবে। এর পাশাপাশি বহুদলীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ও জনস্বার্থে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই জাতীয় লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে হবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে চরমপন্থা, অসহিষ্ণুতা সন্ত্রাসবাদ এবং বৈষম্যমূলক আচরণের কোনো স্থান থেকে আমাদের সমাজে থাকবে না বলে তিনি তার সনদের জানিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী আইনের প্রতি অনুগত থেকে জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে তার ওই সনদে বলা হয়। এছাড়াও বলা হয় যথেচ্ছা গ্রেফতার, বিনা বিচারে আটক, আটক অবস্থায় নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ দেশের সংবিধান অনুমোদন করে না। সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এবং আর্ন্তজাতিক সনদ অনুযায়ী সুরক্ষিত মানবাধিকারের প্রতি অবশ্যই সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলতাব হোসেন, সুপ্রীমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার, ফরোয়ার্ড পার্টির সভাপতি আ ব ম মোস্তফা আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গণফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ম শফিউল্লাহ সনদ পাঠ করেন।
No comments