খামেনির মন্তব্য খুবই বিরক্তিকর: কেরি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি |
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান
সম্পর্ক বদলাবে না—ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির
এমন মন্তব্যকে ‘খুবই বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় আল
অ্যারাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেরি এ কথা বলেন। গতকাল
মঙ্গলবার কেরির সাক্ষাৎকারের একাংশ প্রচার করে টেলিভিশন চ্যানেলটি। খবর
রয়টার্সের।
তেহরানে গত শনিবার ঈদ উপলক্ষে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে খামেনি বলেন, ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির ফলে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কিংবা ইরানের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক এমনকি দ্বিপক্ষীয় কোনো বিষয় নিয়ে ইরান আলোচনা করবে না এবং আঞ্চলিক মিত্রদের মধ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার এবং ফিলিস্তিনে হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
খামেনির মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে জন কেরি বলেন, ‘এই পর্যায়ে এসে তাঁর পরিচিতি ছাড়া, একে (খামেনির বক্তব্য) কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় আমি জানি না। এটি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি জানি, মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে করা অনেক মন্তব্য এবং প্রকৃত বিষয় ভিন্নভাবে ডালপালা ছড়ায়। যদি এই হয় নীতি, তাহলে তা খুবই বিরক্তিকর, খুবই অস্বস্তিকর।’
ইরানে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের যেকোনো সিদ্ধান্তে খামেনির কথাই শেষ কথা। তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের আলোচনা এবং চুক্তি সমর্থন কর
কেরি বলেন, আঞ্চলিক বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় আরব মিত্রদের সামর্থ্য আছে বলেই মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ গতকাল নিজ দেশের পার্লামেন্টে চুক্তিটির পক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তি। চুক্তিটি সম্পন্ন করতে সমঝোতায় পৌঁছার প্রয়োজন ছিল। চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তেহরানের ওপর থেকে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ তুলে নেওয়া হবে।
তেহরানে গত শনিবার ঈদ উপলক্ষে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে খামেনি বলেন, ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির ফলে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কিংবা ইরানের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক এমনকি দ্বিপক্ষীয় কোনো বিষয় নিয়ে ইরান আলোচনা করবে না এবং আঞ্চলিক মিত্রদের মধ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার এবং ফিলিস্তিনে হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
খামেনির মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে জন কেরি বলেন, ‘এই পর্যায়ে এসে তাঁর পরিচিতি ছাড়া, একে (খামেনির বক্তব্য) কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায় আমি জানি না। এটি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি জানি, মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে করা অনেক মন্তব্য এবং প্রকৃত বিষয় ভিন্নভাবে ডালপালা ছড়ায়। যদি এই হয় নীতি, তাহলে তা খুবই বিরক্তিকর, খুবই অস্বস্তিকর।’
ইরানে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের যেকোনো সিদ্ধান্তে খামেনির কথাই শেষ কথা। তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের আলোচনা এবং চুক্তি সমর্থন কর
কেরি বলেন, আঞ্চলিক বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় আরব মিত্রদের সামর্থ্য আছে বলেই মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ গতকাল নিজ দেশের পার্লামেন্টে চুক্তিটির পক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ চুক্তি। চুক্তিটি সম্পন্ন করতে সমঝোতায় পৌঁছার প্রয়োজন ছিল। চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তেহরানের ওপর থেকে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ তুলে নেওয়া হবে।
No comments