পাট খাতে লুটপাট -এই অবহেলা ও অদক্ষতার জবাব কী?
দ্রুত শিল্পায়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। মন্ত্রী-নেতাদের কণ্ঠেও পাট খাতের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার কথা উচ্চারিত হয় বেশ জোরেশোরে। কিন্তু সাড়ে ছয় বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, অদক্ষতা, অব্যবস্থা ও দুর্নীতির কারণে গোটা পাট খাতই ডুবতে বসেছে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১-১৩ সালে রাষ্ট্রীয় খাতের বন্ধ হয়ে যাওয়া পাঁচটি পাটকল চালু করে। তখন এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হয়েছিল; অন্তত তারা পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক কিংবা বিএনপি সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ করেনি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ‘সকলই গরল ভেল’।
প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, এই খাতের লোকসান কয়েক গুণ বেড়েছে। বন্ধ কারখানা চালু করার সময় যে ৩৫ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তার ২২ হাজারেরই কোনো কাজ নেই। অথচ তাঁদের পেছনে বছরে খরচ হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। এই বাড়তি শ্রমিকদের কারা নিয়োগ দিয়েছিলেন, কেন দিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের জবাব চাই। এ ছাড়া পাট কেনার জন্য সময়মতো অর্থ ছাড় না করানোয় বছরে আরও ৭০ কোটি টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। ফলে গত তিন বছরে এই খাতে সরকারকে লোকসান দিতে হয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা; যার মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরেই ৪৫০ কোটি টাকা।
এই অপচয়, অব্যবস্থা ও লুটপাটের জবাব কী? এর জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা কি বরাবরের মতো পার পেয়ে যাবেন? রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানাগুলো এভাবে চলতে পারে না। হয় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো ঠিকঠাকমতো চালান, নাহয় বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিন।
পাট খাতের অনিয়ম, অব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হোক। প্রতিমন্ত্রীর ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় ভরসা রাখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে যেটি প্রয়োজন তা হলো পাট খাতের লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায় এই শিল্পে রক্তক্ষরণ চলতেই থাকবে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১-১৩ সালে রাষ্ট্রীয় খাতের বন্ধ হয়ে যাওয়া পাঁচটি পাটকল চালু করে। তখন এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হয়েছিল; অন্তত তারা পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক কিংবা বিএনপি সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ করেনি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ‘সকলই গরল ভেল’।
প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, এই খাতের লোকসান কয়েক গুণ বেড়েছে। বন্ধ কারখানা চালু করার সময় যে ৩৫ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তার ২২ হাজারেরই কোনো কাজ নেই। অথচ তাঁদের পেছনে বছরে খরচ হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা। এই বাড়তি শ্রমিকদের কারা নিয়োগ দিয়েছিলেন, কেন দিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের জবাব চাই। এ ছাড়া পাট কেনার জন্য সময়মতো অর্থ ছাড় না করানোয় বছরে আরও ৭০ কোটি টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। ফলে গত তিন বছরে এই খাতে সরকারকে লোকসান দিতে হয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা; যার মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরেই ৪৫০ কোটি টাকা।
এই অপচয়, অব্যবস্থা ও লুটপাটের জবাব কী? এর জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা কি বরাবরের মতো পার পেয়ে যাবেন? রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানাগুলো এভাবে চলতে পারে না। হয় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো ঠিকঠাকমতো চালান, নাহয় বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিন।
পাট খাতের অনিয়ম, অব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হোক। প্রতিমন্ত্রীর ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় ভরসা রাখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে যেটি প্রয়োজন তা হলো পাট খাতের লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায় এই শিল্পে রক্তক্ষরণ চলতেই থাকবে।
No comments