নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানানোর হিড়িক by সুজন ঘোষ
চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন জানানোর হিড়িক পড়েছে নগরজুড়ে। বেআইনিভাবে যেখানে-সেখানে লাগানো
হচ্ছে ব্যানার-বিলবোর্ড। সাঁটানো হচ্ছে পোস্টার। এ ক্ষেত্রে বাদ পড়েনি
নগর ভবনও।
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় অবস্থিত নগর ভবনের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির ব্যানার। এমনকি পাশের নির্মাণাধীন নগর ভবনের পরিচিতি ফলক ঢেকে বিশাল ব্যানার লাগিয়েছে ছাত্রলীগ। নগর ভবনের প্রাচীরে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার।
অভিনন্দন জ্ঞাপনকারীরা এসব পোস্টার-ব্যানার লাগানোর ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের অনুমতির তোয়াক্কা করেননি। এমনকি এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনও মানা হয়নি। নতুন মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লাগানো এসব ব্যানার-পোস্টার অপসারণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সিটি করপোরেশন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পড়েছেন বিব্রতকর অবস্থায়।
স্থানীয় সরকার আইনের (২০০৯) পঞ্চম তফসিলের ৪৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে বিজ্ঞাপন, নোটিশ, প্ল্যাকার্ড বা অন্য কোনো প্রকার প্রচারপত্র সাঁটিয়া দেওয়া অপরাধ।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে নগর ভবনে এসব ব্যানার লাগানো হয়েছে। কারা, কখন লাগিয়েছে তা-ও আমরা জানি না। পুরো বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। এখন নতুন মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন নগর ভবনের পরিচিতি-সংবলিত বিলবোর্ড ঢেকে দেওয়া হয়েছে অভিনন্দনের ব্যানারে। কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সৌজন্যে লাগানো এ ব্যানারে আ জ ম নাছির উদ্দিনকে মেয়র পদে নির্বাচিত করায় নাগরিকদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এই ব্যানারটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং আ জ ম নাছিরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাত নেতার ছবি রয়েছে।
ব্যানারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয়দানকারী গৌতম হাজারী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নতুন মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার লাগানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে খুলে ফেলা হবে। নগর ভবনের পরিচিত ফলক ঢেকে ব্যানার লাগানো কতটুকু শোভনীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব কী বলেন আপনি (প্রতিবেদক)? ওখানে কোথায় নগর ভবনের পরিচিত ফলক আছে?’
এ ছাড়া নতুন মেয়রকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্তমান নগর ভবনের দেয়ালে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারবৃন্দ’ দুটি, সিটি করপোরেশন শ্রমিক ও কর্মচারী লীগ একটি, সিটি করপোরেশন শ্রমিক সংস্থা একটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড একটি ব্যানার টানিয়েছে। নগর ভবনে আরও তিনটি ব্যানার থাকলেও সেখানে কোনো সংগঠনের নাম নেই।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো সিটি করপোরেশন পরিবারের সদস্য। সবাই ব্যানার লাগাতে পারলে আমরা কেন পারব না!’
নগর ভবনে লাগানো এসব ব্যানার-পোস্টার অপসারণের বিষয়ে করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুলে ফেলা হবে।’
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় অবস্থিত নগর ভবনের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির ব্যানার। এমনকি পাশের নির্মাণাধীন নগর ভবনের পরিচিতি ফলক ঢেকে বিশাল ব্যানার লাগিয়েছে ছাত্রলীগ। নগর ভবনের প্রাচীরে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার।
অভিনন্দন জ্ঞাপনকারীরা এসব পোস্টার-ব্যানার লাগানোর ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের অনুমতির তোয়াক্কা করেননি। এমনকি এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনও মানা হয়নি। নতুন মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে লাগানো এসব ব্যানার-পোস্টার অপসারণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সিটি করপোরেশন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পড়েছেন বিব্রতকর অবস্থায়।
স্থানীয় সরকার আইনের (২০০৯) পঞ্চম তফসিলের ৪৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে বিজ্ঞাপন, নোটিশ, প্ল্যাকার্ড বা অন্য কোনো প্রকার প্রচারপত্র সাঁটিয়া দেওয়া অপরাধ।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে নগর ভবনে এসব ব্যানার লাগানো হয়েছে। কারা, কখন লাগিয়েছে তা-ও আমরা জানি না। পুরো বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। এখন নতুন মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন নগর ভবনের পরিচিতি-সংবলিত বিলবোর্ড ঢেকে দেওয়া হয়েছে অভিনন্দনের ব্যানারে। কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সৌজন্যে লাগানো এ ব্যানারে আ জ ম নাছির উদ্দিনকে মেয়র পদে নির্বাচিত করায় নাগরিকদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এই ব্যানারটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং আ জ ম নাছিরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাত নেতার ছবি রয়েছে।
ব্যানারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয়দানকারী গৌতম হাজারী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নতুন মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার লাগানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে খুলে ফেলা হবে। নগর ভবনের পরিচিত ফলক ঢেকে ব্যানার লাগানো কতটুকু শোভনীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব কী বলেন আপনি (প্রতিবেদক)? ওখানে কোথায় নগর ভবনের পরিচিত ফলক আছে?’
এ ছাড়া নতুন মেয়রকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্তমান নগর ভবনের দেয়ালে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারবৃন্দ’ দুটি, সিটি করপোরেশন শ্রমিক ও কর্মচারী লীগ একটি, সিটি করপোরেশন শ্রমিক সংস্থা একটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড একটি ব্যানার টানিয়েছে। নগর ভবনে আরও তিনটি ব্যানার থাকলেও সেখানে কোনো সংগঠনের নাম নেই।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো সিটি করপোরেশন পরিবারের সদস্য। সবাই ব্যানার লাগাতে পারলে আমরা কেন পারব না!’
নগর ভবনে লাগানো এসব ব্যানার-পোস্টার অপসারণের বিষয়ে করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুলে ফেলা হবে।’
No comments