কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন না ইসমত জাহান
পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে গাছের আড়ালে লুকিয়েছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী ইসমত জাহান। কিন্তু পুলিশের এক সদস্য সেখান থেকে তাঁকে চুল ধরে টেনে আনেন l ফাইল ছবি |
‘পুলিশ
আমাদের ওপর গাড়ি তুলে দিচ্ছিল। সরে না এলে আমাদের ওপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে
দিত। তখন চুপ করে থাকতে পারিনি। ক্ষোভ-রাগ থেকে ঢিল দিয়েছি। তবে বলতে পারি,
আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য গেছি। পুলিশকে আঘাত করার জন্য যাইনি,
পিকেটিংয়ের জন্য যাইনি।’
কথাগুলো বলছিলেন পুলিশি নির্যাতনের শিকার ইসমত জাহান। বর্ষবরণের দিন যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গত রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় আছেন ইসমত। জানালেন, শারীরিক অবস্থা ভালো না। শরীরের বিভিন্ন স্থান থেঁতলে গেছে। ব্যথায় ঠিকমতো বসতেও পারছেন না। পিঠে বুটের লাথির ফলে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন না। ডান চোখে ব্যথা, ঝাপসা দেখছেন। আপাতত বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছাত্র ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য ইসমত জাহান ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, মধুর ক্যানটিন ঘুরে শাহবাগের দিকে যায়। পুলিশ ছিল, রাস্তায় যানজটও ছিল। মিছিলটি ঘুরে কার্জন হলের দিকে যেতে থাকে। দোয়েল চত্বরে আসতেই পুলিশের ব্যারিকেড। কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে মিছিলটি হাইকোর্টের দিকে এগোতে থাকে। সার্কিট হাউস রোডে যাওয়ার পর পুলিশ বাধা দেয়। আন্দোলনকারীরা সেখানে রাস্তার ওপর বসে স্লোগান দেন। বক্তব্য দিচ্ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক। বক্তব্য শেষ হওয়ার পর পুলিশ মাইকের তার কেড়ে নেয়। প্রতিবাদ জানালে পুলিশ মারতে শুরু করে। পুলিশের গাড়ি তুলে দিচ্ছিল। তখন তিনি ঢিল ছুড়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিবিএ প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ইসমত জাহান জানালেন, পুলিশ যখন গাছের আড়াল থেকে তাঁকে বের করে মারধর করছিল; তখন একইসঙ্গে চলছিল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।
সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেত্রী। বললেন, পুলিশ যখন তাঁকে গাছের আড়াল থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করছিলেন, তখন এক সাংবাদিক তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। যখন তাঁর ওপর পুলিশের নির্মম নির্যাতন চলছিল, তখন কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিয়ে ধাওয়া দেয়।
যে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তেমন একটা কাজ পুলিশ তাঁদের সঙ্গেও করল—মন্তব্য করে ইসমত বলেন, সেই ঘটনা থেকে এটা কোনো অংশেই কম না। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মারতেই যদি হয় মহিলা ফোর্স দিয়ে মার। পুরুষ হয়ে নারীর ওপর তারা হাত তুলেছে, আইনের দৃষ্টিতে এটা কোনোভাবেই ঠিক না। তিনি দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন, যেন এমন আর কেউ কোনো দিন না করে।
কথাগুলো বলছিলেন পুলিশি নির্যাতনের শিকার ইসমত জাহান। বর্ষবরণের দিন যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গত রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় আছেন ইসমত। জানালেন, শারীরিক অবস্থা ভালো না। শরীরের বিভিন্ন স্থান থেঁতলে গেছে। ব্যথায় ঠিকমতো বসতেও পারছেন না। পিঠে বুটের লাথির ফলে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারছেন না। ডান চোখে ব্যথা, ঝাপসা দেখছেন। আপাতত বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছাত্র ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য ইসমত জাহান ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, মধুর ক্যানটিন ঘুরে শাহবাগের দিকে যায়। পুলিশ ছিল, রাস্তায় যানজটও ছিল। মিছিলটি ঘুরে কার্জন হলের দিকে যেতে থাকে। দোয়েল চত্বরে আসতেই পুলিশের ব্যারিকেড। কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে মিছিলটি হাইকোর্টের দিকে এগোতে থাকে। সার্কিট হাউস রোডে যাওয়ার পর পুলিশ বাধা দেয়। আন্দোলনকারীরা সেখানে রাস্তার ওপর বসে স্লোগান দেন। বক্তব্য দিচ্ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক। বক্তব্য শেষ হওয়ার পর পুলিশ মাইকের তার কেড়ে নেয়। প্রতিবাদ জানালে পুলিশ মারতে শুরু করে। পুলিশের গাড়ি তুলে দিচ্ছিল। তখন তিনি ঢিল ছুড়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিবিএ প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ইসমত জাহান জানালেন, পুলিশ যখন গাছের আড়াল থেকে তাঁকে বের করে মারধর করছিল; তখন একইসঙ্গে চলছিল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।
সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেত্রী। বললেন, পুলিশ যখন তাঁকে গাছের আড়াল থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করছিলেন, তখন এক সাংবাদিক তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। যখন তাঁর ওপর পুলিশের নির্মম নির্যাতন চলছিল, তখন কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিয়ে ধাওয়া দেয়।
যে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তেমন একটা কাজ পুলিশ তাঁদের সঙ্গেও করল—মন্তব্য করে ইসমত বলেন, সেই ঘটনা থেকে এটা কোনো অংশেই কম না। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মারতেই যদি হয় মহিলা ফোর্স দিয়ে মার। পুরুষ হয়ে নারীর ওপর তারা হাত তুলেছে, আইনের দৃষ্টিতে এটা কোনোভাবেই ঠিক না। তিনি দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন, যেন এমন আর কেউ কোনো দিন না করে।
No comments