জামায়াতের উত্থানে রাষ্ট্রের আদর্শগত পরিবর্তন ঘটে -ভারতীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাইদুল ইসলাম
ভারতীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাইদুল ইসলাম মনে করেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে বীরোচিত ঐতিহাসিক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা মতাদর্শগতভাবে ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদী’। কিন্তু বিএনপির বিগত আমলে তাতে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়। তার আরও মন্তব্য: ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য বোঝাই জাহাজ আটকে দিয়েছিল, যা একটি জাতীয় বিয়োগান্তক অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল। কারণ অজুহাত হিসেবে খাড়া করা হয়েছিল যে, মুজিব আদর্শগতভাবে সোভিয়েত কমিউনিস্টদের মিত্র।
সম্প্রতি ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত ‘লিমিটস অব ইসলামিজম জামায়াতে ইসলামী ইন কনটেম্পরারি ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’ বইয়ে ওই মন্তব্য ছাপা হয়েছে। বইটির লেখক কলকাতা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম।
ওই বইটি মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল থিসিস, লেখক মর্যাদাসম্পন্ন ক্লারেনডন বৃত্তি পান। ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তিনি থিসিসটি লিখেছেন যেটি এখন বই আকারে বেরুলো। ইসলামী সংগঠন হিসেবে তিনি তাবলীগ জামায়াত, জমিয়ত-ই-উলেমা-ই হিন্দ, জামায়াতে ইসলামী, আল কায়েদা, তালেবান, হামাস, হেজবুল্লাহ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের কথা উল্লেখ করেছেন।
মাইদুল ইসলাম আরও লিখেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী সংগঠনগুলোর একটি উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে দেশটিতে একটি ইসলামী রক্ষণশীলতার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় যে, এটা সেই জামায়াতে ইসলামী যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতা করেছিল, তারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপির মিত্র হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। আর এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে একটি আদর্শিক পরিবর্তন। ধীরে ধীরে দেশটি ইসলামী ভাবধারায় ফিরে গেল। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিল সেক্যুলার ন্যাশনালিজম।
লেখক খতিয়ে দেখেছেন যে, বর্তমান বিশ্বে ইসলামবাদিতা একটি বিকল্প সরকার ব্যবস্থা দিতে পারে কিনা। যেখানে পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন ও নয়াউদারীকরণ নিয়ে ঐকমত্য চলছে। বিংশ শতাব্দীতে সমাজতন্ত্রের পতনের ফলে ইসলামবাদিতা পুঁজিবাদের বিকল্প জায়গা করে নেবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার বাস্তবে কি ফল দিয়েছে। এবং ইসলামবাদের মতো একটি ধর্মীয় মতাদর্শগত সামাজিক রূপান্তরকরণে ভূমিকা রাখতে পারে কিনা। কিংবা এই ইসলামাবাদের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর সেটি হলো এটি কোন সরকার ব্যবস্থা হিসেবে দাঁড়াবে না। বরং এটি নিউ লিবারেল পুঁজিবাদের সমালোচনা করে যাবে। তবে এটি প্রতিরোধ গড়ে তোলার একটি অনন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বইটি আরও দেখিয়েছে যে, সমকালীন বিশ্বব্যবস্থায় ইসলামবাদীরা একটি ‘অ্যান্টাগনিস্টিক ফ্রন্টিয়ার’ গড়ে তুলেছে। এবং ইসলামবাদের রাজনৈতিক প্রকল্পের পেছন থেকে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া, বইটি নিউ লিবারেল আর্থিক নীতি এবং ‘‘পশ্চিমা সাংস্কৃতিক বিশ্বায়ন’’ প্রসঙ্গেও মনোযোগ দিয়েছে।
মাইদুল ইসলাম আরও আলোচনা করেছেন যে, কেন ইসলামপন্থিরা নাস্তিকতা, ধর্মের অবমাননা এবং স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। এবং চূড়ান্তভাবে বইটি নিউ লিবারিলিজমের বিকল্প হিসেবে ইসলামপন্থিদের জনপ্রিয়তায় কেন সংকট চলছে তার সুলুক সন্ধানের চেষ্টা করেছে।
সম্প্রতি ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত ‘লিমিটস অব ইসলামিজম জামায়াতে ইসলামী ইন কনটেম্পরারি ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’ বইয়ে ওই মন্তব্য ছাপা হয়েছে। বইটির লেখক কলকাতা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম।
ওই বইটি মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল থিসিস, লেখক মর্যাদাসম্পন্ন ক্লারেনডন বৃত্তি পান। ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তিনি থিসিসটি লিখেছেন যেটি এখন বই আকারে বেরুলো। ইসলামী সংগঠন হিসেবে তিনি তাবলীগ জামায়াত, জমিয়ত-ই-উলেমা-ই হিন্দ, জামায়াতে ইসলামী, আল কায়েদা, তালেবান, হামাস, হেজবুল্লাহ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের কথা উল্লেখ করেছেন।
মাইদুল ইসলাম আরও লিখেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী সংগঠনগুলোর একটি উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে দেশটিতে একটি ইসলামী রক্ষণশীলতার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় যে, এটা সেই জামায়াতে ইসলামী যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতা করেছিল, তারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপির মিত্র হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। আর এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে একটি আদর্শিক পরিবর্তন। ধীরে ধীরে দেশটি ইসলামী ভাবধারায় ফিরে গেল। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিল সেক্যুলার ন্যাশনালিজম।
লেখক খতিয়ে দেখেছেন যে, বর্তমান বিশ্বে ইসলামবাদিতা একটি বিকল্প সরকার ব্যবস্থা দিতে পারে কিনা। যেখানে পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন ও নয়াউদারীকরণ নিয়ে ঐকমত্য চলছে। বিংশ শতাব্দীতে সমাজতন্ত্রের পতনের ফলে ইসলামবাদিতা পুঁজিবাদের বিকল্প জায়গা করে নেবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার বাস্তবে কি ফল দিয়েছে। এবং ইসলামবাদের মতো একটি ধর্মীয় মতাদর্শগত সামাজিক রূপান্তরকরণে ভূমিকা রাখতে পারে কিনা। কিংবা এই ইসলামাবাদের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর সেটি হলো এটি কোন সরকার ব্যবস্থা হিসেবে দাঁড়াবে না। বরং এটি নিউ লিবারেল পুঁজিবাদের সমালোচনা করে যাবে। তবে এটি প্রতিরোধ গড়ে তোলার একটি অনন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বইটি আরও দেখিয়েছে যে, সমকালীন বিশ্বব্যবস্থায় ইসলামবাদীরা একটি ‘অ্যান্টাগনিস্টিক ফ্রন্টিয়ার’ গড়ে তুলেছে। এবং ইসলামবাদের রাজনৈতিক প্রকল্পের পেছন থেকে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া, বইটি নিউ লিবারেল আর্থিক নীতি এবং ‘‘পশ্চিমা সাংস্কৃতিক বিশ্বায়ন’’ প্রসঙ্গেও মনোযোগ দিয়েছে।
মাইদুল ইসলাম আরও আলোচনা করেছেন যে, কেন ইসলামপন্থিরা নাস্তিকতা, ধর্মের অবমাননা এবং স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। এবং চূড়ান্তভাবে বইটি নিউ লিবারিলিজমের বিকল্প হিসেবে ইসলামপন্থিদের জনপ্রিয়তায় কেন সংকট চলছে তার সুলুক সন্ধানের চেষ্টা করেছে।
No comments