‘চোখ বাঁধা অবস্থায় কিছু লোক আমাকে ফেলে গেছে’ by মানস চৌধুরী
ভারতের মেঘালয়ের শিলং সিভিল হাসপাতালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তি করে l ছবি: সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য |
‘আমি
কী করে এখানে এলাম কিছুই জানি না। কিছু লোক চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে
করে আমাকে এখানে ফেলে গেল। তারা কারা তা-ও জানি না।’ ভারতের মেঘালয়
রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর
বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। তারা আমাকে বন্দী করে রেখেছিল। যারা আমাকে বন্দী করেছিল, তারা সব সময় চোখ বেঁধে রেখেছে। আমি কিছুই দেখতে পায়নি। তারা একটি গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে আসে। এরপর ফেলে যায়। আমি কোথায় তার কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার কাছে সব অচেনা মনে হচ্ছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদ সোমবার সকালে গলফ লিংক এলাকায় উদভ্রান্তের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন। সকাল থেকে একই স্থানে তিনি বারবার পায়চারি করছিলেন। এ রকম একজন লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখে লোকজন পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী বলে পরিচয় দেন। তখন পুলিশের সন্দেহ হয়, তিনি ঠিক বলছেন কি না। কিন্তু তিনি এর সমর্থনে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছিলেন না। পরনের কাপড় ছাড়া তাঁর কাছে আর কিছুই ছিল না। তিনি কাঁপছিলেন।
শিলংয়ের পূর্ব খাসি হিলস জেলার পুলিশ প্রধান মারিয়াহোম খারক্রাং জানান, তিনি ঠিকমতো কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হার্টে ও লিভারে সমস্যা আছে। হাসপাতালে আসার পর তিনি একজন চিকিৎসকে বলেন, ‘আপনার ফোনটা একটু দিন, আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে শিলং পৌঁছালেন সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি। সালাহ উদ্দিন নিজেও ঠিকমতো কিছু বলতে পারছেন না।
সালাহ উদ্দিন পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। তারা আমাকে বন্দী করে রেখেছিল। যারা আমাকে বন্দী করেছিল, তারা সব সময় চোখ বেঁধে রেখেছে। আমি কিছুই দেখতে পায়নি। তারা একটি গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে আসে। এরপর ফেলে যায়। আমি কোথায় তার কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার কাছে সব অচেনা মনে হচ্ছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদ সোমবার সকালে গলফ লিংক এলাকায় উদভ্রান্তের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন। সকাল থেকে একই স্থানে তিনি বারবার পায়চারি করছিলেন। এ রকম একজন লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখে লোকজন পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী বলে পরিচয় দেন। তখন পুলিশের সন্দেহ হয়, তিনি ঠিক বলছেন কি না। কিন্তু তিনি এর সমর্থনে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছিলেন না। পরনের কাপড় ছাড়া তাঁর কাছে আর কিছুই ছিল না। তিনি কাঁপছিলেন।
শিলংয়ের পূর্ব খাসি হিলস জেলার পুলিশ প্রধান মারিয়াহোম খারক্রাং জানান, তিনি ঠিকমতো কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হার্টে ও লিভারে সমস্যা আছে। হাসপাতালে আসার পর তিনি একজন চিকিৎসকে বলেন, ‘আপনার ফোনটা একটু দিন, আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই।’
সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে শিলং পৌঁছালেন সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি। সালাহ উদ্দিন নিজেও ঠিকমতো কিছু বলতে পারছেন না।
No comments