যেভাবে বিলুপ্ত হতে পারে মানুষ
আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। প্রযুক্তির পরবর্তী বিবর্তন।
এর স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানিরা। গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে পুরোদোমে।
সফলতা রয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে নানা আশঙ্কাও। শক্তিশালী আর বুদ্ধিমান
কম্পিউটারের আগমন মানবতার ভবিষ্যত পাল্টে দেবে সন্দেহ নেই। তবে নিশ্চিত
করতে হবে নানা বিপন্নতার আশঙ্কা থেকে এর সম্ভাবনার পাল্লা যেন ভারী হয়।
সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেটাই প্রশ্ন।
খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্স সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার পূর্ণাঙ্গ রূপ অর্জিত হলে তা মানব জাতির ইতি টানতে পারে। কানাডিয়ান উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা এলোন মাস্কের আশঙ্কা হলো, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন হতে পারে মানবতার জন্য সব চেয়ে বড় হুমকি। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, মানুষের তৈরি যন্ত্র হয়ে উঠতে পারে তাদের প্রভু বা তাদের ঘাতক। এ শঙ্কা নতুন নয়। কিন্তু যখন একজন প্রখ্যাত মহাকাশবিজ্ঞানী, একজন সিলিকন ভ্যালি উদ্যোক্তা এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতার কণ্ঠে ওই শঙ্কা ধ্বনিত হবে তখন তা উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। গুগল, মাইক্রোসফটের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এআই খাতে যে বিশাল বিনিয়োগ করেছে এ শঙ্কা তার বিরোধী। তবে উদ্বেগগুলো যখন তাদের মাপের ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসেছে তখন এমন ভীতির পাল্লাটা যে ভারী হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রত্যেকের পকেটে সুপার কম্পিউটার আর যুদ্ধক্ষেত্রে রোবোটদের বিচরণের মতো বিষয়গুলো স্রেফ সায়েন্স ফিকশন বলে উড়িয়ে দেয়াটা আত্মপ্রবঞ্চনার মতো মনে হয়। প্রশ্ন হলো বিচক্ষণতার সঙ্গে কিভাবে উদ্বেগগুলো দূর করা যায়।
এর প্রথম ধাপ হলো কম্পিউটার আজকের দিনে কি করতে সক্ষম আর ভবিষ্যতে কি কি করতে সমর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটা বুঝতে চেষ্টা করা। তথ্য উপাত্ত প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যের ডিজিটাল রূপের ক্রমবর্ধমান প্রাচুর্য্যরে বদৌলতে এআই তার সক্ষমতার সমৃদ্ধি উপভোগ করছে। মানব মস্তিস্কের নিউরোনের স্তরগুলো অনুকরণ করে এবং ব্যাপক পরিমান তথ্যউপাত্ত প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে আজকের ‘ডিপ লার্নিং’ পদ্ধতি নিজেদেরকে কিছু কাজ করা শেখাতে পারে। নকশা ও গতিপ্রকৃতি শণাক্ত থেকে শুরু করে অনুবাদ পর্যন্ত। আর মানুষ যতটা দক্ষতার সঙ্গে সেগুলো করতে পারে প্রায় তেমনভাবেই। ফলে যেযব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে একসময় ‘মন’-এর প্রয়োজন হতো সেগুলো এখন কম্পিউটার প্রোগামগুলোর আয়ত্তের মধ্যে। ছবি পাঠোদ্ধার থেকে শুরু করে ভিডিও গেম ‘ফ্রগার’ খেলা পর্যন্ত। ২০১৪ সালে ফেসবুক ‘ডিপফেস’ নামের একটি অ্যালগরিদম প্রকাশ করে যা আলাদা করে ৯৭ ভাগ ক্ষেত্রে মানব চেহারাকে চিনতে পারে।
সূত্র: দ্যা ইকোনমিস্ট
খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্স সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার পূর্ণাঙ্গ রূপ অর্জিত হলে তা মানব জাতির ইতি টানতে পারে। কানাডিয়ান উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা এলোন মাস্কের আশঙ্কা হলো, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন হতে পারে মানবতার জন্য সব চেয়ে বড় হুমকি। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, মানুষের তৈরি যন্ত্র হয়ে উঠতে পারে তাদের প্রভু বা তাদের ঘাতক। এ শঙ্কা নতুন নয়। কিন্তু যখন একজন প্রখ্যাত মহাকাশবিজ্ঞানী, একজন সিলিকন ভ্যালি উদ্যোক্তা এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতার কণ্ঠে ওই শঙ্কা ধ্বনিত হবে তখন তা উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। গুগল, মাইক্রোসফটের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এআই খাতে যে বিশাল বিনিয়োগ করেছে এ শঙ্কা তার বিরোধী। তবে উদ্বেগগুলো যখন তাদের মাপের ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসেছে তখন এমন ভীতির পাল্লাটা যে ভারী হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রত্যেকের পকেটে সুপার কম্পিউটার আর যুদ্ধক্ষেত্রে রোবোটদের বিচরণের মতো বিষয়গুলো স্রেফ সায়েন্স ফিকশন বলে উড়িয়ে দেয়াটা আত্মপ্রবঞ্চনার মতো মনে হয়। প্রশ্ন হলো বিচক্ষণতার সঙ্গে কিভাবে উদ্বেগগুলো দূর করা যায়।
এর প্রথম ধাপ হলো কম্পিউটার আজকের দিনে কি করতে সক্ষম আর ভবিষ্যতে কি কি করতে সমর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটা বুঝতে চেষ্টা করা। তথ্য উপাত্ত প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যের ডিজিটাল রূপের ক্রমবর্ধমান প্রাচুর্য্যরে বদৌলতে এআই তার সক্ষমতার সমৃদ্ধি উপভোগ করছে। মানব মস্তিস্কের নিউরোনের স্তরগুলো অনুকরণ করে এবং ব্যাপক পরিমান তথ্যউপাত্ত প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে আজকের ‘ডিপ লার্নিং’ পদ্ধতি নিজেদেরকে কিছু কাজ করা শেখাতে পারে। নকশা ও গতিপ্রকৃতি শণাক্ত থেকে শুরু করে অনুবাদ পর্যন্ত। আর মানুষ যতটা দক্ষতার সঙ্গে সেগুলো করতে পারে প্রায় তেমনভাবেই। ফলে যেযব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে একসময় ‘মন’-এর প্রয়োজন হতো সেগুলো এখন কম্পিউটার প্রোগামগুলোর আয়ত্তের মধ্যে। ছবি পাঠোদ্ধার থেকে শুরু করে ভিডিও গেম ‘ফ্রগার’ খেলা পর্যন্ত। ২০১৪ সালে ফেসবুক ‘ডিপফেস’ নামের একটি অ্যালগরিদম প্রকাশ করে যা আলাদা করে ৯৭ ভাগ ক্ষেত্রে মানব চেহারাকে চিনতে পারে।
সূত্র: দ্যা ইকোনমিস্ট
No comments