জামায়াত বুদ্ধিজীবীদের ভাবনায় বিএনপির ভবিষ্যৎ
জামায়াত বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন
রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্থানের পরে
বিএনপি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। জামায়াতে ইসলামীর তিন বুদ্ধিজীবীর এই বিরল
বিএনপি ভাবনা সম্প্রতি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত ‘লিমিটস অব
ইসলামিজম জামায়াতে ইসলামী ইন কনটেম্পরারি ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’ বইয়ে
ছাপা হয়েছে। বইটির লেখক কলকাতা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মইদুল ইসলাম। বইটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের
জামায়াতে ইসলামীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ইসলামিজমের ওপর
বিশেষভাবে আলোকপাত করেছে। বহুক্ষেত্রে ভারত ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দের
চিন্তাভাবনায় কিভাবে সমসাময়িক আঞ্চলিক ও বিশ্ব পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটে তার
একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। জামায়াতের তিনজন বুদ্ধিজীবীর
সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। বইয়ের তথ্যমতে ২০০৯ সালের জুনে লেখক ঢাকায়
এসে নিজেই পৃথকভাবে তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
ওই বইয়ে সাক্ষাৎকারদাতা ও তাদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এটিএম ফজলুল হক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘জামায়াত বর্তমানে একটি সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণা সেল না থাকার সংকটে ভুগছে। বিএনপি দুর্বল হয়ে গেলে জামায়াত সাফল্যের সঙ্গে ভারত বিরোধী ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটা একটা প্রকৃত সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দেবে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার পরে বিএনপি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। বিএনপি মতাদর্শগতভাবে একটি শিথিল এবং অসংগঠিত সংগঠন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এটিএম ফজলুল হক বলেন, জামায়াত সমর্থক জনগোষ্ঠী স্বভাবগতভাবে অধিকতর নরম এবং কথাবার্তা অপেক্ষাকৃত কম বলেন। তাদের বেশির ভাগই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো পেশাদার সংগঠক নন। আরেকটি মারাত্মক সমস্যা হলো, জামায়াতকে একটি গতিশীল আদর্শগত দল হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের বৃদ্ধিবৃত্তিক অবদান রাখার বিষয়ে ঘাটতি আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মতো বিএনপি কোন আদর্শগত সংগঠন নয়। বিএনপি বাম, ডান ও মধ্যপন্থিদের একটি কৌতূহলোদ্দীপক মিশ্র সংগঠন, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগ থেকেই আওয়ামী লীগের একটি আদর্শগত উত্তরাধিকার ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাধারণ ভোটারদের কাছে টানতে অনেক বেশি পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। এমনকি যারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ছিল, তাদেরকে দলীয় টিকিট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উপরন্তু তারা জাতীয় পার্টির মতো জোট শরিককে অনেক বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে।’
অধ্যাপক ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের স্মৃতিশক্তি ভীষণ দুর্বল। আগের সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের চেয়ে তারা বরং সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের সরকারের দুষ্কর্ম মনে রাখেন।’
ঢাকার সরকারি আলীয়া মাদরাসার গণিতের শিক্ষক এবং জামায়াত সদস্য বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত প্রায় ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের মতোই ভোট ভাগাভাগি করেছে। তবে ২০০৮ সালে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্বাচন পরিচালনা ও ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেন। তাই সেখানে কোন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তবে বিএনপির দুর্নীতি অবশ্যই একটি ইস্যু ছিল।’
ওই বইয়ে সাক্ষাৎকারদাতা ও তাদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এটিএম ফজলুল হক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘জামায়াত বর্তমানে একটি সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণা সেল না থাকার সংকটে ভুগছে। বিএনপি দুর্বল হয়ে গেলে জামায়াত সাফল্যের সঙ্গে ভারত বিরোধী ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটা একটা প্রকৃত সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দেবে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার পরে বিএনপি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। বিএনপি মতাদর্শগতভাবে একটি শিথিল এবং অসংগঠিত সংগঠন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এটিএম ফজলুল হক বলেন, জামায়াত সমর্থক জনগোষ্ঠী স্বভাবগতভাবে অধিকতর নরম এবং কথাবার্তা অপেক্ষাকৃত কম বলেন। তাদের বেশির ভাগই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো পেশাদার সংগঠক নন। আরেকটি মারাত্মক সমস্যা হলো, জামায়াতকে একটি গতিশীল আদর্শগত দল হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের বৃদ্ধিবৃত্তিক অবদান রাখার বিষয়ে ঘাটতি আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মতো বিএনপি কোন আদর্শগত সংগঠন নয়। বিএনপি বাম, ডান ও মধ্যপন্থিদের একটি কৌতূহলোদ্দীপক মিশ্র সংগঠন, অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগ থেকেই আওয়ামী লীগের একটি আদর্শগত উত্তরাধিকার ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাধারণ ভোটারদের কাছে টানতে অনেক বেশি পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। এমনকি যারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ছিল, তাদেরকে দলীয় টিকিট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উপরন্তু তারা জাতীয় পার্টির মতো জোট শরিককে অনেক বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে।’
অধ্যাপক ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের স্মৃতিশক্তি ভীষণ দুর্বল। আগের সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের চেয়ে তারা বরং সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের সরকারের দুষ্কর্ম মনে রাখেন।’
ঢাকার সরকারি আলীয়া মাদরাসার গণিতের শিক্ষক এবং জামায়াত সদস্য বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত প্রায় ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের মতোই ভোট ভাগাভাগি করেছে। তবে ২০০৮ সালে প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্বাচন পরিচালনা ও ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেন। তাই সেখানে কোন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তবে বিএনপির দুর্নীতি অবশ্যই একটি ইস্যু ছিল।’
No comments