পাহাড়ধসে আরও মৃত্যু- কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে কবে?
টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঘটনা হয়তো অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় প্রতিবছর চট্টগ্রামে কিছু প্রাণহানিকে ‘স্বাভাবিক’ বিষয় বলেই মেনে নেওয়া হচ্ছে। তা না হলে বছরের পর বছর ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে কেন? টানা বৃষ্টির বিপদ ও ঝুঁকির বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিলে শনিবার ঈদের রাতে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু এড়ানো যেত।
চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনেক ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। মূলত নিম্ন আয়ের লোকজনই এখানে বসবাস করে। টানা বর্ষণের সময় এই ঝুঁকি চরমে পৌঁছায়। ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বোঝা যায় সে ঘটনাও আমাদের টনক নাড়াতে পারেনি। পরের বছর (২০০৮) মারা গেছেন ১৪ জন। এরপর থেকে ২০০৯ সাল বাদ দিয়ে প্রতিবছরই পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে মারা গেছেন ১৭ জন আর ২০১২ সালে ২৮ জন। এ বছর ৬ জনের মৃত্যুর পর আবার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে, ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর থেকে লোকজনকে সরানো ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, ঘটনার আগেই কেন এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো না?
২০০৭ সালের পাহাড়ধসের ঘটনার পর একটি পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত সেই কমিটি এখনো কার্যকর রয়েছে। তখন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাড়িঘর না রাখার সিদ্ধান্ত হলেও তা এখনো কার্যকর না হওয়া দুঃখজনক।
বছর বছর পাহাড় ধসে মৃত্যু এড়াতে দুর্ঘটনার পর বা মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান যে কাজ দেবে না, সেটা পরিষ্কার। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাড়িঘর নির্মাণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিকল্প নেই। একটি কার্যকর পরিকল্পনার আওতায় সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যত সময় নেওয়া হবে, এ ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা ততই বাড়তে থাকবে।
চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অনেক ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। মূলত নিম্ন আয়ের লোকজনই এখানে বসবাস করে। টানা বর্ষণের সময় এই ঝুঁকি চরমে পৌঁছায়। ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বোঝা যায় সে ঘটনাও আমাদের টনক নাড়াতে পারেনি। পরের বছর (২০০৮) মারা গেছেন ১৪ জন। এরপর থেকে ২০০৯ সাল বাদ দিয়ে প্রতিবছরই পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে মারা গেছেন ১৭ জন আর ২০১২ সালে ২৮ জন। এ বছর ৬ জনের মৃত্যুর পর আবার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে, ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর থেকে লোকজনকে সরানো ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, ঘটনার আগেই কেন এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো না?
২০০৭ সালের পাহাড়ধসের ঘটনার পর একটি পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত সেই কমিটি এখনো কার্যকর রয়েছে। তখন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাড়িঘর না রাখার সিদ্ধান্ত হলেও তা এখনো কার্যকর না হওয়া দুঃখজনক।
বছর বছর পাহাড় ধসে মৃত্যু এড়াতে দুর্ঘটনার পর বা মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান যে কাজ দেবে না, সেটা পরিষ্কার। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাড়িঘর নির্মাণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিকল্প নেই। একটি কার্যকর পরিকল্পনার আওতায় সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যত সময় নেওয়া হবে, এ ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা ততই বাড়তে থাকবে।
No comments