বদলে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য
ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তিন দশকেরও বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিল ইরান। এর ফলে দেশটির ভেতরে ও বাইরে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ সাঈদ লেলাজের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক কাঠামো বদলে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ইরানের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ছে। লেলাজ ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির উপদেষ্টা ছিলেন।
গত মঙ্গলবার ইরান শক্তিধর ছয় দেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি করে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বৈরী প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং খোদ ইরানেরই কট্টরপন্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে এই চুক্তির পর। তারা একে তাদের জন্য সরাসরি হুমকি বলে বিবেচনা করছে।
অনেক বিশ্লেষকের মত, চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিমের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে ইরান বিপুল পরিমাণ অর্থ তার ধ্বংস হয়ে যাওয়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ব্যয় করবে। তবে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের শঙ্কা, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন অর্থ ও অস্ত্র বলে বলীয়ান ইরান এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। গত শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শক্ত ভাষণ তাদের এই শঙ্কাকে কিছুটা বাড়াবেই। ওই ভাষণে খামেনি সাফ বলে দেন, পরমাণু চুক্তির ফলে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, লেবানন ও ফিলিস্তিনে ইরানের নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে ইরানের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির একেবারে ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে।
মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সংঘাতে ইরান বেশ শক্তভাবে জড়িত থাকার পরও ওয়াশিংটন তাদের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি কীভাবে করতে পারল, সেই প্রশ্ন এখন ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মনে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর সৌদি প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান বলেছেন, চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের ত্যাগ করবে না। কিন্তু ইরানের সঙ্গে চুক্তির ফলে এই অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন অনিবার্য। খামেনির যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বাগাড়ম্বর সত্ত্বেও চুক্তির বাস্তবায়ন চাইলে ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করা।
জনস হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন ভালি নাসর বলেন, চার দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস এই ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, ইরান এই অঞ্চলের বাইরে। আর এর ফলে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইরান গুরুত্ব পায়নি। পরমাণু চুক্তি এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে।
বিশ্লেষকদের কথা, চুক্তিটির ফলে খোদ ইরানের অভ্যন্তরে বেশ পরিবর্তন ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘মহা শয়তান’ বলে গালি দিয়ে আসছে। চুক্তির ফলে এসব কথা এখন বাতিল হয়ে গেছে। আর এতে ইরানের কট্টরপন্থীরা বড্ড খেপেছে। ভালি নাসর বলেন, তথাকথিত মহা শয়তানের সঙ্গে এভাবে হাত মেলানো পুরো ইরানের রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থে একটি পরিবর্তন আনবে।
গত মঙ্গলবার ইরান শক্তিধর ছয় দেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি করে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বৈরী প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং খোদ ইরানেরই কট্টরপন্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে এই চুক্তির পর। তারা একে তাদের জন্য সরাসরি হুমকি বলে বিবেচনা করছে।
অনেক বিশ্লেষকের মত, চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিমের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে ইরান বিপুল পরিমাণ অর্থ তার ধ্বংস হয়ে যাওয়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ব্যয় করবে। তবে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের শঙ্কা, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন অর্থ ও অস্ত্র বলে বলীয়ান ইরান এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। গত শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শক্ত ভাষণ তাদের এই শঙ্কাকে কিছুটা বাড়াবেই। ওই ভাষণে খামেনি সাফ বলে দেন, পরমাণু চুক্তির ফলে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, লেবানন ও ফিলিস্তিনে ইরানের নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে ইরানের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির একেবারে ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে।
মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন সংঘাতে ইরান বেশ শক্তভাবে জড়িত থাকার পরও ওয়াশিংটন তাদের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি কীভাবে করতে পারল, সেই প্রশ্ন এখন ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মনে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আর সৌদি প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান বলেছেন, চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের ত্যাগ করবে না। কিন্তু ইরানের সঙ্গে চুক্তির ফলে এই অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন অনিবার্য। খামেনির যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বাগাড়ম্বর সত্ত্বেও চুক্তির বাস্তবায়ন চাইলে ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করা।
জনস হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন ভালি নাসর বলেন, চার দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস এই ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, ইরান এই অঞ্চলের বাইরে। আর এর ফলে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইরান গুরুত্ব পায়নি। পরমাণু চুক্তি এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে।
বিশ্লেষকদের কথা, চুক্তিটির ফলে খোদ ইরানের অভ্যন্তরে বেশ পরিবর্তন ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘মহা শয়তান’ বলে গালি দিয়ে আসছে। চুক্তির ফলে এসব কথা এখন বাতিল হয়ে গেছে। আর এতে ইরানের কট্টরপন্থীরা বড্ড খেপেছে। ভালি নাসর বলেন, তথাকথিত মহা শয়তানের সঙ্গে এভাবে হাত মেলানো পুরো ইরানের রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থে একটি পরিবর্তন আনবে।
No comments