জাতিসংঘের উদ্যোগে গুমের ঘটনা তদন্তের দাবি খালেদার
দেশে
সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন সরকারের
নির্দেশেই এসব গুমের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজের কার্যালয়ে দলের নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের স্বজনদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ওই তদন্তের দাবি জানান।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘অনন্ত অপেক্ষা’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নিখোঁজ হওয়া ২৬ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর জন্য কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার, এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনিস্ট ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেনস, দ্য এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ছিল এর আয়োজক।
আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, যে মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা সেখানে পুলিশ সদস্যরা বসে আছেন। জানতে চাইলে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য জানান, ভোর থেকে তাঁরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরে এসব পরিবারের বেশ কয়েকজন যান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে। প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠান ‘করতে না দেওয়ার’ প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার নির্দেশ দিয়ে ওই অনুষ্ঠান বাতিল করিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার অধিকার নেই। কারো কথা বলার অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও করতে পারবে না।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন স্বজনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘গুম’ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এ সময় স্বজনদের ছবি দেখে অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। বক্তৃতায় স্বজনদের অনেকে সরকারের কাছে গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
তবে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার কোনো দিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই তিনি জাতিসংঘের অধীনে, দেশের নিরপেক্ষ লোকজনদের নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ ছাড়া এসব কাজ র্যাব-পুলিশ করতে পারে না।’
খালেদা জিয়া বলেন, যারা গুম-খুনে জড়িত একদিন তাদের বিচার হবেই। স্বজনহারারা অন্ততপক্ষে জানতে পারবেন, তাদের স্বজনদের কীভাবে গুম, হত্যা করা হয়েছিল। কোথায় তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।
এখন সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া বিএনপিরও তেমন কিছু করার নেই—এমন মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা জানি না আমরা কী রকম থাকব, কখন গুম-খুন হয়ে যাব না; তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুধু আল্লাহ জানেন। শুধু মানুষের আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিদেশে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর বলেন, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন না।
আজ রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজের কার্যালয়ে দলের নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের স্বজনদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ওই তদন্তের দাবি জানান।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘অনন্ত অপেক্ষা’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নিখোঁজ হওয়া ২৬ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর জন্য কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার, এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনিস্ট ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেনস, দ্য এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ছিল এর আয়োজক।
আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, যে মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা সেখানে পুলিশ সদস্যরা বসে আছেন। জানতে চাইলে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য জানান, ভোর থেকে তাঁরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
পরে এসব পরিবারের বেশ কয়েকজন যান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে। প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠান ‘করতে না দেওয়ার’ প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার নির্দেশ দিয়ে ওই অনুষ্ঠান বাতিল করিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার অধিকার নেই। কারো কথা বলার অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও করতে পারবে না।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন স্বজনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘গুম’ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এ সময় স্বজনদের ছবি দেখে অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। বক্তৃতায় স্বজনদের অনেকে সরকারের কাছে গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
তবে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার কোনো দিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই তিনি জাতিসংঘের অধীনে, দেশের নিরপেক্ষ লোকজনদের নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ ছাড়া এসব কাজ র্যাব-পুলিশ করতে পারে না।’
খালেদা জিয়া বলেন, যারা গুম-খুনে জড়িত একদিন তাদের বিচার হবেই। স্বজনহারারা অন্ততপক্ষে জানতে পারবেন, তাদের স্বজনদের কীভাবে গুম, হত্যা করা হয়েছিল। কোথায় তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।
এখন সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া বিএনপিরও তেমন কিছু করার নেই—এমন মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা জানি না আমরা কী রকম থাকব, কখন গুম-খুন হয়ে যাব না; তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুধু আল্লাহ জানেন। শুধু মানুষের আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিদেশে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর বলেন, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন না।
No comments