সিডনিতে ঈদ by হ্যাপি রহমান
প্রতি
বছরের মতো ঘুরে ফিরে এবারও মুসলিম উম্মার জন্য আনন্দ ও খুশির বার্তা নিয়ে
এল পবিত্র ঈদ উল ফিতর। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয়
ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল
ফিতর। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের মুসলমানেরা
উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্যাপন করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিলিয়ে
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু জায়গায় ১৬ জুলাই শুক্রবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ জুলাই শনিবারও ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর, ভারত ও বাংলাদেশসহ
অন্যান্য দেশের মুসলমানদের সবাইকে দেখা গেছে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।
স্থানীয় সময় ১৬ ও ১৭ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড,
ক্যানবেরা, মেলবোর্ন ও পার্থসহ বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসরত মুসলমানরা সপরিবারে
নিকটস্থ মসজিদ ও খোলা মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদকে ঘিরে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ছুটি থাকে না অস্ট্রেলিয়ায়। অমুসলিম প্রধান এই দেশে ঈদের জন্য আলাদা ছুটি না থাকলেও অধিকাংশ মুসলমানেরা প্রতি বছর দুই ঈদে ছুটি নেন। কেউ কেউ কর্মব্যস্ততার জন্য ছুটি নিতে পারেন না। তাদের আবার ঈদের নামাজ আদায় করেই ছুটে যেতে হয় কর্মস্থলে। অবশ্য এ বছর শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঈদ হওয়ায় কর্মদিবসের চেয়ে অনেক বেশি মুসলমানের সমাগম হয়েছে ঈদের জামাতগুলোতে। সিডনিতে বেশ কয়েক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। লাকেম্বার বড় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। এ ছাড়াও সিডনি অলিম্পিক পার্ক, প্যারামাটা মসজিদ, লিভারপুল, ব্ল্যাক টাউন সাবাবের কুইকার হিলস জামে মসজিদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
নামাজ শেষে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রবাসে ঈদের অনুভূতি জানতে চাইলে আসাদ, মতি, মাজু, সঞ্জু, কবির, তুষার, শামিম, সালাউদ্দিন, মুনমুন ও তামান্না পৃথকভাবে জানালেন, যদিও এখানে পরিবার নিয়ে থাকি কিন্তু দেশের ঈদের আবেগটা অন্যরকম। দেশে প্রিয়জনদের খুব বেশি মিস করি। আত্মীয়স্বজন ছাড়া ঈদ করলেও পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য বিনিময়ও এই আনন্দ উৎসব প্রবাসীদের জীবনযাত্রায় এক পশলা বৃষ্টির মতোই সুখকর। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট একটি ভিডিও বার্তায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত সকল মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানান।
(প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবি তুলেছেন ডা. আসাদ জামান)
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদকে ঘিরে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ছুটি থাকে না অস্ট্রেলিয়ায়। অমুসলিম প্রধান এই দেশে ঈদের জন্য আলাদা ছুটি না থাকলেও অধিকাংশ মুসলমানেরা প্রতি বছর দুই ঈদে ছুটি নেন। কেউ কেউ কর্মব্যস্ততার জন্য ছুটি নিতে পারেন না। তাদের আবার ঈদের নামাজ আদায় করেই ছুটে যেতে হয় কর্মস্থলে। অবশ্য এ বছর শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঈদ হওয়ায় কর্মদিবসের চেয়ে অনেক বেশি মুসলমানের সমাগম হয়েছে ঈদের জামাতগুলোতে। সিডনিতে বেশ কয়েক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। লাকেম্বার বড় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। এ ছাড়াও সিডনি অলিম্পিক পার্ক, প্যারামাটা মসজিদ, লিভারপুল, ব্ল্যাক টাউন সাবাবের কুইকার হিলস জামে মসজিদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
নামাজ শেষে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রবাসে ঈদের অনুভূতি জানতে চাইলে আসাদ, মতি, মাজু, সঞ্জু, কবির, তুষার, শামিম, সালাউদ্দিন, মুনমুন ও তামান্না পৃথকভাবে জানালেন, যদিও এখানে পরিবার নিয়ে থাকি কিন্তু দেশের ঈদের আবেগটা অন্যরকম। দেশে প্রিয়জনদের খুব বেশি মিস করি। আত্মীয়স্বজন ছাড়া ঈদ করলেও পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য বিনিময়ও এই আনন্দ উৎসব প্রবাসীদের জীবনযাত্রায় এক পশলা বৃষ্টির মতোই সুখকর। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট একটি ভিডিও বার্তায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত সকল মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানান।
(প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবি তুলেছেন ডা. আসাদ জামান)
No comments